অনলাইন ডেস্ক
সুন্দর এই পৃথিবীতে সবাই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায়। সেই সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই অসুস্থতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। এমন বাতিক তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ওই গবেষণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দুই সুইডিশ লোকের কাহিনি থেকে এই গবেষণা শুরু হয়। ওই দুই সুইডিশ একই বছরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং একই কাউন্টিতে (গ্রাম) বসবাস করতেন। তাঁদের মধ্যে একজন হাইপোকন্ড্রিয়াক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ছিলেন।
এরপর সুইডিশ গবেষকেরা হাইপোকন্ড্রিয়াসিস (অসুস্থতা উদ্বেগজনিত ব্যাধি) রোগে আক্রান্ত এবং সুস্থ লোকেদের নিয়ে গবেষণা করেন। হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অসুস্থ হওয়া বা অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন।
চলতি মাসে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জেএএমএ সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষ করে হার্ট, রক্ত এবং ফুসফুসের রোগের পাশাপাশি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৮৪ শতাংশ বেশি। যা এই রোগ থেকে মুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নেই।
গবেষক ডেভিড ম্যাটাইক্স-কলস ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ‘এটি এক ধরনের প্যারাডক্সিক্যাল অনুসন্ধান, তাই না? । তাঁরা স্বাস্থ্য এবং মৃত্যু নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন, যা তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বাড়ায়।’
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থদের চেয়ে অল্প বয়সে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হাইপোকন্ড্রিয়াকদের ক্ষেত্রেও এটি হবে কি না—এমন প্রশ্ন ম্যাটাইক্স-কলসকে ওই গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
ম্যাটাইক্স-কলস (৫২) আরও বলেন, অনেক হাইপোকন্ড্রিয়াক আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভ্রমগ্রস্ত থাকেন, যদিও ডাক্তাররা তাঁদের সুস্থ বলে আশ্বাস দেন। ইন্টারনেটে নিজের রোগের উপসর্গ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান তাঁদের উদ্বেগের মাত্রা আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নিউরোসায়েন্স এবং সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক ম্যাটাইক্স-কলস বলেছেন, ‘তাঁরা অনেক কষ্ট এবং হতাশাগ্রস্ত বোধ করে।’
প্রায় এক বছর আগে, গবেষকেরা ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুইডিশ আদমশুমারি এবং স্বাস্থ্য ডেটাবেইস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তাঁরা হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ৪ হাজার ১২৯ জন লোকের তালিকা করেন। এরপর প্রতিটি হাইপোকন্ড্রিয়াসিস আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ১০ জন সুস্থ মানুষের সঙ্গে তুলনা করেন, যাদের লিঙ্গ, জন্ম সাল এবং গ্রাম ওই অসুস্থ ব্যক্তির মতোই। গবেষকেরা বিবাহের অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক আয়ও বিবেচনা করেছেন।
প্রায় নয় মাসের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২৬৮ হাইপোকন্ড্রিয়াক আক্রান্ত হয়ে এবং ১ হাজার ৭৬১ জন হাইপোকন্ড্রিয়াসিস ছাড়াই মারা গেছেন। এর মধ্যে হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্তরা সুস্থদের চেয়ে গড়ে পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।
গবেষকেরা আরও দেখেছেন, হাইপোকন্ড্রিয়াসিস জীবনের মানকে প্রভাবিত করতে পারে; হাইপোকন্ড্রিয়াসিসবিহীন লোকেরা হাইপোকন্ড্রিয়াদের তুলনায় শিক্ষিত, বৈবাহিক অবস্থা ভালো এবং বেশি অর্থ উপার্জন করে।
ম্যাটাইক্স-কলস বলেছেন, ‘হাইপোকন্ড্রিয়াসিস রোগটি নির্ণয় করা হয় খুবই কম। তাই এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেশি হতে পারে। হাইপোকন্ড্রিয়াকদের মধ্যে সম্ভবত স্বাস্থ্য নিয়ে নিজেদের উদ্বেগকে শুধুই ভাবনা বলে অবজ্ঞা করার প্রবণতা রয়েছে।’
গবেষণাটির ফলাফল সম্পর্কে কয়েকটি তত্ত্ব রয়েছে জানিয়ে ম্যাটাইক্স-কলস বলেন, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের কারণে হাইপোকন্ড্রিয়াকদের জীবন সংক্ষিপ্ত হতে পারে, যা তাদের অ্যালকোহল এবং ওষুধের সঙ্গে নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাওয়ার কারণ হতে পারে। আবার কিছু রোগী গুরুতর রোগ ধরা পড়ার ভয়ে ডাক্তার এড়িয়ে যাওয়াও তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
ইপোকন্ড্রিয়াসিস সম্পর্কে আরও জানার আশা প্রকাশ করেন করে ম্যাটাইক্স-কলস। তাঁর নতুন আগ্রহের মধ্যে রয়েছে, এই ব্যাধিটি কীভাবে রোগীদের শিক্ষা এবং ক্যারিয়াকে প্রভাবিত করে। তবে এখন হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া উচিত। কেননা এই রোগ শুধুমাত্র কগনিটিভ বিহ্যভিয়রাল থেরাপি এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের মাধ্যমেই সারানো সম্ভব।
সবিশেষে ম্যাটাইক্স-কলস বলেছেন, ‘আমাদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে এবং বেশির ভাগ লোক সেসব সেবা থেকে বঞ্চিত।’
সুন্দর এই পৃথিবীতে সবাই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায়। সেই সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই অসুস্থতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। এমন বাতিক তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ওই গবেষণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দুই সুইডিশ লোকের কাহিনি থেকে এই গবেষণা শুরু হয়। ওই দুই সুইডিশ একই বছরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং একই কাউন্টিতে (গ্রাম) বসবাস করতেন। তাঁদের মধ্যে একজন হাইপোকন্ড্রিয়াক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ছিলেন।
এরপর সুইডিশ গবেষকেরা হাইপোকন্ড্রিয়াসিস (অসুস্থতা উদ্বেগজনিত ব্যাধি) রোগে আক্রান্ত এবং সুস্থ লোকেদের নিয়ে গবেষণা করেন। হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অসুস্থ হওয়া বা অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন।
চলতি মাসে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জেএএমএ সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষ করে হার্ট, রক্ত এবং ফুসফুসের রোগের পাশাপাশি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৮৪ শতাংশ বেশি। যা এই রোগ থেকে মুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নেই।
গবেষক ডেভিড ম্যাটাইক্স-কলস ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ‘এটি এক ধরনের প্যারাডক্সিক্যাল অনুসন্ধান, তাই না? । তাঁরা স্বাস্থ্য এবং মৃত্যু নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন, যা তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বাড়ায়।’
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থদের চেয়ে অল্প বয়সে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হাইপোকন্ড্রিয়াকদের ক্ষেত্রেও এটি হবে কি না—এমন প্রশ্ন ম্যাটাইক্স-কলসকে ওই গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
ম্যাটাইক্স-কলস (৫২) আরও বলেন, অনেক হাইপোকন্ড্রিয়াক আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভ্রমগ্রস্ত থাকেন, যদিও ডাক্তাররা তাঁদের সুস্থ বলে আশ্বাস দেন। ইন্টারনেটে নিজের রোগের উপসর্গ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান তাঁদের উদ্বেগের মাত্রা আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নিউরোসায়েন্স এবং সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক ম্যাটাইক্স-কলস বলেছেন, ‘তাঁরা অনেক কষ্ট এবং হতাশাগ্রস্ত বোধ করে।’
প্রায় এক বছর আগে, গবেষকেরা ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুইডিশ আদমশুমারি এবং স্বাস্থ্য ডেটাবেইস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তাঁরা হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ৪ হাজার ১২৯ জন লোকের তালিকা করেন। এরপর প্রতিটি হাইপোকন্ড্রিয়াসিস আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ১০ জন সুস্থ মানুষের সঙ্গে তুলনা করেন, যাদের লিঙ্গ, জন্ম সাল এবং গ্রাম ওই অসুস্থ ব্যক্তির মতোই। গবেষকেরা বিবাহের অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক আয়ও বিবেচনা করেছেন।
প্রায় নয় মাসের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২৬৮ হাইপোকন্ড্রিয়াক আক্রান্ত হয়ে এবং ১ হাজার ৭৬১ জন হাইপোকন্ড্রিয়াসিস ছাড়াই মারা গেছেন। এর মধ্যে হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্তরা সুস্থদের চেয়ে গড়ে পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।
গবেষকেরা আরও দেখেছেন, হাইপোকন্ড্রিয়াসিস জীবনের মানকে প্রভাবিত করতে পারে; হাইপোকন্ড্রিয়াসিসবিহীন লোকেরা হাইপোকন্ড্রিয়াদের তুলনায় শিক্ষিত, বৈবাহিক অবস্থা ভালো এবং বেশি অর্থ উপার্জন করে।
ম্যাটাইক্স-কলস বলেছেন, ‘হাইপোকন্ড্রিয়াসিস রোগটি নির্ণয় করা হয় খুবই কম। তাই এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেশি হতে পারে। হাইপোকন্ড্রিয়াকদের মধ্যে সম্ভবত স্বাস্থ্য নিয়ে নিজেদের উদ্বেগকে শুধুই ভাবনা বলে অবজ্ঞা করার প্রবণতা রয়েছে।’
গবেষণাটির ফলাফল সম্পর্কে কয়েকটি তত্ত্ব রয়েছে জানিয়ে ম্যাটাইক্স-কলস বলেন, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের কারণে হাইপোকন্ড্রিয়াকদের জীবন সংক্ষিপ্ত হতে পারে, যা তাদের অ্যালকোহল এবং ওষুধের সঙ্গে নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাওয়ার কারণ হতে পারে। আবার কিছু রোগী গুরুতর রোগ ধরা পড়ার ভয়ে ডাক্তার এড়িয়ে যাওয়াও তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
ইপোকন্ড্রিয়াসিস সম্পর্কে আরও জানার আশা প্রকাশ করেন করে ম্যাটাইক্স-কলস। তাঁর নতুন আগ্রহের মধ্যে রয়েছে, এই ব্যাধিটি কীভাবে রোগীদের শিক্ষা এবং ক্যারিয়াকে প্রভাবিত করে। তবে এখন হাইপোকন্ড্রিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া উচিত। কেননা এই রোগ শুধুমাত্র কগনিটিভ বিহ্যভিয়রাল থেরাপি এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের মাধ্যমেই সারানো সম্ভব।
সবিশেষে ম্যাটাইক্স-কলস বলেছেন, ‘আমাদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে এবং বেশির ভাগ লোক সেসব সেবা থেকে বঞ্চিত।’
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে