মালি সীমান্তের কাছে বুরকিনা ফাসোতে হামলা, নিহত বেসামরিক ৬০

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১: ৪০
Thumbnail image

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় অন্তত ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, হামলার তদন্ত করা হচ্ছে। 

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মালির সীমান্তবর্তী গ্রাম কারমায় স্থানীয় সময় শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশর উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় প্রসিকিউটর লামিন বলেন, দুষ্কৃতকারীরা হামলা করে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। নিহতদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

এদিকে এক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুষ্কৃতকারীরা বুরকিনা ফাসোর সশস্ত্র বাহিনীর পোশাক পরা ছিল। এর বাইরে আর কিছু বলা হয়নি বিবৃতিতে। 

 ২০১২ সালে মালিতে আঞ্চলিক অস্থিরতা শুরু হয়। সে সময় সশস্ত্র গ্রুপগুলো (আল কায়েদা ও আইএস) বুরকিনা ফাসোর প্রায় ৪০ শতাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ মাসের শুরুর দিকে বুরকিনা ফাসোর সামরিক শাসকেরা হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে সৈন্য সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। 

কারমা গ্রামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মোটরবাইক ও পিক-আপ ট্রাকে করে অন্তত ১০০ দুষ্কৃতকারী গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সামরিক পোশাক পরা ছিল। তারা অন্তত ৮০ জনকে হত্যা করেছে। 

এর আগে গত সপ্তাহে কারমা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম আওরেমায় অজ্ঞাত গোষ্ঠীর হামলায় ৩৪ জন সেনাবাহিনীর স্বেচ্ছাসেবক ও সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। 

এ মাসের শুরুর দিকে বুরকিনা ফাসোর সামরিক শাসকেরা সশস্ত্র গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ‘সৈন্য সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার এক ডিক্রিতে বলেছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী এবং শারীরিকভাবে সুস্থ যে কাউকে সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত করার জন্য ডাকা হবে। 

সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভের ফলে গত বছর দুটি অভ্যুত্থান ঘটে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থানের পর ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট হন। ট্রাওর বলেছেন, তিনি ২০২৪ সালের মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত