অনলাইন ডেস্ক
আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ। এই খাবারে আমিষ থাকে মাঝারি মাত্রায়। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার এই ধরনটি স্বল্পমেয়াদে চিত্তাকর্ষক ফলাফল এনে দিতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি কি সত্যিই আপনার জন্য ভালো?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্প্রতি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজউইক। তাঁদের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড প্রিভেনশন রিসার্চ সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং পুষ্টি অধ্যয়নের পরিচালক ক্রিস্টোফার গার্ডনার অন্যতম। তাঁর মতে, কিটো ডায়েটের লক্ষ্য হলো—কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার ওপর একটি চরম সীমা টেনে দেওয়া। এর ফলে শরীর তার জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ও চর্বির সংমিশ্রণের বদলে শুধুমাত্র চর্বি পোড়াতে থাকে। এই অবস্থাটিকে কিটোসিস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিটো ডায়েট অনুশীলনে শর্করার ওপর চরম সীমা টানার বিষয়টি কেমন আসলে? গার্ডনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ ক্যালোরির মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ খাবার-দাবারে শর্করা থাকে ক্যালরির প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক।
এদিকে কিটো ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই শর্করার স্থানটুকু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার এবং মাংস দিয়ে পূরণ করতে চান। তবে বিষয়টিকে ভুল বলে মনে করেন গার্ডনার। তিনি জানান, গ্রহণ করা অতিরিক্ত আমিষ সংরক্ষণ করার কোনো জায়গা নেই শরীরে। তাই প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত আমিষ শর্করায় রূপান্তরিত হয়। অথচ কিটোসিসে থাকা ব্যক্তিরা এই শর্করাকেই এড়াতে চান।
গার্ডনার বলেন, ‘কিটোসিসে থাকার জন্য চর্বির ওপরই জোর দিতে হবে। একটি উপযুক্ত কিটোজেনিক ডায়েট প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বিযুক্ত। আমেরিকার সাধারণ খাবারে এই চর্বি থাকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ কিটো ডায়েট করলে চর্বি গ্রহণ করতে হবে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।’
তাহলে কিটোসিসে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় আসলে কী কী থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব দেন ডায়েটেশিয়ান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নারী হাসপাতালের পুষ্টি ব্যবস্থাপক ন্যান্সি অলিভেরা। তাঁর মতে, খাবারগুলো হলো—মাখন, লার্ড, মুরগির চর্বি, উদ্ভিদের চর্বি (অলিভ, পাম, নারকেল তেল), অ্যাভোকাডো, নারকেল, নির্দিষ্ট বাদাম (ম্যাকাডামিয়া, আখরোট, বাদাম, পেকান), বীজ (সূর্যমুখী, কুমড়া, তিল, শিম), স্টার্চবিহীন সবজি (পাতাযুক্ত শাক, ফুলকপি বা ব্রোকলি, পেঁয়াজ, শসা, লেটুস), ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ডার্ক চকলেট, প্লেইন কফি এবং চা।
ন্যান্সি বলেন, ‘গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস, বেকন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাংস, ডিম, নির্দিষ্ট বাদাম এবং বীজে প্রোটিন পরিমিত থাকে।’
কিটো ডায়েট করতে আগ্রহীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রুটি, পাস্তা, ভাত, কোনো শস্য, ময়দা, বেশির ভাগ ফল, আলু, শীতকালীন স্কোয়াশ, ভুট্টা, মটর, মটরশুঁটি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি নেই আপনার।’
এমন একটি ডায়েট প্ল্যান বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তারপরও কি এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব?
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন স্মিথ বলেন, ‘কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখাতে পারে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েটে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (শরীরের সাধারণ ধরনের চর্বি) হ্রাস করে। তাই কিছু লোক কিটো থেকে উপকৃত হতে পারে।’
ক্রিস্টোফার গার্ডনার বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট রক্তের গ্লুকোজ এবং রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে খুব সহায়ক হতে পারে।’
তবে এসব উপকারিতা বা সাফল্যকে স্বল্পমেয়াদি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গার্ডনার বলেন, ‘এটির সাফল্য দীর্ঘ মেয়াদে বজায় থাকে না।’ তিনি জানান, ২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে ৬ এবং ১২ মাসের কিটো ডায়েটের প্রভাব কেমন জানার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় দেখা গেছে—৬ মাসের ডায়েটে বেশ কিছু সুবিধা দেখা গেলেও ১২ মাস শেষে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কিটোর কঠোর অধ্যবসায় বজায় রাখতে না পারাকেই দায়ী করেছেন গার্ডনার।
তবে শুধু কঠোর অধ্যবসায়ই নয়, অনেক সময় কিটো ডায়েট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। এই বিবেচনায় গার্ডনার কিটো ডায়েটকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কম আঁষযুক্ত খাদ্য। এটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
স্মিথ জানান, কিটো ডায়েটের ফলে অন্ত্রের ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমগুলো ক্ষুধার্ত হওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আঁষযুক্ত খাবার না খাওয়া অন্যান্য অস্বস্তিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অভিযোগ। তবে এটি শুরুর দিকে থাকলেও পরে কেটে যেতে পারে।
ন্যান্সি অলিভেরা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে কিটো ডায়েট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।’ তিনি জানান, কিটো ডায়েটে আঁষ কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেউ চাইলে মাল্টিভিটামিন আলাদা গ্রহণ করতে পারেন। তবে ফাইবার না থাকলে তার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমগুলো খাবার পাবে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসংখ্য রাসায়নিক মিস করতে হবে।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের জন্য কিটো ডায়েট একেবারেই উপযুক্ত নয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তি এবং হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অন্যতম।
আপনি যদি ইতিমধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন তবে খুব সম্ভবত কিটো ডায়েটেরও চেষ্টা করেছেন। এটি হলো এমন একটি খাদ্য প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে কম শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে মানুষ। এই খাবারে আমিষ থাকে মাঝারি মাত্রায়। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনার এই ধরনটি স্বল্পমেয়াদে চিত্তাকর্ষক ফলাফল এনে দিতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি কি সত্যিই আপনার জন্য ভালো?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সম্প্রতি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজউইক। তাঁদের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্ট্যানফোর্ড প্রিভেনশন রিসার্চ সেন্টারের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং পুষ্টি অধ্যয়নের পরিচালক ক্রিস্টোফার গার্ডনার অন্যতম। তাঁর মতে, কিটো ডায়েটের লক্ষ্য হলো—কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার ওপর একটি চরম সীমা টেনে দেওয়া। এর ফলে শরীর তার জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ও চর্বির সংমিশ্রণের বদলে শুধুমাত্র চর্বি পোড়াতে থাকে। এই অবস্থাটিকে কিটোসিস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু কিটো ডায়েট অনুশীলনে শর্করার ওপর চরম সীমা টানার বিষয়টি কেমন আসলে? গার্ডনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ ক্যালোরির মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ খাবার-দাবারে শর্করা থাকে ক্যালরির প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক।
এদিকে কিটো ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই শর্করার স্থানটুকু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার এবং মাংস দিয়ে পূরণ করতে চান। তবে বিষয়টিকে ভুল বলে মনে করেন গার্ডনার। তিনি জানান, গ্রহণ করা অতিরিক্ত আমিষ সংরক্ষণ করার কোনো জায়গা নেই শরীরে। তাই প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত আমিষ শর্করায় রূপান্তরিত হয়। অথচ কিটোসিসে থাকা ব্যক্তিরা এই শর্করাকেই এড়াতে চান।
গার্ডনার বলেন, ‘কিটোসিসে থাকার জন্য চর্বির ওপরই জোর দিতে হবে। একটি উপযুক্ত কিটোজেনিক ডায়েট প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বিযুক্ত। আমেরিকার সাধারণ খাবারে এই চর্বি থাকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ কিটো ডায়েট করলে চর্বি গ্রহণ করতে হবে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।’
তাহলে কিটোসিসে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় আসলে কী কী থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব দেন ডায়েটেশিয়ান এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নারী হাসপাতালের পুষ্টি ব্যবস্থাপক ন্যান্সি অলিভেরা। তাঁর মতে, খাবারগুলো হলো—মাখন, লার্ড, মুরগির চর্বি, উদ্ভিদের চর্বি (অলিভ, পাম, নারকেল তেল), অ্যাভোকাডো, নারকেল, নির্দিষ্ট বাদাম (ম্যাকাডামিয়া, আখরোট, বাদাম, পেকান), বীজ (সূর্যমুখী, কুমড়া, তিল, শিম), স্টার্চবিহীন সবজি (পাতাযুক্ত শাক, ফুলকপি বা ব্রোকলি, পেঁয়াজ, শসা, লেটুস), ৯০ শতাংশ বা তার বেশি ডার্ক চকলেট, প্লেইন কফি এবং চা।
ন্যান্সি বলেন, ‘গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, শুয়োরের মাংস, বেকন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাংস, ডিম, নির্দিষ্ট বাদাম এবং বীজে প্রোটিন পরিমিত থাকে।’
কিটো ডায়েট করতে আগ্রহীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রুটি, পাস্তা, ভাত, কোনো শস্য, ময়দা, বেশির ভাগ ফল, আলু, শীতকালীন স্কোয়াশ, ভুট্টা, মটর, মটরশুঁটি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার অনুমতি নেই আপনার।’
এমন একটি ডায়েট প্ল্যান বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এর জন্য অনেক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তারপরও কি এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব?
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের জাতীয় মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন স্মিথ বলেন, ‘কিটোজেনিক ডায়েট স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখাতে পারে। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েটে ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইড (শরীরের সাধারণ ধরনের চর্বি) হ্রাস করে। তাই কিছু লোক কিটো থেকে উপকৃত হতে পারে।’
ক্রিস্টোফার গার্ডনার বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট রক্তের গ্লুকোজ এবং রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে খুব সহায়ক হতে পারে।’
তবে এসব উপকারিতা বা সাফল্যকে স্বল্পমেয়াদি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গার্ডনার বলেন, ‘এটির সাফল্য দীর্ঘ মেয়াদে বজায় থাকে না।’ তিনি জানান, ২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে ৬ এবং ১২ মাসের কিটো ডায়েটের প্রভাব কেমন জানার চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় দেখা গেছে—৬ মাসের ডায়েটে বেশ কিছু সুবিধা দেখা গেলেও ১২ মাস শেষে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে কিটোর কঠোর অধ্যবসায় বজায় রাখতে না পারাকেই দায়ী করেছেন গার্ডনার।
তবে শুধু কঠোর অধ্যবসায়ই নয়, অনেক সময় কিটো ডায়েট আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। এই বিবেচনায় গার্ডনার কিটো ডায়েটকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কম আঁষযুক্ত খাদ্য। এটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
স্মিথ জানান, কিটো ডায়েটের ফলে অন্ত্রের ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমগুলো ক্ষুধার্ত হওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আঁষযুক্ত খাবার না খাওয়া অন্যান্য অস্বস্তিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অভিযোগ। তবে এটি শুরুর দিকে থাকলেও পরে কেটে যেতে পারে।
ন্যান্সি অলিভেরা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে কিটো ডায়েট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে।’ তিনি জানান, কিটো ডায়েটে আঁষ কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেউ চাইলে মাল্টিভিটামিন আলাদা গ্রহণ করতে পারেন। তবে ফাইবার না থাকলে তার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমগুলো খাবার পাবে না। এর ফলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অসংখ্য রাসায়নিক মিস করতে হবে।
আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের জন্য কিটো ডায়েট একেবারেই উপযুক্ত নয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তি এবং হৃদ্রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা অন্যতম।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৫ দিন আগে