অনলাইন ডেস্ক
গাজায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলায় জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে। খাবারের অভাবে অনেক মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছেন। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কীভাবে না খেয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন বন্দি গাজাবাসী।
দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের একটি তাঁবুতে ছোট ছোট চার মেয়ে ও স্বামীসহ বসবাস করছেন ইয়াসমিন ঈদ নামে একজন ফিলিস্তিনি নারী।
কাঠি আর স্ক্র্যাপ পেপার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ছোট্ট একটি পাত্রে ডাল সেদ্ধ করছিলেন ইয়াসমিন। কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার মেয়েরা ক্ষুধার তাড়নায় তাদের আঙুল চুষে, আর আমি তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াই।’
ইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘আমরা যেখানে আছি, সেটা গাজার কেন্দ্রস্থল। উত্তরাঞ্চলের তুলনায় ত্রাণ এদিকে বেশি আসে। কিন্তু চাহিদার তুলনায়, অনেক কম। তাই সবাই পর্যাপ্ত খেতে পারে না।’
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, গাজার উত্তরাংশে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে চরম দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উদ্বাস্তু শিবিরের তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে ইয়াসমিন ঈদের পরিবারসহ হাজার হাজার মানুষ। ইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘স্থানীয় বেকারিগুলো পাঁচ দিন ধরে বন্ধ ছিল। গত বুধবার পর্যন্ত শুধু এক ব্যাগ রুটির দাম ছিল ১৩ ডলারের বেশি। দাম বেশি হলেও নতুন ত্রাণ আসার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।’
জাতিসংঘ গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এমন নীতির পক্ষে কথা বলছেন, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ—খাদ্য, পানি ও জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করছে। এসব বক্তব্য এবং মানবিক সহায়তায় অবৈধ হস্তক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরায়েল জীবন রক্ষাকারী উপকরণকে রাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের শুরুর দিকেই প্রায় ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক—যা দুটি পারমাণবিক বোমার সমতুল্য—গাজায় নিক্ষিপ্ত হয়। ফলে এই অঞ্চলটির পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, কৃষিক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিষাক্ত দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এতে অন্তত ১,২০৬ জন ইসরায়েলি নিহত হন। তখন থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজা অঞ্চল ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৫৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। খাদ্য ও ওষুধের অভাবে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করে গাজায় গুরুতর মানবিক সংকটের বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অনেকেই আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছেন।
গাজায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলায় জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে। খাবারের অভাবে অনেক মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছেন। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কীভাবে না খেয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন বন্দি গাজাবাসী।
দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের একটি তাঁবুতে ছোট ছোট চার মেয়ে ও স্বামীসহ বসবাস করছেন ইয়াসমিন ঈদ নামে একজন ফিলিস্তিনি নারী।
কাঠি আর স্ক্র্যাপ পেপার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ছোট্ট একটি পাত্রে ডাল সেদ্ধ করছিলেন ইয়াসমিন। কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার মেয়েরা ক্ষুধার তাড়নায় তাদের আঙুল চুষে, আর আমি তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াই।’
ইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘আমরা যেখানে আছি, সেটা গাজার কেন্দ্রস্থল। উত্তরাঞ্চলের তুলনায় ত্রাণ এদিকে বেশি আসে। কিন্তু চাহিদার তুলনায়, অনেক কম। তাই সবাই পর্যাপ্ত খেতে পারে না।’
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, গাজার উত্তরাংশে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে চরম দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উদ্বাস্তু শিবিরের তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে ইয়াসমিন ঈদের পরিবারসহ হাজার হাজার মানুষ। ইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘স্থানীয় বেকারিগুলো পাঁচ দিন ধরে বন্ধ ছিল। গত বুধবার পর্যন্ত শুধু এক ব্যাগ রুটির দাম ছিল ১৩ ডলারের বেশি। দাম বেশি হলেও নতুন ত্রাণ আসার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।’
জাতিসংঘ গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এমন নীতির পক্ষে কথা বলছেন, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ—খাদ্য, পানি ও জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করছে। এসব বক্তব্য এবং মানবিক সহায়তায় অবৈধ হস্তক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরায়েল জীবন রক্ষাকারী উপকরণকে রাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের শুরুর দিকেই প্রায় ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক—যা দুটি পারমাণবিক বোমার সমতুল্য—গাজায় নিক্ষিপ্ত হয়। ফলে এই অঞ্চলটির পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, কৃষিক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিষাক্ত দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এতে অন্তত ১,২০৬ জন ইসরায়েলি নিহত হন। তখন থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজা অঞ্চল ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৫৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। খাদ্য ও ওষুধের অভাবে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করে গাজায় গুরুতর মানবিক সংকটের বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অনেকেই আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছেন।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ওডিশায় এক কিশোরীকে পাচার করা হয়েছিল। পরে তাঁকে স্থানীয় একটি ম্যাসাজ পারলারে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। মাসের পর মাস বিনা বেতনে কাজ করার পর ওই কিশোরী পালিয়ে ওডিশার কটকের মধুপাটনার লিংক রোড এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে মধুপাটনা..
২ ঘণ্টা আগেসারা দুতার্তের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় মারকোসের প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি কমান্ড জানিয়েছে, তারা ফিলিপাইনের নেতাকে রক্ষায় তাদের নিরাপত্তা প্রটোকল আরও শক্তিশালী করেছে এবং জাতীয় পুলিশ প্রধান বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বোঝাতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যর্থ হওয়ার পর...
২ ঘণ্টা আগেবিচ্ছিন্ন একটি ঘোড়ার মাথা এবং পেটের বাচ্চাসহ কেটে ফেলা একটি মৃত গরু খুঁজে পাওয়া গেছে ইতালির সিসিলির এক শহরে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিকে কর্তৃপক্ষ একে দেখছে মাফিয়ার পাঠানো এক হুমকি বা সতর্ক সংকেত হিসেবে।
২ ঘণ্টা আগে