মরক্কোর ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০০ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭: ৫২
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ৫৩

আফ্রিকার দেশ মরক্কোর বিগত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ২০১২ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি আরও ২ হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টার পর আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল অ্যাটলাস পর্বতমালার একটি অঞ্চল। এর গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল মারাকেশের প্রায় ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০৫৯ জন। আহতদের মধ্যে ১৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। 

এদিকে ভূমিকম্পের ফলে বিপুল পরিমাণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিশেষ করে কাদামাটি এবং পাথরের তৈরি ঘরগুলোর অধিকাংশই বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে বিপুল পরিমাণ মানুষ আটকা পড়েছে। স্থানীয়রা খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শোকার্ত স্বজনদের হাহাকারে ভারী হয়ে উঠেছে মারাকেশের আকাশ-বাতাস। 

এদিকে, মরক্কোর এই ভূমিকম্পে বিপুল পরিমাণ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর বিপুল পরিমাণ মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা গেছে, মারাকেশের বিপুল পরিমাণ মানুষ আশ্রয়ের জন্য দিগ্‌বিদিক ছুটছে। কিন্তু নির্ধারিত কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতেও বিপুল পরিমাণ মানুষ খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটায়।

ভূমিকম্পের পরপরই মরক্কো সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। দেশটির রাজকীয় আদেশে বলা হয়েছে, এই তিন দিন সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। উদ্ধার তৎপরতা দ্রুত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা, খাদ্য, সেবা, আশ্রয়, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত