অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম
হাঁটু শরীরের বড় এবং ওজন বহনকারী জোড়াগুলোর মধ্যে অন্যতম। হাঁটুর জোড়া ওপরের দিক থেকে ঊরুর হাড় বা ফিমার ও প্যাটলা এবং নিচের দিক থেকে পায়ের হাড় বা টিবিয়া—এই তিন হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। হাঁটুতে চারটি প্রধান লিগামেন্ট থাকে। লিগামেন্ট হলো ইলাস্টিক টিস্যু, যা এক হাড়কে অন্য হাড়ের সঙ্গে যুক্ত করে, জোড়ার শক্তি দেয় এবং জোড়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
হাঁটুতে চারটি লিগামেন্ট থাকে। সেগুলো হলো—
» এনটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট
» পোসটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট
» মিডিয়ার কোল্যাটারাল লিগামেন্ট
» ল্যাটারাল কোল্যাটারাল লিগামেন্ট
লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ
» হঠাৎ মোচড়ানো গতি। এতে এনটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
» আঘাত, উঁচু কিছু থেকে পড়ে যাওয়াসহ যেকোনো ধরনের পতন, গাড়ি বা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
লিগামেন্টের ক্ষতি হয়েছে, সেটা বুঝবেন কীভাবে
» হাঁটুতে ব্যথা তীব্র থেকে ধীরে ধীরে কমে এলে।
» ব্যথা হাঁটুর বাইরে, পাশে ও পেছনে অনুভূত হলে।
» হাঁটু ভাঁজ বা সোজা করতে গেলে ব্যথা বেড়ে গেলে।
» আঘাতের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে হাঁটু ফুলে গেলে।
» ফোলা ও ব্যথার জন্য হাঁটু নড়াচড়া করা না গেলে।
» দাঁড়াতে বা হাঁটতে চেষ্টা করলে হাঁটু ছুটে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়া মনে হলে।
» আঘাতের সঙ্গে ব্যক্তি ‘পপ’ বা ‘ক্র্যাক’ শব্দ শুনতে বা বুঝতে পারলে।
» সঙ্গে মেনিসকাস ইনজুরি থাকলে।
» অনেক সময় হাঁটু আটকে গেলে।
» দীর্ঘদিন ধরে লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে।
» উঁচুনিচু জায়গায় হাঁটতে সমস্যা হলে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে এবং বসলে উঠতে কষ্ট হলে।
» হাঁটু ইনসিকিউর বা অস্থিতিশীল মনে হলে।
চিকিৎসা
» হাঁটুকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
» বরফের টুকরা টাওয়ালে বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লাগালে ব্যথা বা ফোলা কমে আসবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দুই ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিট অনবরত বরফ লাগাতে হবে।
এই পদ্ধতি আঘাতের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
» হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে সেটিকে হার্টের লেভেল থেকে উঁচুতে রাখলে ফোলা কম হবে।
» ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
» এনালজেসিক বা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হতে পারে ৭ থেকে ১০ দিন।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষা
প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগীর ব্যথা ও ফোলা সেরে ওঠার পর হাঁটুর বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে লিগামেন্টের ক্ষতি ও তীব্রতা নির্ণয় করা যায়। এক্স-রে ও এমআরআইয়ের সাহায্য নিতে হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
মনে রাখতে হবে
হাঁটুর লিগামেন্ট নিজে থেকে জোড়া লাগে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাঁটুর পেশির ব্যায়াম ও দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ ও ভালো থাকা যায়।
লেখক: এমবিবিএস, ডি অর্থো.অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, অর্থোপেডিক বিভাগ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
হাঁটু শরীরের বড় এবং ওজন বহনকারী জোড়াগুলোর মধ্যে অন্যতম। হাঁটুর জোড়া ওপরের দিক থেকে ঊরুর হাড় বা ফিমার ও প্যাটলা এবং নিচের দিক থেকে পায়ের হাড় বা টিবিয়া—এই তিন হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। হাঁটুতে চারটি প্রধান লিগামেন্ট থাকে। লিগামেন্ট হলো ইলাস্টিক টিস্যু, যা এক হাড়কে অন্য হাড়ের সঙ্গে যুক্ত করে, জোড়ার শক্তি দেয় এবং জোড়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
হাঁটুতে চারটি লিগামেন্ট থাকে। সেগুলো হলো—
» এনটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট
» পোসটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট
» মিডিয়ার কোল্যাটারাল লিগামেন্ট
» ল্যাটারাল কোল্যাটারাল লিগামেন্ট
লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ
» হঠাৎ মোচড়ানো গতি। এতে এনটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
» আঘাত, উঁচু কিছু থেকে পড়ে যাওয়াসহ যেকোনো ধরনের পতন, গাড়ি বা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
লিগামেন্টের ক্ষতি হয়েছে, সেটা বুঝবেন কীভাবে
» হাঁটুতে ব্যথা তীব্র থেকে ধীরে ধীরে কমে এলে।
» ব্যথা হাঁটুর বাইরে, পাশে ও পেছনে অনুভূত হলে।
» হাঁটু ভাঁজ বা সোজা করতে গেলে ব্যথা বেড়ে গেলে।
» আঘাতের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে হাঁটু ফুলে গেলে।
» ফোলা ও ব্যথার জন্য হাঁটু নড়াচড়া করা না গেলে।
» দাঁড়াতে বা হাঁটতে চেষ্টা করলে হাঁটু ছুটে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়া মনে হলে।
» আঘাতের সঙ্গে ব্যক্তি ‘পপ’ বা ‘ক্র্যাক’ শব্দ শুনতে বা বুঝতে পারলে।
» সঙ্গে মেনিসকাস ইনজুরি থাকলে।
» অনেক সময় হাঁটু আটকে গেলে।
» দীর্ঘদিন ধরে লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে।
» উঁচুনিচু জায়গায় হাঁটতে সমস্যা হলে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে এবং বসলে উঠতে কষ্ট হলে।
» হাঁটু ইনসিকিউর বা অস্থিতিশীল মনে হলে।
চিকিৎসা
» হাঁটুকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
» বরফের টুকরা টাওয়ালে বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লাগালে ব্যথা বা ফোলা কমে আসবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দুই ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিট অনবরত বরফ লাগাতে হবে।
এই পদ্ধতি আঘাতের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
» হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে সেটিকে হার্টের লেভেল থেকে উঁচুতে রাখলে ফোলা কম হবে।
» ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
» এনালজেসিক বা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হতে পারে ৭ থেকে ১০ দিন।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষা
প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগীর ব্যথা ও ফোলা সেরে ওঠার পর হাঁটুর বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে লিগামেন্টের ক্ষতি ও তীব্রতা নির্ণয় করা যায়। এক্স-রে ও এমআরআইয়ের সাহায্য নিতে হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
মনে রাখতে হবে
হাঁটুর লিগামেন্ট নিজে থেকে জোড়া লাগে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাঁটুর পেশির ব্যায়াম ও দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ ও ভালো থাকা যায়।
লেখক: এমবিবিএস, ডি অর্থো.অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, অর্থোপেডিক বিভাগ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে