অনলাইন ডেস্ক
এর সঙ্গে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ও কাঁচা লবণ খাওয়া কমিয়ে আনাসহ চিকিৎসকদের প্রতিষ্ঠিত পরামর্শ তো মেনে চলতেই হবে। হাইপারটেনশন নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধ অনুসারে, তুলনামূলক কম প্রচলিত এ উপায়গুলো নিয়ে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের রক্তচাপ বিশেষজ্ঞ ও নিবন্ধের অন্যতম লেখক অধ্যাপক ব্রায়ান উইলিয়ামস বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ পরামর্শগুলো শুনে মনে হয়, এগুলো ওষুধ খাওয়ার মতো এতটা কার্যকরী নয়। তবে এ উপায়গুলো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় দুশ্চিন্তার প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ নিজের জন্য কতকিছুই করতে পারেন। আমাদের উচিত নিজের জন্য দৈনিক অন্তত আধাঘণ্টা সময় বের করা। এ সময়টাতে নিজেকে চাপমুক্ত করতে হবে ও বিশ্রাম নিতে হবে। গান শুনে, হাঁটাচলা করে, জিমে গিয়ে ও কয়েকটি ব্যায়াম করে নিজেকে চাপমুক্ত করা যায়।’
কী করলে রক্তচাপ কমবে?
অকালমৃত্যুর শীর্ষ কারণ হলো উচ্চ রক্ত চাপ। উচ্চ রক্ত চাপের কারণে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীতে চাপ পড়ে। এর দীর্ঘ পরিণতি হিসেবে হৃদরোগ, হৃদযন্ত্রের বন্ধ হয়ে যাওয়া ও স্ট্রোক হতে পারে। সারা বিশ্বে একশ কোটিরও বেশি মানুষ বা প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রতি চার জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।
১৮ দেশের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শ
অধ্যাপক উইলিয়ামসের মতে, মানসিক চাপ ও হৃদপিন্ডের ওপর চাপ কমানোর ক্ষেত্রে দৈনিক কর্মযজ্ঞ থেকে মনযোগ সরিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও সামষ্টিক প্রভাব রয়েছে।
এক্ষেত্রে আরও কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা যায়। যেমন, নিয়মিত কায়িক শ্রম করা ও পর্যাপ্ত ঘুমানো। নানাধরনের ফিটনেস গ্যাজেট ও অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতি পদক্ষেপ, ঘুম ও স্বাস্থ্যের উন্নতি পরিমাপ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক উইলিয়ামস বলেন, ‘শুধু ঘুমের পরিমাণ নয় ঘুমের মানও গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো মানুষকে অন্তত ৭ ঘণ্টা ভালোভাবে ঘুমাতে হবে। এতে কম ঘুম ও চাপমুক্ত না হওয়ার কারণে যে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় তা কমে।’
তিনি আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন-
দৈনন্দিন খাবারে মাছ বা ওমেগা–৩ ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট রাখা যেতে পারে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিক ও প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
অল্প পরিমাণে চা–কফি খাওয়া ঠিক আছে। তবে বেশি পরিমাণে এনার্জি ড্রিংক ও ক্যাফেইন গ্রহণে ক্ষতি হতে পারে।
লিকারিক টি বা যষ্ঠিমধুর গাছের পাতা থেকে তৈরি চা পানে সতর্ক থাকতে হবে। এতে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিটরুট ও আনারের রস রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে নাইট্রেট যৌগ থাকে। রক্তনালি প্রসারিত ও শিথিল করতে চিকিৎসকরা নাইট্রেট ব্যবহার করেন।
ঘরের বাইরে ব্যায়াম করতে হল, কোনো পার্ক বা ব্যস্ত নয় এমন রাস্তা বেছে নিতে হবে। কারণ ব্যস্ত জায়গায় বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু থাকে, যা আমাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
এর সঙ্গে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ও কাঁচা লবণ খাওয়া কমিয়ে আনাসহ চিকিৎসকদের প্রতিষ্ঠিত পরামর্শ তো মেনে চলতেই হবে। হাইপারটেনশন নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধ অনুসারে, তুলনামূলক কম প্রচলিত এ উপায়গুলো নিয়ে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের রক্তচাপ বিশেষজ্ঞ ও নিবন্ধের অন্যতম লেখক অধ্যাপক ব্রায়ান উইলিয়ামস বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ পরামর্শগুলো শুনে মনে হয়, এগুলো ওষুধ খাওয়ার মতো এতটা কার্যকরী নয়। তবে এ উপায়গুলো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় দুশ্চিন্তার প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ নিজের জন্য কতকিছুই করতে পারেন। আমাদের উচিত নিজের জন্য দৈনিক অন্তত আধাঘণ্টা সময় বের করা। এ সময়টাতে নিজেকে চাপমুক্ত করতে হবে ও বিশ্রাম নিতে হবে। গান শুনে, হাঁটাচলা করে, জিমে গিয়ে ও কয়েকটি ব্যায়াম করে নিজেকে চাপমুক্ত করা যায়।’
কী করলে রক্তচাপ কমবে?
অকালমৃত্যুর শীর্ষ কারণ হলো উচ্চ রক্ত চাপ। উচ্চ রক্ত চাপের কারণে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীতে চাপ পড়ে। এর দীর্ঘ পরিণতি হিসেবে হৃদরোগ, হৃদযন্ত্রের বন্ধ হয়ে যাওয়া ও স্ট্রোক হতে পারে। সারা বিশ্বে একশ কোটিরও বেশি মানুষ বা প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রতি চার জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।
১৮ দেশের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শ
অধ্যাপক উইলিয়ামসের মতে, মানসিক চাপ ও হৃদপিন্ডের ওপর চাপ কমানোর ক্ষেত্রে দৈনিক কর্মযজ্ঞ থেকে মনযোগ সরিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও সামষ্টিক প্রভাব রয়েছে।
এক্ষেত্রে আরও কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা যায়। যেমন, নিয়মিত কায়িক শ্রম করা ও পর্যাপ্ত ঘুমানো। নানাধরনের ফিটনেস গ্যাজেট ও অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতি পদক্ষেপ, ঘুম ও স্বাস্থ্যের উন্নতি পরিমাপ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক উইলিয়ামস বলেন, ‘শুধু ঘুমের পরিমাণ নয় ঘুমের মানও গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো মানুষকে অন্তত ৭ ঘণ্টা ভালোভাবে ঘুমাতে হবে। এতে কম ঘুম ও চাপমুক্ত না হওয়ার কারণে যে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় তা কমে।’
তিনি আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন-
দৈনন্দিন খাবারে মাছ বা ওমেগা–৩ ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট রাখা যেতে পারে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিক ও প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
অল্প পরিমাণে চা–কফি খাওয়া ঠিক আছে। তবে বেশি পরিমাণে এনার্জি ড্রিংক ও ক্যাফেইন গ্রহণে ক্ষতি হতে পারে।
লিকারিক টি বা যষ্ঠিমধুর গাছের পাতা থেকে তৈরি চা পানে সতর্ক থাকতে হবে। এতে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিটরুট ও আনারের রস রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে নাইট্রেট যৌগ থাকে। রক্তনালি প্রসারিত ও শিথিল করতে চিকিৎসকরা নাইট্রেট ব্যবহার করেন।
ঘরের বাইরে ব্যায়াম করতে হল, কোনো পার্ক বা ব্যস্ত নয় এমন রাস্তা বেছে নিতে হবে। কারণ ব্যস্ত জায়গায় বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু থাকে, যা আমাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
মানবকল্যাণে আরও একধাপ এগিয়ে আলোক হেলথকেয়ার। সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের ধারাবাহিকতায় আলোক হেলথকেয়ারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার, বেনটেক্স অ্যাপারেলস লি. (মিল্কভিটা রোড, পল্লবী-মিরপুর) এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রনিক কিডনি ডিজিজকে (সিকেডি) মূলত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়—Stage-1 থেকে Stage-5; আর শেষ ধাপ ESRD (End Stage Renal Disease), যখন একজন রোগীকে ডায়ালাইসিস-নির্ভর থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে যারা Stage-4, Stage-5 ও ESRD রোগী বা যারা পেরিটোনিয়াল বা হেমোডায়ালাইসিস-নির্ভর, তারা রোজা রাখার জন্য সম্পূর্ণভাবে অনুপযুক্ত..
১৩ ঘণ্টা আগেচিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। এটাকে দুই বছর বাড়িয়ে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়স ৩৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিগত সরকারের সময় বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘদিনের...
২০ ঘণ্টা আগেগ্লকোমা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীতে অনিবারণযোগ্য অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। এবারের এ দিবসের স্লোগান হলো ‘এক সাথে হাত ধরি, গ্লকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
২ দিন আগে