নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের প্রতি পাঁচজনের একজন উচ্চরক্তচাপে ভুগছে। বিশেষ কোনো লক্ষণ না থাকায় এর তিন ভাগের এক ভাগ জানেই না তারা এই রোগে ভুগছে। তাই উচ্চরক্তচাপ বিষয়ে গণসচেতনতা ও চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির জন্য দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারসের কনফারেন্স রুমে ‘হাইপারটেনশন অ্যান্ড হার্ট হেলথ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘প্রজ্ঞা’ কর্মশালার আয়োজন করে।
এই কর্মশালায় উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (এনসিডি) ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের সেন্টার ফর নন কমিউনিকেবল ডিজিজ অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধাসহ বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভের ২০১৮ সালের বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, উচ্চরক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে প্রতি সাতজনে একজনেরও কম।
অন্যদিকে গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির ২০১৯ সালের তথ্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চরক্তচাপ। দেশে উচ্চরক্তচাপ বিষয়ে প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন মাত্র ২৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তাই হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান নিশ্চিত করতে এই খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটিরও বেশি মানুষ উচ্চরক্তচাপের কারণে মারা যায়, যা সংক্রামক রোগে মোট মৃত্যুর চেয়েও বেশি। অথচ অধিকাংশ সময় উচ্চরক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ ও উপসর্গ থাকে না। সাধারণত সকালের দিকে মাথাব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত ছন্দ, দৃষ্টিতে পরিবর্তন এবং কানে গুঞ্জন অনুভূতি প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হার্ট, কিডনিসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতাসহ বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা, হার্ট অ্যাটাক, হার্টফেল এবং হার্টবিট অনিয়মিত হওয়ার পাশাপাশি স্ট্রোক হতে পারে। কিন্তু উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেশ কিছু নীতি ও কর্মপরিকল্পনা থাকলেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি নেই।
এ সময় বক্তারা স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের জন্য পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করা, ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, তামাক ও মদ্যপান পরিহার করা, অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার কথা বলেন তাঁরা।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মো. রূহুল কুদ্দুস, এনটিভির হেড অব নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জহিরুল আলম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরন ও মিজান চৌধুরী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের।
দেশের প্রতি পাঁচজনের একজন উচ্চরক্তচাপে ভুগছে। বিশেষ কোনো লক্ষণ না থাকায় এর তিন ভাগের এক ভাগ জানেই না তারা এই রোগে ভুগছে। তাই উচ্চরক্তচাপ বিষয়ে গণসচেতনতা ও চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির জন্য দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারসের কনফারেন্স রুমে ‘হাইপারটেনশন অ্যান্ড হার্ট হেলথ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘প্রজ্ঞা’ কর্মশালার আয়োজন করে।
এই কর্মশালায় উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (এনসিডি) ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের সেন্টার ফর নন কমিউনিকেবল ডিজিজ অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধাসহ বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভের ২০১৮ সালের বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, উচ্চরক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে প্রতি সাতজনে একজনেরও কম।
অন্যদিকে গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির ২০১৯ সালের তথ্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চরক্তচাপ। দেশে উচ্চরক্তচাপ বিষয়ে প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন মাত্র ২৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তাই হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান নিশ্চিত করতে এই খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটিরও বেশি মানুষ উচ্চরক্তচাপের কারণে মারা যায়, যা সংক্রামক রোগে মোট মৃত্যুর চেয়েও বেশি। অথচ অধিকাংশ সময় উচ্চরক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ ও উপসর্গ থাকে না। সাধারণত সকালের দিকে মাথাব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত ছন্দ, দৃষ্টিতে পরিবর্তন এবং কানে গুঞ্জন অনুভূতি প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হার্ট, কিডনিসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতাসহ বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা, হার্ট অ্যাটাক, হার্টফেল এবং হার্টবিট অনিয়মিত হওয়ার পাশাপাশি স্ট্রোক হতে পারে। কিন্তু উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেশ কিছু নীতি ও কর্মপরিকল্পনা থাকলেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি নেই।
এ সময় বক্তারা স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের জন্য পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করা, ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, তামাক ও মদ্যপান পরিহার করা, অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার কথা বলেন তাঁরা।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মো. রূহুল কুদ্দুস, এনটিভির হেড অব নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জহিরুল আলম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরন ও মিজান চৌধুরী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে