ডা. মনোজ দাশ
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করা হয়। সেই হিসেবে আজ ১৪ অক্টোবর এ বছরের বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। ২০০০ সালে লায়নস ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক অনুষ্ঠিত ‘সাইট ফার্স্ট’ প্রচারের ফলে এই দিবস পালন শুরু হয়।
এ বছর করোনা মহামারির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অন্ধত্ব এবং চোখের বিকলতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করা হচ্ছে।
প্রতিবছর এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য থাকে। এ বছর বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন।’ সারা পৃথিবীর ৩০০ মিলিয়ন (৩০ কোটি) মানুষের দৃষ্টিশক্তির স্বল্পতা আছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের চিকিৎসা নেওয়ার কোনো সামর্থ্য নেই। ৩২ মিলিয়ন মানুষ অন্ধ। এর মধ্যে প্রায় ১৯ মিলিয়ন শিশু। ১২ মিলিয়ন মানুষ চশমাজনিত কারণে অন্ধ। সারা বিশ্বের এই বিশাল জনসমষ্টির ৯০ শতাংশ বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বে বাস করে।
বাংলাদেশের নিবন্ধিত অন্ধ জনগোষ্ঠী ৭ লাখ। অন্ধত্ব দূর করার কর্মযজ্ঞে গতি আনতে না পারলে অন্ধত্ব দূর করতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
অন্ধত্বের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে—
১. বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন
২. গ্লকোমা
৩. ছানি
৪. আঘাতজনিত
৫. চশমাজনিত
৬. ভিটামিন সি-এর অভাব
৭. ডায়াবেটিসজনিত এবং
৮. ট্রাকোমা নামক রোগ (আমাদের সৌভাগ্য এই রোগটি আমাদের দেশে নেই)।
আমাদের সবাইকে নিজের চোখকে ভালোবাসতে হবে এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে—
১. ছোট মাছ, শাকসবজি, হলুদ ফলমূল খেতে হবে।
৩. পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৫. চল্লিশের বেশি বয়সীদের গ্লকোমা পরীক্ষা করতে হবে।
৬. ধূমপান করা যাবে না।
৭. কম্পিউটার ব্যবহার কমাতে হবে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মানতে হবে।
প্রতিটি দেশের সরকারকে চোখের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চক্ষু সেবাপ্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে এবং এর মানোন্নয়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে চক্ষু সেবায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এই বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে সমন্বিত করতে হবে।
লেখক: চক্ষু বিশেষজ্ঞ, সিএসএস চক্ষু হাসপাতাল, খুলনা
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করা হয়। সেই হিসেবে আজ ১৪ অক্টোবর এ বছরের বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। ২০০০ সালে লায়নস ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক অনুষ্ঠিত ‘সাইট ফার্স্ট’ প্রচারের ফলে এই দিবস পালন শুরু হয়।
এ বছর করোনা মহামারির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অন্ধত্ব এবং চোখের বিকলতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করা হচ্ছে।
প্রতিবছর এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য থাকে। এ বছর বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন।’ সারা পৃথিবীর ৩০০ মিলিয়ন (৩০ কোটি) মানুষের দৃষ্টিশক্তির স্বল্পতা আছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের চিকিৎসা নেওয়ার কোনো সামর্থ্য নেই। ৩২ মিলিয়ন মানুষ অন্ধ। এর মধ্যে প্রায় ১৯ মিলিয়ন শিশু। ১২ মিলিয়ন মানুষ চশমাজনিত কারণে অন্ধ। সারা বিশ্বের এই বিশাল জনসমষ্টির ৯০ শতাংশ বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বে বাস করে।
বাংলাদেশের নিবন্ধিত অন্ধ জনগোষ্ঠী ৭ লাখ। অন্ধত্ব দূর করার কর্মযজ্ঞে গতি আনতে না পারলে অন্ধত্ব দূর করতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
অন্ধত্বের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে—
১. বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন
২. গ্লকোমা
৩. ছানি
৪. আঘাতজনিত
৫. চশমাজনিত
৬. ভিটামিন সি-এর অভাব
৭. ডায়াবেটিসজনিত এবং
৮. ট্রাকোমা নামক রোগ (আমাদের সৌভাগ্য এই রোগটি আমাদের দেশে নেই)।
আমাদের সবাইকে নিজের চোখকে ভালোবাসতে হবে এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে—
১. ছোট মাছ, শাকসবজি, হলুদ ফলমূল খেতে হবে।
৩. পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৫. চল্লিশের বেশি বয়সীদের গ্লকোমা পরীক্ষা করতে হবে।
৬. ধূমপান করা যাবে না।
৭. কম্পিউটার ব্যবহার কমাতে হবে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মানতে হবে।
প্রতিটি দেশের সরকারকে চোখের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চক্ষু সেবাপ্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে এবং এর মানোন্নয়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে চক্ষু সেবায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এই বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে সমন্বিত করতে হবে।
লেখক: চক্ষু বিশেষজ্ঞ, সিএসএস চক্ষু হাসপাতাল, খুলনা
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
২ দিন আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
২ দিন আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
২ দিন আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
২ দিন আগে