অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
একটা সময় প্রচলিত প্রবচন ছিল, ‘কুড়িতে বুড়ি’। সে দিন পাল্টেছে। ১৯৭১ সালে নারীদের গড় বয়স ছিল ৪৩ বছর। আর ৫০ বছর পার হয়ে এসে সেটা ৭৩ ছুঁয়েছে। এর সোজা কারণ, জীবনযাত্রার মানে উন্নয়ন ঘটেছে। ফলে বয়স ৪০ মানে এখন উদ্যম ধরে রাখার সময়, নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার সময়।
সেই ধারাবাহিকতায় এখন প্রচলিত একটি কথা, ‘লাইফ বিগিইন আফটার ফোরটি’ বা জীবন চল্লিশের পরে শুরু হয়। এই বয়সে একজন নারী মোটামুটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়গুলো পাড়ি দিয়ে আসেন। পড়াশোনা, চাকরিজীবন, বিয়ে, সন্তান গ্রহণ—সবগুলো ধাপই বরাবর প্রায়। ফলে সেই নারী জীবনের এমন এক অবস্থানে রয়েছেন, যেখান থেকে নিজের জীবনকে সামনে পরিচালিত করা যায়। পরিবারের দিকনির্দেশনা, কর্মপরিচালনা, শারীরিক ধকল, প্রাক-মেনোপজসহ নানান বিষয় মোকাবিলার সময় চল্লিশের পর থেকেই শুরু।
প্রথমেই দেখা যাক এ বয়সে নারীর কোন ধরনের মানসিক পরিবর্তন আসে, সে বিষয়টি। কী পেয়েছি, কী পাইনি, মন সে হিসাব মেলাতে তখনো রাজি থাকে না। ফলে কিছুটা প্রাপ্তি, কিছুটা অপ্রাপ্তি নিয়ে মন দ্বিধাদ্বন্দ্বে আটকে যায়। আবার পেশাগত সাফল্য বা ব্যর্থতা জীবনকে একটি নির্দিষ্ট ছকে আটকে ফেলে। একজন চল্লিশোর্ধ্ব নারী আটকে যান সামাজিকতার বেড়াজালেও। তবে কিছুটা দক্ষতা চলে আসে সমস্যাগুলোকে সামাল দেওয়ার ব্যাপারে।
মজার ব্যাপার হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তারুণ্যের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ৬৫ বছর পর্যন্ত। চল্লিশ-উত্তর জীবনে রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ এলেও নিজেকে তরুণ রাখার ব্যাপারটাকে হারিয়ে যেতে দেওয়ার মানে নেই। কপালের বলিরেখার সঙ্গে যৌন স্বাস্থ্যের সম্পৃক্ততা খুব বেশি নয় আদতে। তারুণ্য খেলা করবে ৬৫ পর্যন্তই, যদি আপনি তা বিশ্বাস করতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিষয়টি তাই-ই দাঁড়ায়।
এ সময় পরিবারকে একটু সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। কারণ পরিবারের একজন সদস্যও যদি মেনোপজের ভেতর দিয়ে যান, তবে তাঁর বিভিন্ন রকম মনোদৈহিক পরিবর্তন আসতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হতে পারে, হঠাৎই তাঁর কান্না পেতে পারে, মুড সুইং হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সহনশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা প্রকৃতিকে রং বদলাতে দেখি। জীবনেরও রং বদলায়। কাজেই একুশ বছরের সৌন্দর্য যেমন গ্রহণযোগ্য, সেরকম চল্লিশের সৌন্দর্যেরও নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে।
আর কে না জানে, যিনি সৌন্দর্য ধারণ করেন, তাঁর চোখেই সৌন্দর্য ধরা দেয়। কাজেই নিজেকে তরুণ রাখার ব্যাপারটা নিজের মনে খেলা করলেই যথেষ্ট। এরপরের সব তুড়ি মেরেই বাঁচা যায় বাকি জীবন। কাজেই চল্লিশকে উপভোগ করা জীবনের মোক্ষম সময়!
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
একটা সময় প্রচলিত প্রবচন ছিল, ‘কুড়িতে বুড়ি’। সে দিন পাল্টেছে। ১৯৭১ সালে নারীদের গড় বয়স ছিল ৪৩ বছর। আর ৫০ বছর পার হয়ে এসে সেটা ৭৩ ছুঁয়েছে। এর সোজা কারণ, জীবনযাত্রার মানে উন্নয়ন ঘটেছে। ফলে বয়স ৪০ মানে এখন উদ্যম ধরে রাখার সময়, নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার সময়।
সেই ধারাবাহিকতায় এখন প্রচলিত একটি কথা, ‘লাইফ বিগিইন আফটার ফোরটি’ বা জীবন চল্লিশের পরে শুরু হয়। এই বয়সে একজন নারী মোটামুটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়গুলো পাড়ি দিয়ে আসেন। পড়াশোনা, চাকরিজীবন, বিয়ে, সন্তান গ্রহণ—সবগুলো ধাপই বরাবর প্রায়। ফলে সেই নারী জীবনের এমন এক অবস্থানে রয়েছেন, যেখান থেকে নিজের জীবনকে সামনে পরিচালিত করা যায়। পরিবারের দিকনির্দেশনা, কর্মপরিচালনা, শারীরিক ধকল, প্রাক-মেনোপজসহ নানান বিষয় মোকাবিলার সময় চল্লিশের পর থেকেই শুরু।
প্রথমেই দেখা যাক এ বয়সে নারীর কোন ধরনের মানসিক পরিবর্তন আসে, সে বিষয়টি। কী পেয়েছি, কী পাইনি, মন সে হিসাব মেলাতে তখনো রাজি থাকে না। ফলে কিছুটা প্রাপ্তি, কিছুটা অপ্রাপ্তি নিয়ে মন দ্বিধাদ্বন্দ্বে আটকে যায়। আবার পেশাগত সাফল্য বা ব্যর্থতা জীবনকে একটি নির্দিষ্ট ছকে আটকে ফেলে। একজন চল্লিশোর্ধ্ব নারী আটকে যান সামাজিকতার বেড়াজালেও। তবে কিছুটা দক্ষতা চলে আসে সমস্যাগুলোকে সামাল দেওয়ার ব্যাপারে।
মজার ব্যাপার হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তারুণ্যের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ৬৫ বছর পর্যন্ত। চল্লিশ-উত্তর জীবনে রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ এলেও নিজেকে তরুণ রাখার ব্যাপারটাকে হারিয়ে যেতে দেওয়ার মানে নেই। কপালের বলিরেখার সঙ্গে যৌন স্বাস্থ্যের সম্পৃক্ততা খুব বেশি নয় আদতে। তারুণ্য খেলা করবে ৬৫ পর্যন্তই, যদি আপনি তা বিশ্বাস করতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিষয়টি তাই-ই দাঁড়ায়।
এ সময় পরিবারকে একটু সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। কারণ পরিবারের একজন সদস্যও যদি মেনোপজের ভেতর দিয়ে যান, তবে তাঁর বিভিন্ন রকম মনোদৈহিক পরিবর্তন আসতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হতে পারে, হঠাৎই তাঁর কান্না পেতে পারে, মুড সুইং হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সহনশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা প্রকৃতিকে রং বদলাতে দেখি। জীবনেরও রং বদলায়। কাজেই একুশ বছরের সৌন্দর্য যেমন গ্রহণযোগ্য, সেরকম চল্লিশের সৌন্দর্যেরও নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে।
আর কে না জানে, যিনি সৌন্দর্য ধারণ করেন, তাঁর চোখেই সৌন্দর্য ধরা দেয়। কাজেই নিজেকে তরুণ রাখার ব্যাপারটা নিজের মনে খেলা করলেই যথেষ্ট। এরপরের সব তুড়ি মেরেই বাঁচা যায় বাকি জীবন। কাজেই চল্লিশকে উপভোগ করা জীবনের মোক্ষম সময়!
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে