স্মরণকালের ভূমিকম্প দেখল তুরস্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ৪৫
Thumbnail image

বছরজুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষত তৈরি করেছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প। এতে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। পাশাপাশি সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদায়ী বছরকে ভূমিকম্পের বছর বললেও ভুল হবে না। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় ২০২৩ সালে আঘাত হানা কয়েকটি ভূমিকম্প স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে তুরস্ক। 

তুরস্ক-সিরিয়া
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ এবং ৭ দশমিক ৫ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। এটিকে তুরস্কের ইতিহাসে অন্যতম মারাত্মক ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিবিসি জানায়, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে শুধু তুরস্কে প্রাণ হারায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজাস্টার ফিলানথ্রফির (সিডিপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভূমিকম্পে শুধু আহত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। তুরস্কে অন্তত ২ লাখ ৩০ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা ধসে পড়ে। সেই সঙ্গে সিরিয়ায় ধসে পড়ে ১০ হাজারের বেশি ভবন। 

মরক্কো
এ বছর আরেকটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মরক্কোর মারাকেশ-সাফি অঞ্চলে। ৮ সেপ্টেম্বর সেখানে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সিডিপির তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২ হাজার ৯৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় ৫ হাজার ৬৭৪ জন। পাশাপাশি সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়। এতে মারাকেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর কয়েকটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এই ভূমিকম্পে অন্তত ৫ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়। 

আফগানিস্তান
চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। বছরের শুরু ও শেষের দিকের কয়েকটি ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। তবে চলতি বছরের অক্টোবরে দেশটির হেরাত প্রদেশে পরপর কয়েকটি ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সিডিপি জানায়, এসব ভূমিকম্পে আনুমানিক ৪৮ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধসে পড়ে। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানের এসব ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত