ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের লেখা দাবিতে দীর্ঘ একটি চিঠি। দাবি করা হচ্ছে, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট স্ত্রী মিলি রহমানকে চিঠিটি লেখেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সদস্য খোকন মাহমুদ নির্ঝর তাঁর ফেসবুক পেজে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পারিবারিক ছবিসহ চিঠিটি শেয়ার করেন। তাঁর পেজ থেকে চিঠিটি আজ রোববার (৩ মার্চ) বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার শেয়ার হয়েছে।
চিঠিটির শুরু এমন—‘প্রিয়তমা মিলি, একটা চুম্বন তোমার পাওনা রয়ে গেলো...সকালে প্যারেডে যাবার আগে তোমাকে চুমু খেয়ে বের না হলে আমার দিন ভালো যায় না। আজ তোমাকে চুমু খাওয়া হয়নি। আজকের দিনটা কেমন যাবে জানি না...এই চিঠি যখন তুমি পড়ছো, আমি তখন তোমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে। ঠিক কতোটা দূরে আমি জানি না।’
চিঠিটির উৎসের খোঁজে
ভাইরাল চিঠিটির সত্যতা যাচাইয়ে চিঠিটির উৎস অনুসন্ধান করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। অনুসন্ধানে ফেসবুকে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায় ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ওই সময় ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে চিঠিটি পোস্ট করা হয়। ওই সময়ের করা পোস্টগুলো যাচাই করে দেখা যায়, কোনো পোস্টেই চিঠিটির সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। গুগল অ্যাডভান্স সার্চেও চিঠিটির কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।
পরে আরও খুঁজে মানস ঘোষ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০১৪ সালের ১১ জুন চিঠিটি নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। মানস ঘোষের বিস্তারিত প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি পেশায় সাংবাদিক। ভোরের কাগজ, চ্যানেল আই এবং এটিএন ডিজিটাল টিভিতে কাজ করেছেন।
‘একটি ভুয়া চিঠি, একটি ভুল শেয়ার এবং...’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টটিতে মানস ঘোষ লিখেছেন, ‘“প্রিয়তমা মিলি” শিরোনামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের একটি চিঠি ক’দিন আগে আমি আমার টাইমলাইনে শেয়ার করেছিলাম। চিঠিটি বছর দু-এক আগে এই ফেইসবুকেই প্রথম পড়া। অনেক দিন পর আবার চোখে পড়ায় সবার জন্যে শেয়ার করলাম। তখন জানতাম না কতবড় একটা ভুল হয়ে গেলো। মিলি রহমানের সঙ্গে আমার অনেক পুরনো সম্পর্ক। বিপত্তিটা বাঁধল এখানেই। মিলি রহমান জানালেন চিঠিটি মতিউর এর না। এটা একটা ভুয়া চিঠি।’ পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘গত ২-৩ বছর ধরে তিনি (মিলি রহমান) এটা ফেইসবুকে দেখছেন, কিন্তু থামাতে পারছেন না। এটা জানার পর টাইমলাইন থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেই। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ আছে মিলি রহমানের নিজের সম্পাদনায়। ঐ বইতে মিলি রহমান লিখেছেন, ক্যামন করে মতিউর পশ্চিম পাকিস্তানে তাদের ফেলে রেখে, যুদ্ধে শরিক হতে বিমান চুরি করে রওয়ানা হয়েছিলেন প্রিয় মাতৃভূমির পথে। মতিউর আমাদের নায়ক। তাকে নিয়ে মিথ্যে গল্প বানানোর কিছু নেই। যে বা যারা কাজটি করছেন তারা এই মিথ্যে প্রচারণা থেকে সরে আসবেন, আর আমরা যারা না জেনে এর শরিক হলাম তারা নিজেদের সংশোধন করে নেবো, এটাই চাওয়া। মিলি রহমান চান এই মিথ্যে চিঠিটা ফেইসবুক থেকে মুছে যাক।’
মানস ঘোষের এই পোস্টের সূত্রে একই বছরের ১৩ জুন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ ডটকম ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের নামে ভুয়া চিঠি ফেইসবুকে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মিলি রহমানের দেওয়া একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারের সূত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘চিঠিটা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি তাঁর স্ত্রী মিলি রহমান। আমি জানি চিঠিটা কতখানি অসত্য। কিছু চিঠি যা আমাকে লেখা ছিল, সেটা যখন ঘটনা ঘটে, সেদিন ব্যক্তিগত সেই ফাইলটি সিল করে নিয়ে যায়। কাজেই সেই চিঠিগুলোর সবগুলোই পাকিস্তানে আটকা। আমার কাছে কিছুই নেই।’
চিঠিতে যে সময়ের (২০ আগস্ট, ১৯৭১) কথা বলা হয়েছে, তখন স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন জানিয়ে মিলি রহমান বলেছেন, ‘একই বাড়িতে একই ছাদের নিচে ছিলাম। চিঠি লেখার প্রশ্নই আসে না। ২০ আগস্ট মতিউর রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে বিমানঘাঁটিতে যান এবং সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য বিমান নিয়ে উড়াল দেন এবং দুর্ঘটনায় পড়েন।’
মিলি রহমানের অনুরূপ বক্তব্য পাওয়া যায় তাঁর সম্পাদিত বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মারকগ্রন্থ থেকেও। এই স্মারকগ্রন্থের সূত্রে ২০২২ সালের ২০ আগস্ট ‘শেষ যাত্রা’ শিরোনামে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
স্মারকগ্রন্থে মিলি রহমান লিখেন, ‘মে মাসের ৯ তারিখে পশ্চিম পাকিস্তানে সপরিবারে যান মতিউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে প্লেন সংগ্রহের পরিকল্পনা করতে থাকেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একবার বড় মেয়ে মাহীন আর স্ত্রী মিলিকে নিয়ে উড়াল দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। ছোট মেয়ে তুহীন থাকবে বোনের কাছে। কিন্তু বিমানের কাছে গিয়ে মিলি রহমানের আপত্তিতে ফিরে আসেন। ২০ আগস্ট স্বাভাবিকভাবেই অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন মতিউর রহমান। অন্যদিনের মতো সেদিন খোদা হাফেজও বলা হয়নি। দুপুরের দিকে পাঁচ-ছয়জন মিলিটারি পুলিশ অতর্কিতে এসে তাঁদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। মিলি রহমান বুঝতে পারেন কিছু একটা হয়েছে। তিনি দ্রুত বঙ্গবন্ধুর ছবি, ম্যাপ, মতিউর রহমানের অন্যান্য কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। ছাইগুলো বাথরুমে ফ্ল্যাশ করেন। তারপর অপেক্ষা করতে থাকেন।’
প্রায় একই বর্ণনা পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও। ওয়েবসাইটে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা থেকে জানা যায়, ‘১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বাৎসরিক ছুটিতে তিনি সপরিবারে ঢাকায় আসেন। এ সময় তিনি প্রত্যক্ষভাবে স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১ মার্চ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। পাকিস্তান থেকে বিমান সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ৯ মে তিনি সপরিবারে কর্মস্থলে ফিরে যান।’
সুতরাং, ওপরের উৎসগুলোতে বর্ণিত তথ্য অনুসারে, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান পাকিস্তান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বিমান ছিনতাই করে দেশে আসার দিন পর্যন্ত স্ত্রী মিলি রহমান তাঁর সঙ্গে একই বাসায় ছিলেন। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের চিঠি দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত চিঠিটি বানোয়াট। দীর্ঘদিন ধরেই চিঠিটি সূত্র উল্লেখ ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের লেখা দাবিতে দীর্ঘ একটি চিঠি। দাবি করা হচ্ছে, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট স্ত্রী মিলি রহমানকে চিঠিটি লেখেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সদস্য খোকন মাহমুদ নির্ঝর তাঁর ফেসবুক পেজে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পারিবারিক ছবিসহ চিঠিটি শেয়ার করেন। তাঁর পেজ থেকে চিঠিটি আজ রোববার (৩ মার্চ) বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার শেয়ার হয়েছে।
চিঠিটির শুরু এমন—‘প্রিয়তমা মিলি, একটা চুম্বন তোমার পাওনা রয়ে গেলো...সকালে প্যারেডে যাবার আগে তোমাকে চুমু খেয়ে বের না হলে আমার দিন ভালো যায় না। আজ তোমাকে চুমু খাওয়া হয়নি। আজকের দিনটা কেমন যাবে জানি না...এই চিঠি যখন তুমি পড়ছো, আমি তখন তোমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে। ঠিক কতোটা দূরে আমি জানি না।’
চিঠিটির উৎসের খোঁজে
ভাইরাল চিঠিটির সত্যতা যাচাইয়ে চিঠিটির উৎস অনুসন্ধান করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। অনুসন্ধানে ফেসবুকে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায় ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ওই সময় ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে চিঠিটি পোস্ট করা হয়। ওই সময়ের করা পোস্টগুলো যাচাই করে দেখা যায়, কোনো পোস্টেই চিঠিটির সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। গুগল অ্যাডভান্স সার্চেও চিঠিটির কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।
পরে আরও খুঁজে মানস ঘোষ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০১৪ সালের ১১ জুন চিঠিটি নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। মানস ঘোষের বিস্তারিত প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি পেশায় সাংবাদিক। ভোরের কাগজ, চ্যানেল আই এবং এটিএন ডিজিটাল টিভিতে কাজ করেছেন।
‘একটি ভুয়া চিঠি, একটি ভুল শেয়ার এবং...’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টটিতে মানস ঘোষ লিখেছেন, ‘“প্রিয়তমা মিলি” শিরোনামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের একটি চিঠি ক’দিন আগে আমি আমার টাইমলাইনে শেয়ার করেছিলাম। চিঠিটি বছর দু-এক আগে এই ফেইসবুকেই প্রথম পড়া। অনেক দিন পর আবার চোখে পড়ায় সবার জন্যে শেয়ার করলাম। তখন জানতাম না কতবড় একটা ভুল হয়ে গেলো। মিলি রহমানের সঙ্গে আমার অনেক পুরনো সম্পর্ক। বিপত্তিটা বাঁধল এখানেই। মিলি রহমান জানালেন চিঠিটি মতিউর এর না। এটা একটা ভুয়া চিঠি।’ পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘গত ২-৩ বছর ধরে তিনি (মিলি রহমান) এটা ফেইসবুকে দেখছেন, কিন্তু থামাতে পারছেন না। এটা জানার পর টাইমলাইন থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেই। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ আছে মিলি রহমানের নিজের সম্পাদনায়। ঐ বইতে মিলি রহমান লিখেছেন, ক্যামন করে মতিউর পশ্চিম পাকিস্তানে তাদের ফেলে রেখে, যুদ্ধে শরিক হতে বিমান চুরি করে রওয়ানা হয়েছিলেন প্রিয় মাতৃভূমির পথে। মতিউর আমাদের নায়ক। তাকে নিয়ে মিথ্যে গল্প বানানোর কিছু নেই। যে বা যারা কাজটি করছেন তারা এই মিথ্যে প্রচারণা থেকে সরে আসবেন, আর আমরা যারা না জেনে এর শরিক হলাম তারা নিজেদের সংশোধন করে নেবো, এটাই চাওয়া। মিলি রহমান চান এই মিথ্যে চিঠিটা ফেইসবুক থেকে মুছে যাক।’
মানস ঘোষের এই পোস্টের সূত্রে একই বছরের ১৩ জুন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ ডটকম ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের নামে ভুয়া চিঠি ফেইসবুকে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মিলি রহমানের দেওয়া একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারের সূত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘চিঠিটা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি তাঁর স্ত্রী মিলি রহমান। আমি জানি চিঠিটা কতখানি অসত্য। কিছু চিঠি যা আমাকে লেখা ছিল, সেটা যখন ঘটনা ঘটে, সেদিন ব্যক্তিগত সেই ফাইলটি সিল করে নিয়ে যায়। কাজেই সেই চিঠিগুলোর সবগুলোই পাকিস্তানে আটকা। আমার কাছে কিছুই নেই।’
চিঠিতে যে সময়ের (২০ আগস্ট, ১৯৭১) কথা বলা হয়েছে, তখন স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন জানিয়ে মিলি রহমান বলেছেন, ‘একই বাড়িতে একই ছাদের নিচে ছিলাম। চিঠি লেখার প্রশ্নই আসে না। ২০ আগস্ট মতিউর রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে বিমানঘাঁটিতে যান এবং সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য বিমান নিয়ে উড়াল দেন এবং দুর্ঘটনায় পড়েন।’
মিলি রহমানের অনুরূপ বক্তব্য পাওয়া যায় তাঁর সম্পাদিত বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মারকগ্রন্থ থেকেও। এই স্মারকগ্রন্থের সূত্রে ২০২২ সালের ২০ আগস্ট ‘শেষ যাত্রা’ শিরোনামে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
স্মারকগ্রন্থে মিলি রহমান লিখেন, ‘মে মাসের ৯ তারিখে পশ্চিম পাকিস্তানে সপরিবারে যান মতিউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে প্লেন সংগ্রহের পরিকল্পনা করতে থাকেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একবার বড় মেয়ে মাহীন আর স্ত্রী মিলিকে নিয়ে উড়াল দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। ছোট মেয়ে তুহীন থাকবে বোনের কাছে। কিন্তু বিমানের কাছে গিয়ে মিলি রহমানের আপত্তিতে ফিরে আসেন। ২০ আগস্ট স্বাভাবিকভাবেই অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন মতিউর রহমান। অন্যদিনের মতো সেদিন খোদা হাফেজও বলা হয়নি। দুপুরের দিকে পাঁচ-ছয়জন মিলিটারি পুলিশ অতর্কিতে এসে তাঁদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। মিলি রহমান বুঝতে পারেন কিছু একটা হয়েছে। তিনি দ্রুত বঙ্গবন্ধুর ছবি, ম্যাপ, মতিউর রহমানের অন্যান্য কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। ছাইগুলো বাথরুমে ফ্ল্যাশ করেন। তারপর অপেক্ষা করতে থাকেন।’
প্রায় একই বর্ণনা পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও। ওয়েবসাইটে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা থেকে জানা যায়, ‘১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বাৎসরিক ছুটিতে তিনি সপরিবারে ঢাকায় আসেন। এ সময় তিনি প্রত্যক্ষভাবে স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১ মার্চ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। পাকিস্তান থেকে বিমান সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ৯ মে তিনি সপরিবারে কর্মস্থলে ফিরে যান।’
সুতরাং, ওপরের উৎসগুলোতে বর্ণিত তথ্য অনুসারে, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান পাকিস্তান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বিমান ছিনতাই করে দেশে আসার দিন পর্যন্ত স্ত্রী মিলি রহমান তাঁর সঙ্গে একই বাসায় ছিলেন। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের চিঠি দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত চিঠিটি বানোয়াট। দীর্ঘদিন ধরেই চিঠিটি সূত্র উল্লেখ ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে।
শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
৬ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১২ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনা ভারতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ভারতে প্রথমবার প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
৩ দিন আগে