অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। আমরা জানি, ঘাতক ব্যাধি এইডসের মূলে রয়েছে একটি ভাইরাস, যার নাম এইচআইভি বা হিউম্যান ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এইডস রোগীদের একঘরে করে রাখার একটি সামাজিক সংস্কার আছে। এর কারণ, ধারণা করা হয় এই রোগ যৌনবাহিত। কিন্তু সব সময় যে যৌনবাহিত হবে, তেমন নয়। নিরীহ মানুষ সুচের মাধ্যমে রক্ত নিলেও এই রোগে সংক্রমিত হতে পারে। আবার কেউ এই রোগে সংক্রমিত হলেই যে তার কাছে যাওয়া যাবে না, এমনকি মেলামেশা করা যাবে না, কাছে এসে কথা বলা যাবে না, তা-ও নয়। এইডসের এই বৈষম্য দূর করতে রোগীদের সামাজিক অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তৈরি হচ্ছে এইচআইভি আইন।
২০২২ সালের আগে আক্রান্ত ৩৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের সঙ্গে আরও ১৩ লাখ মানুষ নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছে এইডস রোগে।
এর মধ্যে ৪৬ শতাংশ নারী ও বালিকা। মারা গেছে ৬ লাখ ৩০ হাজার। একই বছর মাত্র ৩০ মিলিয়ন মানুষ পেয়েছে এর চিকিৎসা—অ্যান্টি রেট্র ভাইরাল থেরাপি। দেখা গেছে, এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন সাব সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের নারীরা। তবে পুরো পৃথিবী এ থেকে মুক্ত নয়। আমাদের দেশেও এইডস রোগী আছে।
এইচআইভি পজিটিভ জানার পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার আগে সচেতনতা জরুরি। যদি নিজে বুঝতে পারা যায় যে এ কাজে এইডসের ঝুঁকি আছে, তাহলে সেটা বাদ দিতে হবে। প্রয়োজনে টেস্ট করাতে হবে। এটি জেনে রাখা ভালো যে আজকাল এইডস নির্ণয় করা যায় এবং এর চিকিৎসা হয়। এইচআইভি নিয়েও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। বিশ্বব্যাপী এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা এত আধুনিক যে এই রোগ নিয়েও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। তবে এর ওষুধ একবার চালু হলে সারা জীবন খেতে হবে।
এই রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসা শুরু হলে গোপনীয়তা রক্ষা এবং তাদের মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তা না হলে লোকে ঝুঁকি আছে জানলেও টেস্ট করাতে ভয় পাবে। জাতিসংঘের এইচআইভি সংস্থা ইউএন এইডস বাংলাদেশে জোরালোভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে সরকারও বেশ সজাগ।
জানা গেছে, দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। আর চিকিৎসার আওতায় এসেছে ৮ হাজার। এ বছর এ রোগে দেশে মৃত্যু হয়েছে ২০৫ জনের।
আমরা জানি, এইচআইভি সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয় না। এই ভাইরাসের কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে সাধারণ রোগও ভয়ংকর হয়ে ওঠে দেহে।
যে কারণে এইডস হয়
» অরক্ষিত যৌনমিলন
» সংক্রমিত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার
» সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ ও অঙ্গ সংস্থাপন
» সংক্রমিত সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার
» সংক্রমিত অবস্থায় গর্ভধারণে শিশুর এইডস হয় এইডস নিয়ে ভুল ধারণা
» মশা বা পোকা কামড়ালে এইডস হয় না
» এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের ঘাম বা প্রস্রাবের মাধ্যমে ছড়ায় না
» রোগীর সঙ্গে একই শৌচালয় বা সুইমিংপুল ব্যবহার করলে এ রোগ হয় না
» রোগীর তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করলে এইডস হয় না
» রোগীর সঙ্গে এক থালায় খেলে বা কাজ করলেও এ রোগ হয় না
» হাঁচি-কাশিতেও এ রোগ ছড়ায় না
যা করতে হবে
» নিরাপদ যৌনমিলন
» একই সুচ বা সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার করা যাবে না
» রক্তদানের আগে এইচআইভি স্ক্রিনিং করাতে হবে
» অপারেশনের আগে সব ধরনের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে হবে
» টেস্ট পজিটিভ হলে চিকিৎসা নিতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী,সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। আমরা জানি, ঘাতক ব্যাধি এইডসের মূলে রয়েছে একটি ভাইরাস, যার নাম এইচআইভি বা হিউম্যান ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এইডস রোগীদের একঘরে করে রাখার একটি সামাজিক সংস্কার আছে। এর কারণ, ধারণা করা হয় এই রোগ যৌনবাহিত। কিন্তু সব সময় যে যৌনবাহিত হবে, তেমন নয়। নিরীহ মানুষ সুচের মাধ্যমে রক্ত নিলেও এই রোগে সংক্রমিত হতে পারে। আবার কেউ এই রোগে সংক্রমিত হলেই যে তার কাছে যাওয়া যাবে না, এমনকি মেলামেশা করা যাবে না, কাছে এসে কথা বলা যাবে না, তা-ও নয়। এইডসের এই বৈষম্য দূর করতে রোগীদের সামাজিক অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তৈরি হচ্ছে এইচআইভি আইন।
২০২২ সালের আগে আক্রান্ত ৩৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের সঙ্গে আরও ১৩ লাখ মানুষ নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছে এইডস রোগে।
এর মধ্যে ৪৬ শতাংশ নারী ও বালিকা। মারা গেছে ৬ লাখ ৩০ হাজার। একই বছর মাত্র ৩০ মিলিয়ন মানুষ পেয়েছে এর চিকিৎসা—অ্যান্টি রেট্র ভাইরাল থেরাপি। দেখা গেছে, এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন সাব সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের নারীরা। তবে পুরো পৃথিবী এ থেকে মুক্ত নয়। আমাদের দেশেও এইডস রোগী আছে।
এইচআইভি পজিটিভ জানার পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার আগে সচেতনতা জরুরি। যদি নিজে বুঝতে পারা যায় যে এ কাজে এইডসের ঝুঁকি আছে, তাহলে সেটা বাদ দিতে হবে। প্রয়োজনে টেস্ট করাতে হবে। এটি জেনে রাখা ভালো যে আজকাল এইডস নির্ণয় করা যায় এবং এর চিকিৎসা হয়। এইচআইভি নিয়েও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। বিশ্বব্যাপী এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা এত আধুনিক যে এই রোগ নিয়েও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। তবে এর ওষুধ একবার চালু হলে সারা জীবন খেতে হবে।
এই রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসা শুরু হলে গোপনীয়তা রক্ষা এবং তাদের মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তা না হলে লোকে ঝুঁকি আছে জানলেও টেস্ট করাতে ভয় পাবে। জাতিসংঘের এইচআইভি সংস্থা ইউএন এইডস বাংলাদেশে জোরালোভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে সরকারও বেশ সজাগ।
জানা গেছে, দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। আর চিকিৎসার আওতায় এসেছে ৮ হাজার। এ বছর এ রোগে দেশে মৃত্যু হয়েছে ২০৫ জনের।
আমরা জানি, এইচআইভি সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয় না। এই ভাইরাসের কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে সাধারণ রোগও ভয়ংকর হয়ে ওঠে দেহে।
যে কারণে এইডস হয়
» অরক্ষিত যৌনমিলন
» সংক্রমিত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার
» সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ ও অঙ্গ সংস্থাপন
» সংক্রমিত সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার
» সংক্রমিত অবস্থায় গর্ভধারণে শিশুর এইডস হয় এইডস নিয়ে ভুল ধারণা
» মশা বা পোকা কামড়ালে এইডস হয় না
» এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের ঘাম বা প্রস্রাবের মাধ্যমে ছড়ায় না
» রোগীর সঙ্গে একই শৌচালয় বা সুইমিংপুল ব্যবহার করলে এ রোগ হয় না
» রোগীর তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করলে এইডস হয় না
» রোগীর সঙ্গে এক থালায় খেলে বা কাজ করলেও এ রোগ হয় না
» হাঁচি-কাশিতেও এ রোগ ছড়ায় না
যা করতে হবে
» নিরাপদ যৌনমিলন
» একই সুচ বা সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার করা যাবে না
» রক্তদানের আগে এইচআইভি স্ক্রিনিং করাতে হবে
» অপারেশনের আগে সব ধরনের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে হবে
» টেস্ট পজিটিভ হলে চিকিৎসা নিতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী,সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
১০ ঘণ্টা আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
২ দিন আগেসারা বিশ্বে হাম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর বিশ্বে ১০ লাখের বেশি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা (ডব্লিউএইচও) এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর যৌথ গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। হামের টিকা প্রদা
২ দিন আগেশীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
২ দিন আগে