যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে সাবেক চার প্রধানমন্ত্রীর ভরাডুবি

বিবিসি
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৩: ৪৮

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভোটের ফলাফল ঘোষণা প্রায় শেষের পথে। এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি। ভরাডুবি হয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির। ঋষি সুনাক ছাড়া এই দলের হেভিওয়েট বা শক্তিশালী প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই হেরে গেছেন।

পরাজিত প্রার্থীর মধ্যে লেবার পার্টির সাবেক চার প্রধানমন্ত্রীও আছেন। এর মধ্যে বর্তমান উইটনি আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও মেইডেনহেড আসনে থেরেসা মে হেরে গেছেন। দুটি আসনেই জয় পেয়েছেন লিব-ডেমের প্রার্থীরা।

আর উক্সব্রিজ অ্যান্ড সাউথ রুইস্লিপ আসনে বরিস জনসন ও সাউথ ওয়েস্ট নরফোক আসনে লিজ ট্রাস লেবার পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন।  কনজারভেটিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস ও বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চকও লেবার পার্টির প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান হেরেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিব-ডেম) প্রার্থীর কাছে। আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা পেনি মর্ডান্টও নির্বাচনে হেরে গেছেন। অভিবাসনমন্ত্রী টম পার্সগ্লোভ লেবার পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। 

ডানপন্থী রিফর্ম ইউকে পার্টির আলোচিত-সমালোচিত নেতা নাইজেল ফারাজ জয় পেয়েছেন। আটবারের চেষ্টায় তিনি প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন। লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন জয় পেয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন।

স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়।

রেকর্ড ভেঙে এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে সাতজন করে প্রার্থী। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৫৯ জন।

যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস।

দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হবে। আর দলটির নেতা প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হবেন।

৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত