‘সুদানের সংঘাত বিশ্বের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১২: ৪২
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৩: ০৪

সুদানের সংঘাত সিরিয়া, লিবিয়ার চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক। একই সঙ্গে দেশটিতে চলমান সংঘাত বিশ্বের জন্য এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

সুদানের সেনাবাহিনী বলছে, ভারী কামান দিয়ে রাজধানী খার্তুমে চারদিক থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাতে দেশটিতে কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া সুদান ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। 

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে এক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সুদানের সামরিক নেতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনীর প্রধানকে শান্তি আলোচনায় রাজি করার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান আবদাল্লাহ হামদক। 

সুদানে চলমান সংঘাতে কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ছবি: টুইটার/এএফপিহামদক বলেন, ‘সুদান একটি বড় দেশ, এখানে নানা বৈচিত্র্য রয়েছে। আমি মনে করি এ দেশের চলমান সংঘাত বিশ্বের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে।’ তিনি আরও বলেন, এই সংঘাত ছোট কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে নয়। দুটি প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই প্রতিপক্ষ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ৭২ ঘণ্টা বাড়াতে সম্মত হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সেই অর্থে বাড়েনি। খার্তুমের কিছু অংশে বিমান, ট্যাংক ও কামান দিয়ে হামলা অব্যাহত রাখার খবর পাওয়া গেছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য পাচ্ছে না অনেক এলাকার বাসিন্দারা। নগদ অর্থের সংকট তো রয়েছেই। 

গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামের আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদানের ক্ষমতা মূলত সামরিক জেনারেলদের হাতে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তাঁর অনুগত বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালুর নেতৃত্বাধীন আরএসএফের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত