অ্যালার্জিতে করণীয়

ডা. শাহেদ সাব্বির আহমেদ
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ০৯: ০৬

সামনে কোরবানির ঈদ। এই ঈদ ঘিরে প্রচুর খাবারের আয়োজন থাকে। বেশির ভাগ পদ থাকে গরুর মাংসের। অ্যালার্জির কারণে অনেকেই গরুর মাংস খেতে পারেন না। এ সমস্যা থাকলে গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ কিংবা বেগুন না খাওয়াই ভালো। তবে সবার একই তীব্রতার অ্যালার্জি হয় না। এ সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে খেতে হবে।

অ্যালার্জি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সমস্যা। যাঁদের তীব্র অ্যালার্জির ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাঁদের সারা শরীর ও শ্বাসনালি ফুলে গিয়ে দম আটকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ অবস্থাকে বলা হয় অ্যানাফাইলেকটিক শক। এসব ক্ষেত্রে অ্যালার্জি আছে এমন সব খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। অ্যালার্জি কম বা বেশি হওয়া ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন খাবারে বা বস্তুতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। এর পূর্ব ইতিহাস থাকলে অ্যালার্জি–জাতীয় বস্তু ব্যবহার বা খাবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। এ সমস্যার কারণে শরীর ফুলে উঠলে, ফোসকা উঠলে, শ্বাসকষ্ট হলে বা নতুন ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

শুধু যে খাবারেই অ্যালার্জি হতে পারে তা নয়। ধুলাবালি, শীতের পোশাকে থাকা ডাস্ট বা ধুলা, গাছের নির্যাস, ফুলের পরাগরেণু, কিছু ওষুধসামগ্রী থেকেও এটি হতে পারে। শ্বাসগ্রহণ, খাদ্যগ্রহণ, ওষুধ সেবন ও ছোঁয়ার মাধ্যমে এটি প্রকাশ হতে পারে। বিভিন্ন প্রসাধনী ও অলংকারেও অ্যালার্জি হতে পারে। কোন ধরনের খাবারে বা বস্তুতে অ্যালার্জি হয়, সেটি খুঁজে বের করে সেগুলো খাওয়া বা ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে।

লেখক: বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত