বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) গত রোববার রোবক্যাথ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে দুজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। রোবক্যাথ নামক যন্ত্র বিক্রির জন্য একটি কোম্পানির পক্ষে সাময়িকভাবে তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাপী এই পদ্ধতি সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়নি। তা ছাড়া এই যন্ত্র ব্যবহারে সামান্য ত্রুটি হলেই রোগীর মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
জার্নাল অব নিউরোইন্টারভেনশনে এ-সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এটি সর্বস্তরে ক্লিনিক্যাল ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়।
এনআইসিভিডির একাধিক চিকিৎসক জানান, দেশে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক নেই। মূলত ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা দামের এই যন্ত্র কিনতে চিকিৎসার কৌশল নেওয়া হয়েছে।
রোবক্যাথের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারকারী দলের প্রধান এনআইসিভিডির সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার কর্মকার অবশ্য গণমাধ্যমে বলেন, রোবক্যাথ আর ওয়ান সিস্টেমে ক্যাথল্যাবে একটি রোবোটিক হাত থাকে। দূর থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন চিকিৎসকেরা। আগে চিকিৎসকেরা সরাসরি নিজ হাতে যে কাজটি করতেন, সেটি এই পদ্ধতিতে রোবটের মাধ্যমে করা হয়। এতে কাজটি অনেক নিখুঁত হয়। অস্ত্রোপচারে সময় কম লাগে।
এ প্রসঙ্গে এনআইসিভিডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা এখনো কনভেনশনাল এনজিওপ্লাস্টি থেকে পিছিয়ে আছেন। কনভেনশনাল এনজিওপ্লাস্টিতে পারদর্শী না হলে রোবক্যাথ করার প্রশ্নই আসে না। পৃথিবীর সব দেশেই কনভেনশনাল এনজিওপ্লাস্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এখনো কোথাও এই পদ্ধতিকে ক্লিনিক্যাল ঘোষণা করা হয়নি। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান ভুইয়া নামের একজন চিকিৎসক সিঙ্গাপুরে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’ তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল। এই পদ্ধতিতে অবশ্য চিকিৎসক বিকিরণ ঝুঁকিমুক্ত থাকেন। তবে ছোটখাটো সমস্যা হলেও রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
প্রখ্যাত হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. মমিনুজ্জামান বলেন, ‘এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের চিকিৎসাপদ্ধতি। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাবে না। তবে সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর একটি সুবিধা আছে, সেটি হলো দূর থেকে পরিচালনা করা সম্ভব। তবে আমাদের মতো দরিদ্র দেশে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসাপদ্ধতি অপ্রয়োজনীয়।’
এ বিষয়ে এনআইসিভিডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, রোবক্যাথ আর ওয়ান সিস্টেমের বিষয়টি এখনো পরীক্ষামূলক। এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) গত রোববার রোবক্যাথ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে দুজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। রোবক্যাথ নামক যন্ত্র বিক্রির জন্য একটি কোম্পানির পক্ষে সাময়িকভাবে তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাপী এই পদ্ধতি সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়নি। তা ছাড়া এই যন্ত্র ব্যবহারে সামান্য ত্রুটি হলেই রোগীর মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
জার্নাল অব নিউরোইন্টারভেনশনে এ-সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এটি সর্বস্তরে ক্লিনিক্যাল ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়।
এনআইসিভিডির একাধিক চিকিৎসক জানান, দেশে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক নেই। মূলত ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা দামের এই যন্ত্র কিনতে চিকিৎসার কৌশল নেওয়া হয়েছে।
রোবক্যাথের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারকারী দলের প্রধান এনআইসিভিডির সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার কর্মকার অবশ্য গণমাধ্যমে বলেন, রোবক্যাথ আর ওয়ান সিস্টেমে ক্যাথল্যাবে একটি রোবোটিক হাত থাকে। দূর থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন চিকিৎসকেরা। আগে চিকিৎসকেরা সরাসরি নিজ হাতে যে কাজটি করতেন, সেটি এই পদ্ধতিতে রোবটের মাধ্যমে করা হয়। এতে কাজটি অনেক নিখুঁত হয়। অস্ত্রোপচারে সময় কম লাগে।
এ প্রসঙ্গে এনআইসিভিডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা এখনো কনভেনশনাল এনজিওপ্লাস্টি থেকে পিছিয়ে আছেন। কনভেনশনাল এনজিওপ্লাস্টিতে পারদর্শী না হলে রোবক্যাথ করার প্রশ্নই আসে না। পৃথিবীর সব দেশেই কনভেনশনাল এনজিওপ্লাস্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এখনো কোথাও এই পদ্ধতিকে ক্লিনিক্যাল ঘোষণা করা হয়নি। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান ভুইয়া নামের একজন চিকিৎসক সিঙ্গাপুরে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’ তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল। এই পদ্ধতিতে অবশ্য চিকিৎসক বিকিরণ ঝুঁকিমুক্ত থাকেন। তবে ছোটখাটো সমস্যা হলেও রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
প্রখ্যাত হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. মমিনুজ্জামান বলেন, ‘এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের চিকিৎসাপদ্ধতি। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাবে না। তবে সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর একটি সুবিধা আছে, সেটি হলো দূর থেকে পরিচালনা করা সম্ভব। তবে আমাদের মতো দরিদ্র দেশে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসাপদ্ধতি অপ্রয়োজনীয়।’
এ বিষয়ে এনআইসিভিডির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, রোবক্যাথ আর ওয়ান সিস্টেমের বিষয়টি এখনো পরীক্ষামূলক। এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে