ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
একটি বিশালাকৃতির পায়ের ছাপ, কবর ও জামার কোলাজ ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, পায়ের ছাপ, কবর ও জামাগুলো হযরত আদম (আ.)– এর। গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এমডি রাজীব খা নামের একটি ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২৮ হাজার প্রতিক্রিয়া পড়েছে। এর মধ্যে লাইক পড়েছে ২০ হাজার, ৮ হাজারের বেশি ভালোবাসার প্রতিক্রিয়া। এতে মন্তব্য পড়েছে ৭০০–এর বেশি। এসব মন্তব্যে নেটিজেনদের স্রষ্টার প্রশংসাসূচক বাক্যে মন্তব্য করতে দেখা যায়। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫০০ বার।
পোস্টটি দেখুন এখানে।
একই পেজ থেকে গত ২৬ নভেম্বরও ছবিগুলো শেয়ার হয়। পোস্টটিতে প্রায় দেড় লাখ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এর মধ্যে লাইক প্রতিক্রিয়া প্রায় ৯৪ হাজার। ওই পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার বার। পোস্টটি দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, পায়ের ছাপ, কবর ও জামাগুলো সেমিটিক ধর্ম (ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম) মতে, প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)–এর বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
পায়ের ছাপটি সম্পর্কে যা জানা যায়
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে শাটার স্টকের ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রকাশিত অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটি তুলেছেন সায়ারেনি নামে এক ব্যক্তি। ছবিটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ থেকে তোলা। একজন ছোট মানুষ সমুদ্র তীরের পাথরের ওপর থাকা বিশাল একটি পায়ের ছাপের সঙ্গে। পায়ের ছাপটি পরাবাস্তব ধারণা।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে বিজি ডট ওআরজের ওয়েবসাইটে প্রায় দুই বছর আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের তাপাকতুয়ানে একটি বিশাল পায়ের ছাপ আছে। তাপাকতুয়ান আচেহ থেকে প্রায় ৪৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শহর। স্থানীয় কিংবদন্তী মতে, এটি তাপা নামে এক ব্যক্তির পায়ের ছাপ। তিনি দক্ষিণ আচেহের কিংবদন্তি চরিত্র। শহরটিতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই কিংবদন্তি ছড়িয়ে আসছে এবং সেখানকার মানুষজন এটি বিশ্বাস করেন।
ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক ওয়েবসাইট গুড নিউজ ফ্রম ইন্দোনেশিয়াতে ২০২১ সালের ৭ জুন প্রকাশিত এ সম্পর্কিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে একই ছবি রয়েছে। ইন্দোনেশীয় ভাষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে পায়ের ছাপ ও কিংবদন্তিটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে জানা যায়, বিখ্যাত এই পায়ের ছাপ সদৃশ জায়গাটি প্রায় ২ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত এবং ৬ মিটার লম্বা। এটি তাপাকতুয়ানের উপকূলে গুনুন ল্যাম্পু পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত।
পায়ের ছাপটি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ তুয়ান তাপা নামে বিশালদেহী এক সাধুর পায়ের ছাপ থেকেই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে। তিনি সব সময় তাঁর স্রষ্টার স্মরণ ও উপাসনায় কাটিয়ে দিতেন। ভারত মহাসাগরের আসালানোকা রাজ্যের একজন রাজা তাঁর সন্তানদের উদ্ধারে ড্রাগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সাগরের মাঝে লড়াইয়ে নামেন। এ সময় শেখ তুয়ান তাপা ধ্যানমগ্ন ছিলেন। রাজা ও ড্রাগনের যুদ্ধে তুয়ান তাপার ধ্যান ভেঙে যায়। পরে তিনি রাজাকে সহযোগিতা করতে তাঁর গুহা থেকে বের হয়ে এসে এখান থেকেই সাগরে ঝাঁপ দেন।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তাপাকতুয়ানের কাম্পুং পাডাংয়ে শেখ তুয়ান তাপার কবর অবস্থিত। শেখ তুয়ান তাপার কবরটি ২৫ মিটার লম্বা ও ৮ মিটার চওড়া।
ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক আরও কিছু ওয়েবসাইট থেকে তুয়ান তাপার এসব কিংবদন্তি সম্পর্কে জানা যায়। এ সম্পর্কে আরও পড়ুন এখানে।
এসব প্রতিবেদনের বাইরে ছবিটি সম্পর্কে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না, যা ফেসবুকে প্রচারিত দাবিটিকে সমর্থন করে। অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত সমুদ্রের তীরবর্তী একটি জায়গায় অবস্থিত বিশাল পায়ের ছাপের ছবিকে হযরত আদম (আ.)–এর পায়ের ছাপ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
কবরটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আদম (আ.)–এর কবর দাবি করে প্রচারিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ এএফপি ফ্যাক্টচেকে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালেও আলোচিত কবরের ছবিটি আদম (আ.)–এর কবর দাবিতে প্রচার করা হয়েছিল। তবে দাবিটি সঠিক নয়।
কবরটি সম্পর্কে প্রতিবেদনে ওমানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওমান টিভির ইউটিউব চ্যানেলের বরাত দিয়ে বলা হয়, এটি মূলত ওমানের সালালাহ শহরে অবস্থিত হজরত ইমরান (আ.)– এর কবর। তিনি সেমিটিক ধর্মের আরেক নবী।
ওমান টিভির ভিডিওটি দেখুন এখানে।
জামাটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আদম (আ.)–এর দাবি করে প্রচারিত জামাটি সম্পর্কে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ইসলামিক বোর্ড নামের একটি ওয়েবসাইটে অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ ওয়েবসাইটটিতে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিটি সম্পর্কে ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, এটি আদম (আ.)– এর জামার নমুনা। যেটি হাদিসে আদম (আ.)–এর দৈহিক গঠনের বর্ণনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
জামাটি সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন এখানে
ওয়েবসাইটটিতে সহিহ্ বুখারি শরিফে আদম (আ.)– এর উচ্চতা নিয়ে হাদিসটিও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এটি বুখারি শরিফের ৫৪৩ নম্বর হাদিস। হাদিসটিতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত আদমকে ৬০ হাত লম্বা উচ্চতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
হাদিসটি দেখুন এখানে
অর্থাৎ যে জামাটি আদম (আ.)– এর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, সেটি মূলত হাদিসের বর্ণনা অনুসারে তৈরি একটি জামা।
প্রসঙ্গত, ছবি তিনটি নিয়ে ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ক্রিসেন্দো শ্রীলঙ্কাও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
সিদ্ধান্ত
আদম (আ.)– এর পায়ের ছাপ, জামা ও কবরের ছবি দাবি করে ফেসবুকে যেসব ছবি প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে বিভিন্ন উৎসে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। পায়ের ছাপটি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে এক কিংবদন্তি চরিত্রের সম্পর্ক রয়েছে। আর কবরটি আরেক নবীর সমাধি বলে বিশ্বাস করে স্থানীয় মানুষ। আর জামাটি আসলে হাদিসের বর্ণনা অনুসারে তৈরি করা এটি নমুনা।
একটি বিশালাকৃতির পায়ের ছাপ, কবর ও জামার কোলাজ ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, পায়ের ছাপ, কবর ও জামাগুলো হযরত আদম (আ.)– এর। গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এমডি রাজীব খা নামের একটি ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২৮ হাজার প্রতিক্রিয়া পড়েছে। এর মধ্যে লাইক পড়েছে ২০ হাজার, ৮ হাজারের বেশি ভালোবাসার প্রতিক্রিয়া। এতে মন্তব্য পড়েছে ৭০০–এর বেশি। এসব মন্তব্যে নেটিজেনদের স্রষ্টার প্রশংসাসূচক বাক্যে মন্তব্য করতে দেখা যায়। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫০০ বার।
পোস্টটি দেখুন এখানে।
একই পেজ থেকে গত ২৬ নভেম্বরও ছবিগুলো শেয়ার হয়। পোস্টটিতে প্রায় দেড় লাখ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এর মধ্যে লাইক প্রতিক্রিয়া প্রায় ৯৪ হাজার। ওই পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার বার। পোস্টটি দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, পায়ের ছাপ, কবর ও জামাগুলো সেমিটিক ধর্ম (ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম) মতে, প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)–এর বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
পায়ের ছাপটি সম্পর্কে যা জানা যায়
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে শাটার স্টকের ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রকাশিত অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটি তুলেছেন সায়ারেনি নামে এক ব্যক্তি। ছবিটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ থেকে তোলা। একজন ছোট মানুষ সমুদ্র তীরের পাথরের ওপর থাকা বিশাল একটি পায়ের ছাপের সঙ্গে। পায়ের ছাপটি পরাবাস্তব ধারণা।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে বিজি ডট ওআরজের ওয়েবসাইটে প্রায় দুই বছর আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের তাপাকতুয়ানে একটি বিশাল পায়ের ছাপ আছে। তাপাকতুয়ান আচেহ থেকে প্রায় ৪৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শহর। স্থানীয় কিংবদন্তী মতে, এটি তাপা নামে এক ব্যক্তির পায়ের ছাপ। তিনি দক্ষিণ আচেহের কিংবদন্তি চরিত্র। শহরটিতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই কিংবদন্তি ছড়িয়ে আসছে এবং সেখানকার মানুষজন এটি বিশ্বাস করেন।
ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক ওয়েবসাইট গুড নিউজ ফ্রম ইন্দোনেশিয়াতে ২০২১ সালের ৭ জুন প্রকাশিত এ সম্পর্কিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে একই ছবি রয়েছে। ইন্দোনেশীয় ভাষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে পায়ের ছাপ ও কিংবদন্তিটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে জানা যায়, বিখ্যাত এই পায়ের ছাপ সদৃশ জায়গাটি প্রায় ২ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত এবং ৬ মিটার লম্বা। এটি তাপাকতুয়ানের উপকূলে গুনুন ল্যাম্পু পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত।
পায়ের ছাপটি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ তুয়ান তাপা নামে বিশালদেহী এক সাধুর পায়ের ছাপ থেকেই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে। তিনি সব সময় তাঁর স্রষ্টার স্মরণ ও উপাসনায় কাটিয়ে দিতেন। ভারত মহাসাগরের আসালানোকা রাজ্যের একজন রাজা তাঁর সন্তানদের উদ্ধারে ড্রাগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সাগরের মাঝে লড়াইয়ে নামেন। এ সময় শেখ তুয়ান তাপা ধ্যানমগ্ন ছিলেন। রাজা ও ড্রাগনের যুদ্ধে তুয়ান তাপার ধ্যান ভেঙে যায়। পরে তিনি রাজাকে সহযোগিতা করতে তাঁর গুহা থেকে বের হয়ে এসে এখান থেকেই সাগরে ঝাঁপ দেন।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তাপাকতুয়ানের কাম্পুং পাডাংয়ে শেখ তুয়ান তাপার কবর অবস্থিত। শেখ তুয়ান তাপার কবরটি ২৫ মিটার লম্বা ও ৮ মিটার চওড়া।
ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক আরও কিছু ওয়েবসাইট থেকে তুয়ান তাপার এসব কিংবদন্তি সম্পর্কে জানা যায়। এ সম্পর্কে আরও পড়ুন এখানে।
এসব প্রতিবেদনের বাইরে ছবিটি সম্পর্কে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না, যা ফেসবুকে প্রচারিত দাবিটিকে সমর্থন করে। অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত সমুদ্রের তীরবর্তী একটি জায়গায় অবস্থিত বিশাল পায়ের ছাপের ছবিকে হযরত আদম (আ.)–এর পায়ের ছাপ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
কবরটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আদম (আ.)–এর কবর দাবি করে প্রচারিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ এএফপি ফ্যাক্টচেকে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালেও আলোচিত কবরের ছবিটি আদম (আ.)–এর কবর দাবিতে প্রচার করা হয়েছিল। তবে দাবিটি সঠিক নয়।
কবরটি সম্পর্কে প্রতিবেদনে ওমানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওমান টিভির ইউটিউব চ্যানেলের বরাত দিয়ে বলা হয়, এটি মূলত ওমানের সালালাহ শহরে অবস্থিত হজরত ইমরান (আ.)– এর কবর। তিনি সেমিটিক ধর্মের আরেক নবী।
ওমান টিভির ভিডিওটি দেখুন এখানে।
জামাটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আদম (আ.)–এর দাবি করে প্রচারিত জামাটি সম্পর্কে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ইসলামিক বোর্ড নামের একটি ওয়েবসাইটে অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ ওয়েবসাইটটিতে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিটি সম্পর্কে ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, এটি আদম (আ.)– এর জামার নমুনা। যেটি হাদিসে আদম (আ.)–এর দৈহিক গঠনের বর্ণনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
জামাটি সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন এখানে
ওয়েবসাইটটিতে সহিহ্ বুখারি শরিফে আদম (আ.)– এর উচ্চতা নিয়ে হাদিসটিও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এটি বুখারি শরিফের ৫৪৩ নম্বর হাদিস। হাদিসটিতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত আদমকে ৬০ হাত লম্বা উচ্চতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
হাদিসটি দেখুন এখানে
অর্থাৎ যে জামাটি আদম (আ.)– এর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, সেটি মূলত হাদিসের বর্ণনা অনুসারে তৈরি একটি জামা।
প্রসঙ্গত, ছবি তিনটি নিয়ে ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ক্রিসেন্দো শ্রীলঙ্কাও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
সিদ্ধান্ত
আদম (আ.)– এর পায়ের ছাপ, জামা ও কবরের ছবি দাবি করে ফেসবুকে যেসব ছবি প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে বিভিন্ন উৎসে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। পায়ের ছাপটি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে এক কিংবদন্তি চরিত্রের সম্পর্ক রয়েছে। আর কবরটি আরেক নবীর সমাধি বলে বিশ্বাস করে স্থানীয় মানুষ। আর জামাটি আসলে হাদিসের বর্ণনা অনুসারে তৈরি করা এটি নমুনা।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে