অনলাইন ডেস্ক
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে ত্রাণের অপর্যাপ্ততা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উপত্যকাটির জনগণের অবস্থা শোচনীয়। দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেগুলো ফলপ্রসূ হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত এক প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে (আইসিজে) এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘ বলছে, আইসিজে যেন গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে এবং ইসরায়েলের মানবিক বাধ্যবাধকতা নিয়ে একটি পরামর্শমূলক মতামত দেয়।
জাতিসংঘের গাজার মানবিক অফিসের প্রধান জর্জিওস পেট্রোপোলস বলেন, ইসরায়েল ত্রাণসহায়তা ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় একজন সহায়তাকর্মী হিসেবে প্রতিদিন আপনাকে ভীষণ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমার কি মানুষকে অনাহারে মরতে দেওয়া উচিত, নাকি ঠান্ডায়? ক্ষুধা লাঘবের জন্য আরও খাবার আনা হবে নাকি রাতে বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য আরও প্লাস্টিক শিট? পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী কমিয়ে অসুস্থ এবং আহতদের জন্য কি আরও ব্যথানাশক ওষুধ আনব? ’
ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমে ইসরায়েল বিন্দুমাত্র সাহায্য করছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। জর্জিওস বলেন, দখলদার শক্তি হিসেবে, এটি প্রায় সবকিছুতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধ হচ্ছে। গাজার জন্য মানবিক সরঞ্জাম এবং সরবরাহ ধারাবাহিকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এবং গাজার ভেতরে আমাদের নিজস্ব চলাচলও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়।
গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নরওয়ের খসড়া প্রস্তাবটি ১৩৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে গৃহীত হয়। এর বিরুদ্ধে ভোট দেয় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও ১০টি দেশ। ভোটদানে বিরত থাকে ২২টি দেশ।
সৌদি আরব, কাতার, মিসর, স্পেনসহ কয়েকটি দেশের উদ্যোগে এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ফিলিস্তিনি জনগণকে নিজেদের অধিকার চর্চায় বাধা না দিতে ইসরায়েলের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ এবং মেনে চলার আহ্বান জানায়।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা। তবে এর পরামর্শমূলক মতামত আইনি এবং রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নয়। নিজেদের দেওয়া মতামত বাস্তবায়নের ক্ষমতা নেই এ আদালতের।
প্রস্তাবে ভোট গ্রহণ শেষে নরওয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক বলেন, এই প্রস্তাব গত কয়েক মাসের একটি সময়সীমা অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে, যে সময়টায় বিশ্ব একটি বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতিকে দুঃস্বপ্নে রূপান্তরিত হতে দেখেছে।
তিনি যোগ করেন, ‘৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করলে সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর দায়িত্ব রয়েছে, যা এ প্রস্তাবের মাধ্যমে করেছি।’
ক্রাভিক বলেন, গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে জাতিসংঘ ও অনেক দেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় প্রবেশাধিকারের অভাবই মৌলিক সমস্যা। ইসরায়েল সহযোগিতা করছে না। ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আজ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলেছে, ‘এটা আর সহ্য করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল দাবি করছে, তারা যা করছে তা করার অধিকার তাদের রয়েছে। আমরা এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত, আইসিজে থেকে আইনি বিষয়গুলোর ওপর নির্দেশনা চাচ্ছি। আমরা স্পষ্টতা চাই। আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট।’
ক্রাভিক বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরায়েলকে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা এবং অন্যান্য দেশগুলোর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সাহায্য করতে হবে।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ’র ইসরায়েল এবং পূর্ব জেরুজালেমে কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ করে আইন পাস করে ইসরায়েলের সংসদ। ইসরায়েল দাবি করে, সংস্থাটিতে হামাসরা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে তারা এই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করে। গতকাল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় পানি প্রবেশে বাধা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ এনেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে ত্রাণের অপর্যাপ্ততা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উপত্যকাটির জনগণের অবস্থা শোচনীয়। দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেগুলো ফলপ্রসূ হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত এক প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে (আইসিজে) এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘ বলছে, আইসিজে যেন গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে এবং ইসরায়েলের মানবিক বাধ্যবাধকতা নিয়ে একটি পরামর্শমূলক মতামত দেয়।
জাতিসংঘের গাজার মানবিক অফিসের প্রধান জর্জিওস পেট্রোপোলস বলেন, ইসরায়েল ত্রাণসহায়তা ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় একজন সহায়তাকর্মী হিসেবে প্রতিদিন আপনাকে ভীষণ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমার কি মানুষকে অনাহারে মরতে দেওয়া উচিত, নাকি ঠান্ডায়? ক্ষুধা লাঘবের জন্য আরও খাবার আনা হবে নাকি রাতে বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য আরও প্লাস্টিক শিট? পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী কমিয়ে অসুস্থ এবং আহতদের জন্য কি আরও ব্যথানাশক ওষুধ আনব? ’
ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমে ইসরায়েল বিন্দুমাত্র সাহায্য করছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। জর্জিওস বলেন, দখলদার শক্তি হিসেবে, এটি প্রায় সবকিছুতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধ হচ্ছে। গাজার জন্য মানবিক সরঞ্জাম এবং সরবরাহ ধারাবাহিকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এবং গাজার ভেতরে আমাদের নিজস্ব চলাচলও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়।
গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নরওয়ের খসড়া প্রস্তাবটি ১৩৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে গৃহীত হয়। এর বিরুদ্ধে ভোট দেয় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও ১০টি দেশ। ভোটদানে বিরত থাকে ২২টি দেশ।
সৌদি আরব, কাতার, মিসর, স্পেনসহ কয়েকটি দেশের উদ্যোগে এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ফিলিস্তিনি জনগণকে নিজেদের অধিকার চর্চায় বাধা না দিতে ইসরায়েলের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ এবং মেনে চলার আহ্বান জানায়।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা। তবে এর পরামর্শমূলক মতামত আইনি এবং রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নয়। নিজেদের দেওয়া মতামত বাস্তবায়নের ক্ষমতা নেই এ আদালতের।
প্রস্তাবে ভোট গ্রহণ শেষে নরওয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক বলেন, এই প্রস্তাব গত কয়েক মাসের একটি সময়সীমা অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে, যে সময়টায় বিশ্ব একটি বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতিকে দুঃস্বপ্নে রূপান্তরিত হতে দেখেছে।
তিনি যোগ করেন, ‘৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করলে সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর দায়িত্ব রয়েছে, যা এ প্রস্তাবের মাধ্যমে করেছি।’
ক্রাভিক বলেন, গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে জাতিসংঘ ও অনেক দেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় প্রবেশাধিকারের অভাবই মৌলিক সমস্যা। ইসরায়েল সহযোগিতা করছে না। ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আজ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলেছে, ‘এটা আর সহ্য করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল দাবি করছে, তারা যা করছে তা করার অধিকার তাদের রয়েছে। আমরা এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত, আইসিজে থেকে আইনি বিষয়গুলোর ওপর নির্দেশনা চাচ্ছি। আমরা স্পষ্টতা চাই। আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট।’
ক্রাভিক বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরায়েলকে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা এবং অন্যান্য দেশগুলোর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সাহায্য করতে হবে।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ’র ইসরায়েল এবং পূর্ব জেরুজালেমে কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ করে আইন পাস করে ইসরায়েলের সংসদ। ইসরায়েল দাবি করে, সংস্থাটিতে হামাসরা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে তারা এই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করে। গতকাল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় পানি প্রবেশে বাধা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ এনেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
কুয়েতের একটি সমবায় সমিতিতে কর্মরত একজন ক্যাশিয়ার মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় মারধর ও হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।
৯ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি পরিমাণে তেল-গ্যাস না কিনলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনের পর প্রথমবার বাণিজ্য নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে গিয়ে ইউএস-ইইউর মধ্যে আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধের...
৪৪ মিনিট আগেজার্মানিতে আবিষ্কৃত একটি রুপার তাবিজ খ্রিষ্টধর্মের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি তাবিজের ভেতরে থাকা রুপার পাতায় খোদাই করা ল্যাটিন ভাষার ব্যাখ্যা থেকে এই তথ্য উদ্ঘাটিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে সিরিয়ার কার্যত নতুন নেতা এখন আহমেদ আল-শারআ (আবু মোহাম্মদ আল–জোলানি নামেও পরিচিত)। তিনি দাবি করেছেন, সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে