ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
স্বাস্থ্যকুশলের জন্য একটি মূল সূত্র হলো সুনিদ্রা। কিন্তু অনেকের এই সৌভাগ্য হয় না। কাটে বিনিদ্র রজনী। জাগরণে যায় বিভাবরী।
যাঁদের আছে ক্রনিক ব্যথা-বেদনা, স্লিপ এপ্নিয়াসহ আরও সব স্বাস্থ্যসমস্যা, তাঁদের ঘুম আনতে লড়াই করতে হয়। এতে ঝুঁকি বাড়ে আরও বিপজ্জনক রোগের। রাতে ঘুমাতে সমস্যা হলে একটি বিষয় বিবেচনা করবেন, সেটা ঘুমানোর ভঙ্গি। আপনি যেভাবে ঘুমাতে অভ্যস্ত তা শরীরের চাহিদার সঙ্গে মিললিশ না-ও হতে পারে।
যাঁদের আছে ক্রনিক ব্যাক পেইন, তাঁরা যদি এমন ভঙ্গিতে শোন যে এতে পিঠে টান পড়ে, তাহলে সারা রাত এপিঠ-ওপিঠ করতে থাকবেন। যাঁদের স্বাস্থ্যসমস্যা আছে, তাঁদের জন্য অনেক সুবিধার শোয়ার ভঙ্গি হলো পা তুলে শোয়া। এমন ভঙ্গি অনেক দিন ধরে আমরা অবহেলা করেছি।
লো ব্যাক পেইন উপশমের জন্য
ক্রনিক ব্যাক পেইন ঘুম নষ্ট করে। হতে পারে শায়াটিকা, স্ন্যায়ু চেপে আছে বা হাড়ের গিঁটে ব্যথা এমন হলে সুফল আসে। চিত হয়ে শুলে ব্যাক পেইনে কাজ হয়, ওজন বিতরণ হয় সমভাবে, শিরদাঁড়ার ডিস্কের চাপ খাওয়ার সুযোগ কমে। শিরদাঁড়ার স্বাভাবিক বাঁক ঠিক রাখতে আর শিরদাঁড়ার ওপর চাপ কমাতে বালিশ হাঁটুর নিচে দিন। আরাম হবে।
সুগম করে রক্তের চলাচল
রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় হতে পারে রক্তের জমাট বাঁধা, শিরার ভেতরে থ্রম্বোসিস বা ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস ও স্ট্রোক। হার্টের লেভেল থেকে ৬-১২ ইঞ্চি বা ১৫-৩০ সেন্টিমিটার পা উঁচু করলে পা থেকে হার্টের দিকে রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। এতে পায়ে রক্ত চলাচল বাড়ে।
পায়ের ফোলা কমায়
প্রদাহ হলে, অর্থাৎ পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতার টিস্যুতে তরল আটকে গেলে হাত-পা ফুলে ব্যথা হতে পারে। ক্রনিক হার্টের রোগ, ফুসফুসের রোগ, খাবারে বেশি লবণ খাওয়া, অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও পা ফুলে যেতে পারে। বেশ ব্যথা হয় আবার ঘুমেরও হয় সমস্যা।
পা তুলে শুলে যেমন রক্তের চলাচল বাড়ে, তেমনি আটকে থাকা তরল নিষ্কাশন হতে পারে এমন দেহের ভঙ্গিতে। পা ফোলা থাকলে পা তুলে শুলে বেশ সুফল লাভ হবে।
কমায় চাপ
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে পা থেকে হার্টের দিকে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত হতে পারে। সেই রক্ত বেশ চাপ ফেলে শিরায়। দাঁড়িয়ে কাজ করলে দেখা যায় পায়ের শিরা এঁকেবেঁকে আছে। ফলে প্রদাহ হয়। রাতে পা উঁচু করে ঘুমালে পায়ের ক্লান্তি কমে আর চাপ কমে শরীরের নিচটায়।
যাঁদের সুবিধা হবে
১। যাঁদের লো ব্যাক পেইন আছে
২। যাঁদের শায়া টিকা আছে
৩। যাঁদের পা বা পায়ের আহত পাতা সেরে উঠছে
৪। যাঁদের সার্জারি হয়েছে
৫। যাঁদের হাড়ের গিঁটে ক্রনিক সমস্যা
৬। ভেরিকজ ভেন রোগী
৭। গর্ভবতী
৮। যাঁদের পায়ে শোথ আছে।
পা উঁচু করে শোয়ার জন্য সহজ আর সস্তা উপায় হলো বালিশ বা কোল বালিশ। আছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাডজাসট করা যায় এমন শয্যা। ব্যাক পেইনের জন্য হাঁটুর নিচে ছোট বালিশ যথেষ্ট।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ
স্বাস্থ্যকুশলের জন্য একটি মূল সূত্র হলো সুনিদ্রা। কিন্তু অনেকের এই সৌভাগ্য হয় না। কাটে বিনিদ্র রজনী। জাগরণে যায় বিভাবরী।
যাঁদের আছে ক্রনিক ব্যথা-বেদনা, স্লিপ এপ্নিয়াসহ আরও সব স্বাস্থ্যসমস্যা, তাঁদের ঘুম আনতে লড়াই করতে হয়। এতে ঝুঁকি বাড়ে আরও বিপজ্জনক রোগের। রাতে ঘুমাতে সমস্যা হলে একটি বিষয় বিবেচনা করবেন, সেটা ঘুমানোর ভঙ্গি। আপনি যেভাবে ঘুমাতে অভ্যস্ত তা শরীরের চাহিদার সঙ্গে মিললিশ না-ও হতে পারে।
যাঁদের আছে ক্রনিক ব্যাক পেইন, তাঁরা যদি এমন ভঙ্গিতে শোন যে এতে পিঠে টান পড়ে, তাহলে সারা রাত এপিঠ-ওপিঠ করতে থাকবেন। যাঁদের স্বাস্থ্যসমস্যা আছে, তাঁদের জন্য অনেক সুবিধার শোয়ার ভঙ্গি হলো পা তুলে শোয়া। এমন ভঙ্গি অনেক দিন ধরে আমরা অবহেলা করেছি।
লো ব্যাক পেইন উপশমের জন্য
ক্রনিক ব্যাক পেইন ঘুম নষ্ট করে। হতে পারে শায়াটিকা, স্ন্যায়ু চেপে আছে বা হাড়ের গিঁটে ব্যথা এমন হলে সুফল আসে। চিত হয়ে শুলে ব্যাক পেইনে কাজ হয়, ওজন বিতরণ হয় সমভাবে, শিরদাঁড়ার ডিস্কের চাপ খাওয়ার সুযোগ কমে। শিরদাঁড়ার স্বাভাবিক বাঁক ঠিক রাখতে আর শিরদাঁড়ার ওপর চাপ কমাতে বালিশ হাঁটুর নিচে দিন। আরাম হবে।
সুগম করে রক্তের চলাচল
রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় হতে পারে রক্তের জমাট বাঁধা, শিরার ভেতরে থ্রম্বোসিস বা ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস ও স্ট্রোক। হার্টের লেভেল থেকে ৬-১২ ইঞ্চি বা ১৫-৩০ সেন্টিমিটার পা উঁচু করলে পা থেকে হার্টের দিকে রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। এতে পায়ে রক্ত চলাচল বাড়ে।
পায়ের ফোলা কমায়
প্রদাহ হলে, অর্থাৎ পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতার টিস্যুতে তরল আটকে গেলে হাত-পা ফুলে ব্যথা হতে পারে। ক্রনিক হার্টের রোগ, ফুসফুসের রোগ, খাবারে বেশি লবণ খাওয়া, অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও পা ফুলে যেতে পারে। বেশ ব্যথা হয় আবার ঘুমেরও হয় সমস্যা।
পা তুলে শুলে যেমন রক্তের চলাচল বাড়ে, তেমনি আটকে থাকা তরল নিষ্কাশন হতে পারে এমন দেহের ভঙ্গিতে। পা ফোলা থাকলে পা তুলে শুলে বেশ সুফল লাভ হবে।
কমায় চাপ
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে পা থেকে হার্টের দিকে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত হতে পারে। সেই রক্ত বেশ চাপ ফেলে শিরায়। দাঁড়িয়ে কাজ করলে দেখা যায় পায়ের শিরা এঁকেবেঁকে আছে। ফলে প্রদাহ হয়। রাতে পা উঁচু করে ঘুমালে পায়ের ক্লান্তি কমে আর চাপ কমে শরীরের নিচটায়।
যাঁদের সুবিধা হবে
১। যাঁদের লো ব্যাক পেইন আছে
২। যাঁদের শায়া টিকা আছে
৩। যাঁদের পা বা পায়ের আহত পাতা সেরে উঠছে
৪। যাঁদের সার্জারি হয়েছে
৫। যাঁদের হাড়ের গিঁটে ক্রনিক সমস্যা
৬। ভেরিকজ ভেন রোগী
৭। গর্ভবতী
৮। যাঁদের পায়ে শোথ আছে।
পা উঁচু করে শোয়ার জন্য সহজ আর সস্তা উপায় হলো বালিশ বা কোল বালিশ। আছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাডজাসট করা যায় এমন শয্যা। ব্যাক পেইনের জন্য হাঁটুর নিচে ছোট বালিশ যথেষ্ট।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৩ দিন আগে