আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো। এর ফলে, ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের পরবর্তী নেতা কে হবেন, তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি চার্চের কাঠামো ও চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এনেছে। এই অবস্থায় তাঁর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তরসূরি নির্বাচন করা হয়নি। জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক যাজকদের নিয়ে গঠিত কার্ডিনালদের ‘কলেজ’ পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবে। তাদের বেশির ভাগকেই পোপ ফ্রান্সিস নিজে নিযুক্ত করেছেন।
পোপ হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ব্যাপ্টাইজ হওয়া, পুরুষ এবং রোমান ক্যাথলিক হওয়ার শর্ত পূরণ করতে হবে। ভ্যাটিক্যানের কয়েক শ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে, কার্ডিনালরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজনকে পোপ হিসেবে নির্বাচন করে আসছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৪০ জনের বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তাঁরা সাধারণত আমৃত্যু এই পদে থাকেন। ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের পর ভোট দেন। এই প্রক্রিয়া ‘পেপাল কনক্লেভ’ নামে পরিচিত। বাইরের প্রভাব এড়াতে কনক্লেভ সিসটিন চ্যাপেলের ভেতরে আবদ্ধ থাকে এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা করে।
সাধারণত পোপ নির্বাচকদের সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে ১৩৮ জন ভোট দেওয়ার যোগ্য। তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। ৯ জন নির্বাচিত কার্ডিনাল এই প্রক্রিয়ার তদারকি করেন। নতুন পোপ নির্বাচিত হতে ঐতিহ্যগতভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। এই সংখ্যক সমর্থন অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে।
প্রতি দফা ভোটের পর এক বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে ব্যালটগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। কালো ধোঁয়া মানে—কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আর সাদা ধোঁয়া মানে—নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
সাধারণত ক্ষমতাসীন পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের দুই বা তিন সপ্তাহ পর এটি ঘটে। এতে নয় দিনের শোক পালন এবং কার্ডিনালদের বিশ্বজুড়ে ভ্যাটিকানে আসার সময় পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের কনক্লেভে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম পোপ। তাঁর পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্টের পদত্যাগের মাত্র ১২ দিন পর এই কনক্লেভ শুরু হয়েছিল।
এই প্রক্রিয়া কয়েক দিন, সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ও নিতে পারে। এটি কার্ডিনালদের মধ্যে বিভক্তির ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন কনক্লেভে চার দফা পর্যন্ত ভোট হতে পারে। এতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ৩৩ দফা ভোটের পরও যদি কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তবে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে রান-অব ভোট হয়।
গত তিন পোপের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই কয়েক দিনের বেশি সময় নেওয়া হয়নি। তবে অনেক পোপের নির্বাচন অনেক দীর্ঘ হয়েছে। যেমন, ১২৭১ সালে পোপ দশম গ্রেগরির নির্বাচনে প্রায় তিন বছর লেগেছিল। এর কারণ ছিল তীব্র রাজনৈতিক কোন্দল।
কনক্লেভে ভোট দেওয়ার যোগ্য ১৩৮ জন কার্ডিনালের মধ্যে ১১০ জনকে পোপ ফ্রান্সিস নিয়োগ করেছিলেন। এই দলটি পূর্বের নির্বাচকদের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ। এতে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব বেশি। সবচেয়ে কম বয়সী কার্ডিনাল নির্বাচকের বয়স মাত্র ৪৫ বছর। তিনি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইউক্রেনীয় যাজক।
ফলে, বিগত এক শতকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরবর্তী পোপ আফ্রিকা বা এশিয়া থেকে আসতে পারেন। অথবা চার্চের নেতৃত্বে ঐতিহ্যগতভাবে স্বল্প প্রতিনিধিত্ব থাকা অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আসতে পারেন। আফ্রিকার যে কার্ডিনালদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঘানার পিটার টার্কসন। তিনি পন্টিফিকাল কাউন্সিল ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের সাবেক প্রধান। এ ছাড়া, আছেন—গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ফ্রিডোলিন অ্যাম্বোঙ্গো। তিনি কিনশাসার আর্চবিশপ। দুজনেই রক্ষণশীল এবং নিজ নিজ দেশে শান্তির জন্য সোচ্চার।
আরেক শক্তিশালী প্রার্থী হলেন—ফিলিপাইনের কার্ডিনাল লুইস তাগলে। তিনি ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ। পোপ ফ্রান্সিসের মতো তাগলেও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্রদের সেবার ওপর জোর দেন। হাঙ্গেরির কার্ডিনাল পিটার এরডোকে শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি পূর্ব ইউরোপের খ্রিষ্টানদের সঙ্গে পশ্চিম ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের খ্রিষ্টানদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন।
আলোচনায় আছেন—কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিনও। তিনি হোলি সি’র সেক্রেটারি অব স্টেট। তাঁর শীর্ষ কূটনৈতিক ভূমিকার কারণে সকল কার্ডিনাল তাঁকে ভালোভাবে চেনেন। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইতালির মাত্তেও জুপ্পি। তিনি বোলোগনার আর্চবিশপ। আছেন মাল্টার সিনড অব বিশপসের সেক্রেটারি-জেনারেল মারিও গ্রেচ। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে, ঐতিহ্য অনুসারে—যখন কোনো পোপের মৃত্যু হয় তারপর পরবর্তী পোপ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সময়কালকে ‘সেদে ভ্যাকান্তে’ বা ‘শূন্য আসন’ সময়কাল বলা হয়। এ সময় একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল ‘ক্যামারলেঙ্গো’ নামে পরিচিত হন। তিনি পোপের মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং সাময়িকভাবে ভ্যাটিকানের অর্থ ও প্রশাসনিক বিষয়ের দায়িত্ব নেন। চার্চের নীতি পরিবর্তন বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর থাকে না।
বর্তমান ক্যামেরলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো। এর ফলে, ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের পরবর্তী নেতা কে হবেন, তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি চার্চের কাঠামো ও চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এনেছে। এই অবস্থায় তাঁর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তরসূরি নির্বাচন করা হয়নি। জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক যাজকদের নিয়ে গঠিত কার্ডিনালদের ‘কলেজ’ পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবে। তাদের বেশির ভাগকেই পোপ ফ্রান্সিস নিজে নিযুক্ত করেছেন।
পোপ হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ব্যাপ্টাইজ হওয়া, পুরুষ এবং রোমান ক্যাথলিক হওয়ার শর্ত পূরণ করতে হবে। ভ্যাটিক্যানের কয়েক শ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে, কার্ডিনালরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজনকে পোপ হিসেবে নির্বাচন করে আসছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৪০ জনের বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তাঁরা সাধারণত আমৃত্যু এই পদে থাকেন। ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের পর ভোট দেন। এই প্রক্রিয়া ‘পেপাল কনক্লেভ’ নামে পরিচিত। বাইরের প্রভাব এড়াতে কনক্লেভ সিসটিন চ্যাপেলের ভেতরে আবদ্ধ থাকে এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা করে।
সাধারণত পোপ নির্বাচকদের সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে ১৩৮ জন ভোট দেওয়ার যোগ্য। তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। ৯ জন নির্বাচিত কার্ডিনাল এই প্রক্রিয়ার তদারকি করেন। নতুন পোপ নির্বাচিত হতে ঐতিহ্যগতভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। এই সংখ্যক সমর্থন অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে।
প্রতি দফা ভোটের পর এক বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে ব্যালটগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। কালো ধোঁয়া মানে—কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আর সাদা ধোঁয়া মানে—নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
সাধারণত ক্ষমতাসীন পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের দুই বা তিন সপ্তাহ পর এটি ঘটে। এতে নয় দিনের শোক পালন এবং কার্ডিনালদের বিশ্বজুড়ে ভ্যাটিকানে আসার সময় পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের কনক্লেভে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম পোপ। তাঁর পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্টের পদত্যাগের মাত্র ১২ দিন পর এই কনক্লেভ শুরু হয়েছিল।
এই প্রক্রিয়া কয়েক দিন, সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ও নিতে পারে। এটি কার্ডিনালদের মধ্যে বিভক্তির ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন কনক্লেভে চার দফা পর্যন্ত ভোট হতে পারে। এতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ৩৩ দফা ভোটের পরও যদি কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তবে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে রান-অব ভোট হয়।
গত তিন পোপের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই কয়েক দিনের বেশি সময় নেওয়া হয়নি। তবে অনেক পোপের নির্বাচন অনেক দীর্ঘ হয়েছে। যেমন, ১২৭১ সালে পোপ দশম গ্রেগরির নির্বাচনে প্রায় তিন বছর লেগেছিল। এর কারণ ছিল তীব্র রাজনৈতিক কোন্দল।
কনক্লেভে ভোট দেওয়ার যোগ্য ১৩৮ জন কার্ডিনালের মধ্যে ১১০ জনকে পোপ ফ্রান্সিস নিয়োগ করেছিলেন। এই দলটি পূর্বের নির্বাচকদের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ। এতে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব বেশি। সবচেয়ে কম বয়সী কার্ডিনাল নির্বাচকের বয়স মাত্র ৪৫ বছর। তিনি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইউক্রেনীয় যাজক।
ফলে, বিগত এক শতকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরবর্তী পোপ আফ্রিকা বা এশিয়া থেকে আসতে পারেন। অথবা চার্চের নেতৃত্বে ঐতিহ্যগতভাবে স্বল্প প্রতিনিধিত্ব থাকা অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আসতে পারেন। আফ্রিকার যে কার্ডিনালদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঘানার পিটার টার্কসন। তিনি পন্টিফিকাল কাউন্সিল ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের সাবেক প্রধান। এ ছাড়া, আছেন—গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ফ্রিডোলিন অ্যাম্বোঙ্গো। তিনি কিনশাসার আর্চবিশপ। দুজনেই রক্ষণশীল এবং নিজ নিজ দেশে শান্তির জন্য সোচ্চার।
আরেক শক্তিশালী প্রার্থী হলেন—ফিলিপাইনের কার্ডিনাল লুইস তাগলে। তিনি ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ। পোপ ফ্রান্সিসের মতো তাগলেও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্রদের সেবার ওপর জোর দেন। হাঙ্গেরির কার্ডিনাল পিটার এরডোকে শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি পূর্ব ইউরোপের খ্রিষ্টানদের সঙ্গে পশ্চিম ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের খ্রিষ্টানদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন।
আলোচনায় আছেন—কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিনও। তিনি হোলি সি’র সেক্রেটারি অব স্টেট। তাঁর শীর্ষ কূটনৈতিক ভূমিকার কারণে সকল কার্ডিনাল তাঁকে ভালোভাবে চেনেন। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইতালির মাত্তেও জুপ্পি। তিনি বোলোগনার আর্চবিশপ। আছেন মাল্টার সিনড অব বিশপসের সেক্রেটারি-জেনারেল মারিও গ্রেচ। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে, ঐতিহ্য অনুসারে—যখন কোনো পোপের মৃত্যু হয় তারপর পরবর্তী পোপ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সময়কালকে ‘সেদে ভ্যাকান্তে’ বা ‘শূন্য আসন’ সময়কাল বলা হয়। এ সময় একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল ‘ক্যামারলেঙ্গো’ নামে পরিচিত হন। তিনি পোপের মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং সাময়িকভাবে ভ্যাটিকানের অর্থ ও প্রশাসনিক বিষয়ের দায়িত্ব নেন। চার্চের নীতি পরিবর্তন বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর থাকে না।
বর্তমান ক্যামেরলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো। এর ফলে, ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের পরবর্তী নেতা কে হবেন, তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি চার্চের কাঠামো ও চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এনেছে। এই অবস্থায় তাঁর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তরসূরি নির্বাচন করা হয়নি। জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক যাজকদের নিয়ে গঠিত কার্ডিনালদের ‘কলেজ’ পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবে। তাদের বেশির ভাগকেই পোপ ফ্রান্সিস নিজে নিযুক্ত করেছেন।
পোপ হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ব্যাপ্টাইজ হওয়া, পুরুষ এবং রোমান ক্যাথলিক হওয়ার শর্ত পূরণ করতে হবে। ভ্যাটিক্যানের কয়েক শ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে, কার্ডিনালরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজনকে পোপ হিসেবে নির্বাচন করে আসছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৪০ জনের বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তাঁরা সাধারণত আমৃত্যু এই পদে থাকেন। ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের পর ভোট দেন। এই প্রক্রিয়া ‘পেপাল কনক্লেভ’ নামে পরিচিত। বাইরের প্রভাব এড়াতে কনক্লেভ সিসটিন চ্যাপেলের ভেতরে আবদ্ধ থাকে এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা করে।
সাধারণত পোপ নির্বাচকদের সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে ১৩৮ জন ভোট দেওয়ার যোগ্য। তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। ৯ জন নির্বাচিত কার্ডিনাল এই প্রক্রিয়ার তদারকি করেন। নতুন পোপ নির্বাচিত হতে ঐতিহ্যগতভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। এই সংখ্যক সমর্থন অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে।
প্রতি দফা ভোটের পর এক বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে ব্যালটগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। কালো ধোঁয়া মানে—কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আর সাদা ধোঁয়া মানে—নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
সাধারণত ক্ষমতাসীন পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের দুই বা তিন সপ্তাহ পর এটি ঘটে। এতে নয় দিনের শোক পালন এবং কার্ডিনালদের বিশ্বজুড়ে ভ্যাটিকানে আসার সময় পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের কনক্লেভে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম পোপ। তাঁর পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্টের পদত্যাগের মাত্র ১২ দিন পর এই কনক্লেভ শুরু হয়েছিল।
এই প্রক্রিয়া কয়েক দিন, সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ও নিতে পারে। এটি কার্ডিনালদের মধ্যে বিভক্তির ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন কনক্লেভে চার দফা পর্যন্ত ভোট হতে পারে। এতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ৩৩ দফা ভোটের পরও যদি কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তবে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে রান-অব ভোট হয়।
গত তিন পোপের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই কয়েক দিনের বেশি সময় নেওয়া হয়নি। তবে অনেক পোপের নির্বাচন অনেক দীর্ঘ হয়েছে। যেমন, ১২৭১ সালে পোপ দশম গ্রেগরির নির্বাচনে প্রায় তিন বছর লেগেছিল। এর কারণ ছিল তীব্র রাজনৈতিক কোন্দল।
কনক্লেভে ভোট দেওয়ার যোগ্য ১৩৮ জন কার্ডিনালের মধ্যে ১১০ জনকে পোপ ফ্রান্সিস নিয়োগ করেছিলেন। এই দলটি পূর্বের নির্বাচকদের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ। এতে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব বেশি। সবচেয়ে কম বয়সী কার্ডিনাল নির্বাচকের বয়স মাত্র ৪৫ বছর। তিনি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইউক্রেনীয় যাজক।
ফলে, বিগত এক শতকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরবর্তী পোপ আফ্রিকা বা এশিয়া থেকে আসতে পারেন। অথবা চার্চের নেতৃত্বে ঐতিহ্যগতভাবে স্বল্প প্রতিনিধিত্ব থাকা অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আসতে পারেন। আফ্রিকার যে কার্ডিনালদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঘানার পিটার টার্কসন। তিনি পন্টিফিকাল কাউন্সিল ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের সাবেক প্রধান। এ ছাড়া, আছেন—গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ফ্রিডোলিন অ্যাম্বোঙ্গো। তিনি কিনশাসার আর্চবিশপ। দুজনেই রক্ষণশীল এবং নিজ নিজ দেশে শান্তির জন্য সোচ্চার।
আরেক শক্তিশালী প্রার্থী হলেন—ফিলিপাইনের কার্ডিনাল লুইস তাগলে। তিনি ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ। পোপ ফ্রান্সিসের মতো তাগলেও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্রদের সেবার ওপর জোর দেন। হাঙ্গেরির কার্ডিনাল পিটার এরডোকে শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি পূর্ব ইউরোপের খ্রিষ্টানদের সঙ্গে পশ্চিম ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের খ্রিষ্টানদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন।
আলোচনায় আছেন—কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিনও। তিনি হোলি সি’র সেক্রেটারি অব স্টেট। তাঁর শীর্ষ কূটনৈতিক ভূমিকার কারণে সকল কার্ডিনাল তাঁকে ভালোভাবে চেনেন। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইতালির মাত্তেও জুপ্পি। তিনি বোলোগনার আর্চবিশপ। আছেন মাল্টার সিনড অব বিশপসের সেক্রেটারি-জেনারেল মারিও গ্রেচ। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে, ঐতিহ্য অনুসারে—যখন কোনো পোপের মৃত্যু হয় তারপর পরবর্তী পোপ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সময়কালকে ‘সেদে ভ্যাকান্তে’ বা ‘শূন্য আসন’ সময়কাল বলা হয়। এ সময় একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল ‘ক্যামারলেঙ্গো’ নামে পরিচিত হন। তিনি পোপের মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং সাময়িকভাবে ভ্যাটিকানের অর্থ ও প্রশাসনিক বিষয়ের দায়িত্ব নেন। চার্চের নীতি পরিবর্তন বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর থাকে না।
বর্তমান ক্যামেরলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো। এর ফলে, ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের পরবর্তী নেতা কে হবেন, তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি চার্চের কাঠামো ও চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এনেছে। এই অবস্থায় তাঁর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তরসূরি নির্বাচন করা হয়নি। জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক যাজকদের নিয়ে গঠিত কার্ডিনালদের ‘কলেজ’ পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবে। তাদের বেশির ভাগকেই পোপ ফ্রান্সিস নিজে নিযুক্ত করেছেন।
পোপ হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ব্যাপ্টাইজ হওয়া, পুরুষ এবং রোমান ক্যাথলিক হওয়ার শর্ত পূরণ করতে হবে। ভ্যাটিক্যানের কয়েক শ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে, কার্ডিনালরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজনকে পোপ হিসেবে নির্বাচন করে আসছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৪০ জনের বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তাঁরা সাধারণত আমৃত্যু এই পদে থাকেন। ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের পর ভোট দেন। এই প্রক্রিয়া ‘পেপাল কনক্লেভ’ নামে পরিচিত। বাইরের প্রভাব এড়াতে কনক্লেভ সিসটিন চ্যাপেলের ভেতরে আবদ্ধ থাকে এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা করে।
সাধারণত পোপ নির্বাচকদের সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে ১৩৮ জন ভোট দেওয়ার যোগ্য। তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। ৯ জন নির্বাচিত কার্ডিনাল এই প্রক্রিয়ার তদারকি করেন। নতুন পোপ নির্বাচিত হতে ঐতিহ্যগতভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। এই সংখ্যক সমর্থন অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে।
প্রতি দফা ভোটের পর এক বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে ব্যালটগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। কালো ধোঁয়া মানে—কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আর সাদা ধোঁয়া মানে—নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
সাধারণত ক্ষমতাসীন পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের দুই বা তিন সপ্তাহ পর এটি ঘটে। এতে নয় দিনের শোক পালন এবং কার্ডিনালদের বিশ্বজুড়ে ভ্যাটিকানে আসার সময় পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের কনক্লেভে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম পোপ। তাঁর পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্টের পদত্যাগের মাত্র ১২ দিন পর এই কনক্লেভ শুরু হয়েছিল।
এই প্রক্রিয়া কয়েক দিন, সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ও নিতে পারে। এটি কার্ডিনালদের মধ্যে বিভক্তির ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন কনক্লেভে চার দফা পর্যন্ত ভোট হতে পারে। এতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ৩৩ দফা ভোটের পরও যদি কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তবে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে রান-অব ভোট হয়।
গত তিন পোপের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই কয়েক দিনের বেশি সময় নেওয়া হয়নি। তবে অনেক পোপের নির্বাচন অনেক দীর্ঘ হয়েছে। যেমন, ১২৭১ সালে পোপ দশম গ্রেগরির নির্বাচনে প্রায় তিন বছর লেগেছিল। এর কারণ ছিল তীব্র রাজনৈতিক কোন্দল।
কনক্লেভে ভোট দেওয়ার যোগ্য ১৩৮ জন কার্ডিনালের মধ্যে ১১০ জনকে পোপ ফ্রান্সিস নিয়োগ করেছিলেন। এই দলটি পূর্বের নির্বাচকদের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ। এতে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব বেশি। সবচেয়ে কম বয়সী কার্ডিনাল নির্বাচকের বয়স মাত্র ৪৫ বছর। তিনি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইউক্রেনীয় যাজক।
ফলে, বিগত এক শতকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরবর্তী পোপ আফ্রিকা বা এশিয়া থেকে আসতে পারেন। অথবা চার্চের নেতৃত্বে ঐতিহ্যগতভাবে স্বল্প প্রতিনিধিত্ব থাকা অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আসতে পারেন। আফ্রিকার যে কার্ডিনালদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে রয়েছেন—ঘানার পিটার টার্কসন। তিনি পন্টিফিকাল কাউন্সিল ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের সাবেক প্রধান। এ ছাড়া, আছেন—গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ফ্রিডোলিন অ্যাম্বোঙ্গো। তিনি কিনশাসার আর্চবিশপ। দুজনেই রক্ষণশীল এবং নিজ নিজ দেশে শান্তির জন্য সোচ্চার।
আরেক শক্তিশালী প্রার্থী হলেন—ফিলিপাইনের কার্ডিনাল লুইস তাগলে। তিনি ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ। পোপ ফ্রান্সিসের মতো তাগলেও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্রদের সেবার ওপর জোর দেন। হাঙ্গেরির কার্ডিনাল পিটার এরডোকে শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি পূর্ব ইউরোপের খ্রিষ্টানদের সঙ্গে পশ্চিম ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের খ্রিষ্টানদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন।
আলোচনায় আছেন—কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিনও। তিনি হোলি সি’র সেক্রেটারি অব স্টেট। তাঁর শীর্ষ কূটনৈতিক ভূমিকার কারণে সকল কার্ডিনাল তাঁকে ভালোভাবে চেনেন। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইতালির মাত্তেও জুপ্পি। তিনি বোলোগনার আর্চবিশপ। আছেন মাল্টার সিনড অব বিশপসের সেক্রেটারি-জেনারেল মারিও গ্রেচ। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে, ঐতিহ্য অনুসারে—যখন কোনো পোপের মৃত্যু হয় তারপর পরবর্তী পোপ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সময়কালকে ‘সেদে ভ্যাকান্তে’ বা ‘শূন্য আসন’ সময়কাল বলা হয়। এ সময় একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল ‘ক্যামারলেঙ্গো’ নামে পরিচিত হন। তিনি পোপের মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং সাময়িকভাবে ভ্যাটিকানের অর্থ ও প্রশাসনিক বিষয়ের দায়িত্ব নেন। চার্চের নীতি পরিবর্তন বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর থাকে না।
বর্তমান ক্যামেরলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো।
২১ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো।
২১ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসিএনএন প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো।
২১ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। এর আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মায়ের বেঁচে থাকা নিয়ে কিম অ্যারিসের সাম্প্রতিক উদ্বেগের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার একটি বিরল বিবৃতিতে জানায়—অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সু চির স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য, ছবি বা চিকিৎসা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে অ্যারিসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম অ্যারিস বলেন, সামরিক বাহিনী সু চির সুস্থতার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিচ্ছে না। এমনকি তাঁর কাছে পরিবার, চিকিৎসক বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও প্রবেশাধিকার নেই। অ্যারিস বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই সুস্থ থাকেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
জাপানে অবস্থানকালে অ্যারিস তাঁর মায়ের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি করেন এবং সামরিক সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচন জান্তার ক্ষমতা বৈধ করার কৌশল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে অ্যারিস জানান, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তাঁর আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, তিনি হয়তো মারা গিয়েও থাকতে পারেন।’
অ্যারিসের দাবি, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সু চিকে কেউ দেখেনি, এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন—যা আগে ৩৩ বছর ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচন জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা বিধি ভঙ্গ, অবৈধ যোগাযোগ সরঞ্জাম রাখা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপক সমালোচিত।
জান্তা দাবি করেছে, অ্যারিসের বক্তব্য ‘মনগড়া’ এবং আসন্ন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোই এর উদ্দেশ্য। তবে বুধবার অ্যারিস স্পষ্ট করে জানান, মিয়ানমারের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা, গোপনীয়তা ও নীরবতায় যে কোনো সন্তানেরই ভয় বাড়ে।’

মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। এর আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মায়ের বেঁচে থাকা নিয়ে কিম অ্যারিসের সাম্প্রতিক উদ্বেগের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার একটি বিরল বিবৃতিতে জানায়—অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সু চির স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য, ছবি বা চিকিৎসা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে অ্যারিসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম অ্যারিস বলেন, সামরিক বাহিনী সু চির সুস্থতার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিচ্ছে না। এমনকি তাঁর কাছে পরিবার, চিকিৎসক বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও প্রবেশাধিকার নেই। অ্যারিস বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই সুস্থ থাকেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
জাপানে অবস্থানকালে অ্যারিস তাঁর মায়ের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি করেন এবং সামরিক সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচন জান্তার ক্ষমতা বৈধ করার কৌশল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে অ্যারিস জানান, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তাঁর আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, তিনি হয়তো মারা গিয়েও থাকতে পারেন।’
অ্যারিসের দাবি, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সু চিকে কেউ দেখেনি, এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন—যা আগে ৩৩ বছর ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচন জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা বিধি ভঙ্গ, অবৈধ যোগাযোগ সরঞ্জাম রাখা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপক সমালোচিত।
জান্তা দাবি করেছে, অ্যারিসের বক্তব্য ‘মনগড়া’ এবং আসন্ন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোই এর উদ্দেশ্য। তবে বুধবার অ্যারিস স্পষ্ট করে জানান, মিয়ানমারের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা, গোপনীয়তা ও নীরবতায় যে কোনো সন্তানেরই ভয় বাড়ে।’

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো।
২১ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে