বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করছেন তামিমেরা— ভাইরাল ভিডিওটি কবেকার 

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৮: ০৭
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৮: ১০

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল। এমন প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার প্রচারণায় নেমেছেন দাবি করে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান নগদের উদ্যোগে তামিমেরা বিমানবন্দরে বিদেশফেরত প্রবাসীদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। 

আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে। 

ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ক্রিকেটার তামিম ইকবালের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ৭ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটির ব্যাপারে তামিম ইকবাল লেখেন, ‘নগদ থেকে সব সময় আলাদা কিছু করার সুযোগ হয়। আবারও সেই রকমই কিছু একটা করার সুযোগ হলো, তাও আবার তাঁদের জন্য যারা আমার কাছে সত্যিকারের হিরো। বিদেশে দিন–রাত কষ্ট করে যাওয়া প্রতিটা রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমার কাছে একেকজন হিরো, একেকজন বীর। এই বীরদের সম্মান জানাল নগদ আর সেই কার্যক্রমে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’ 

প্রবাসীদের নিয়ে নগদের প্রচারণা সম্পর্কে গত ৭ জুন ফেসবুকে পোস্ট দেন তামিম ইকবাল। ছবি: তামিম ইকবালের ফেসবুক পেজ পরে নগদের ইউটিউব চ্যানেলে একই দিনে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির ব্যাপারে নগদ জানায়, ‘দেশে আপনজনদের ভালো রাখতে প্রবাসীরা দিন–রাত কষ্ট করে যায়। নগদ তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে আয়োজন করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আমরা বিশ্বাস করি, এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা একেকজন বীর। নগদ–এর পক্ষ থেকে সকল রেমিট্যান্স বীরদের জানাই স্যালুট।’ 

প্রবাসীদের নিয়ে নগদের প্রচারণা। ছবি: নগদের ইউটিউব চ্যানেলঅর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান। এর সঙ্গে সম্প্রতি প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর প্রচারণার কোনো সম্পর্ক নেই। 

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন হাইকোর্ট এক রায়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বাতিল করা কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এ সময় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানাতে থাকেন। পরে চলতি জুলাই মাসের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সড়ক–মহাসড়ক অবরোধ পর্যায়ে প্রবেশ করে। 

যদিও শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে গত ১৫ জুলাই (সোমবার) বেপরোয়া হামলার শিকার হন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা। এরপরই এ আন্দোলন সহিংসতার দিকে ধাবিত হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে প্রাণহানি ঘটে শতাধিক মানুষের। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। একপর্যায়ে দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সংযোগ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত