ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
আমার বয়স ২৮ বছর। ত্বকের ধরন তৈলাক্ত ও শুষ্কের মাঝামাঝি। ইদানীং আমার ত্বকে র্যাশ উঠছে। বাইরে থেকে বাসায় গিয়ে দেখি থুতনি ও গালের দিকটা অনেক শুষ্ক হয়ে গেছে। পানি লাগলে জ্বালা করে। ময়েশ্চারাইজার লাগালে কিছুটা ঠিক হয়। হঠাৎ করে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাচ্ছে আবার হঠাৎ করে শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় করণীয় কী?
নাজিয়া, ঢাকা
উত্তর: আপনি যে সমস্যাটির কথা বলেছেন তা শুনে মনে হচ্ছে আপনার ত্বকের ধরন খুব সংবেদনশীল ও নাজুক। সম্প্রতি এমন কোনো পণ্য ব্যবহার করেছেন, যা হয়তো আপনার ত্বকের জন্য মানানসই নয়। অনেক সময় পণ্যে থাকা অনেক উপাদান সবার ত্বকে মানায় না। ফলে কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস দেখা দেয় এবং হঠাৎ করে ত্বকের কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যায়। কোভিডের জন্য আমরা এখন মাস্ক পরছি। মাস্ক যেটি পরবেন, সেটি যেন আরামদায়ক ও বাতাস চলাচলের উপযোগী হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এ ক্ষেত্রে নরম ও সুতি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকের যে জায়গা শুষ্ক হয়ে যায়, সেখানে ইমোলেন্ট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। জিংক বা প্যারাফিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফেস ক্লিনজিংয়ের ক্ষেত্রে ওটমিলযুক্ত কিংবা ক্যামোমাইলযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের তৈলাক্ত অংশে অবশ্যই ওয়াটারবেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন এবং শুষ্ক অংশে ইমোলেন্টযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
আমার বয়স ৩০ বছর। আমার মুখমণ্ডলের ত্বকে মেছতার কালো দাগ কোনোভাবেই ভালো হচ্ছে না। আমি রাজশাহী মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করেছি, তা হলো মেলাট্রিন, স্লটক্লিন, ট্রাইমেলা, অ্যাভোকুইন। দুই বছর আগেও আমার মুখে এত মেছতা ছিল না। আমি রোদে তেমন একটা বের হই না। এ অবস্থায় করণীয় কী?
মো. তৌহিদুল ইসলাম, রাজশাহী
উত্তর: আপনি যে পণ্যগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলোতে হাইড্রোকুইন আছে। হাইড্রোকুইনযুক্ত যেকোনো মেছতার ক্রিম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায় না। কিছুদিন পরে বিরতি দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি আর্বুটিন লিকোরিশযুক্ত কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এখন মেছতার দাগ হালকা করার জন্য অনেক ক্রিম পাওয়া যায়, যা ত্বকের খুব একটা ক্ষতি করে না। আপনাকে এসপিএফ ৫০যুক্ত এবং পিএ++ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আপনি বলেছেন রোদে বের হন না। রোদে বের না হলেও প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের আলো ছাড়াও প্রতিদিন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ইনফ্রা রে এবং বাড়িতে ব্যবহৃত হাই এনার্জি ভিজিবল লাইট ত্বকের ক্ষতি করে। এসবের কারণেও মেছতা বাড়তে পারে। আপনি যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলো ব্যবহারের পাশাপাশি আপনি হয়তো সানস্ক্রিন ব্যবহার করেননি। সে কারণে দাগ আরও গভীরে চলে গেছে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে ক্লিনজারটি ব্যবহার করবেন, সেটিতে যেন স্কিন গ্লোয়িং ইফেক্ট থাকে।
আপনার ত্বকের ধরন লেখেননি। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত বা তেলতেলে হয়, তাহলে ওয়াটারবেজড ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার এবং সাপ্লিমেন্ট হিসেবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খেতে পারেন।
ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, ঢাকা
আমার বয়স ২৮ বছর। ত্বকের ধরন তৈলাক্ত ও শুষ্কের মাঝামাঝি। ইদানীং আমার ত্বকে র্যাশ উঠছে। বাইরে থেকে বাসায় গিয়ে দেখি থুতনি ও গালের দিকটা অনেক শুষ্ক হয়ে গেছে। পানি লাগলে জ্বালা করে। ময়েশ্চারাইজার লাগালে কিছুটা ঠিক হয়। হঠাৎ করে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাচ্ছে আবার হঠাৎ করে শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় করণীয় কী?
নাজিয়া, ঢাকা
উত্তর: আপনি যে সমস্যাটির কথা বলেছেন তা শুনে মনে হচ্ছে আপনার ত্বকের ধরন খুব সংবেদনশীল ও নাজুক। সম্প্রতি এমন কোনো পণ্য ব্যবহার করেছেন, যা হয়তো আপনার ত্বকের জন্য মানানসই নয়। অনেক সময় পণ্যে থাকা অনেক উপাদান সবার ত্বকে মানায় না। ফলে কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস দেখা দেয় এবং হঠাৎ করে ত্বকের কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যায়। কোভিডের জন্য আমরা এখন মাস্ক পরছি। মাস্ক যেটি পরবেন, সেটি যেন আরামদায়ক ও বাতাস চলাচলের উপযোগী হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এ ক্ষেত্রে নরম ও সুতি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকের যে জায়গা শুষ্ক হয়ে যায়, সেখানে ইমোলেন্ট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। জিংক বা প্যারাফিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফেস ক্লিনজিংয়ের ক্ষেত্রে ওটমিলযুক্ত কিংবা ক্যামোমাইলযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের তৈলাক্ত অংশে অবশ্যই ওয়াটারবেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন এবং শুষ্ক অংশে ইমোলেন্টযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
আমার বয়স ৩০ বছর। আমার মুখমণ্ডলের ত্বকে মেছতার কালো দাগ কোনোভাবেই ভালো হচ্ছে না। আমি রাজশাহী মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করেছি, তা হলো মেলাট্রিন, স্লটক্লিন, ট্রাইমেলা, অ্যাভোকুইন। দুই বছর আগেও আমার মুখে এত মেছতা ছিল না। আমি রোদে তেমন একটা বের হই না। এ অবস্থায় করণীয় কী?
মো. তৌহিদুল ইসলাম, রাজশাহী
উত্তর: আপনি যে পণ্যগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলোতে হাইড্রোকুইন আছে। হাইড্রোকুইনযুক্ত যেকোনো মেছতার ক্রিম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায় না। কিছুদিন পরে বিরতি দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি আর্বুটিন লিকোরিশযুক্ত কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এখন মেছতার দাগ হালকা করার জন্য অনেক ক্রিম পাওয়া যায়, যা ত্বকের খুব একটা ক্ষতি করে না। আপনাকে এসপিএফ ৫০যুক্ত এবং পিএ++ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আপনি বলেছেন রোদে বের হন না। রোদে বের না হলেও প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের আলো ছাড়াও প্রতিদিন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ইনফ্রা রে এবং বাড়িতে ব্যবহৃত হাই এনার্জি ভিজিবল লাইট ত্বকের ক্ষতি করে। এসবের কারণেও মেছতা বাড়তে পারে। আপনি যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলো ব্যবহারের পাশাপাশি আপনি হয়তো সানস্ক্রিন ব্যবহার করেননি। সে কারণে দাগ আরও গভীরে চলে গেছে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে ক্লিনজারটি ব্যবহার করবেন, সেটিতে যেন স্কিন গ্লোয়িং ইফেক্ট থাকে।
আপনার ত্বকের ধরন লেখেননি। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত বা তেলতেলে হয়, তাহলে ওয়াটারবেজড ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার এবং সাপ্লিমেন্ট হিসেবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খেতে পারেন।
ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, ঢাকা
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে