
করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রায় মন্দা পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর কারণ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট।
কোনো দেশের বিদেশি মুদ্রার রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়।
এ রকম পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে ইউএস ডলারই বোধ হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। কিন্তু জানলে আশ্চর্য হবেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও, ১৮০টি ফিয়াট মুদ্রার মধ্যে ইউএস ডলার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ফিয়াট হলো এমন মুদ্রা, যার মূল্য সোনা বা রুপার মতো ভৌতিক পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ কিছু মুদ্রা রয়েছে, যেগুলো ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ ইউএস ডলারের বিপরীতে সেই মুদ্রাগুলোর দাম বেশি। ইউএস ডলারসহ বেশি শক্তিশালী এমন ১০টি মুদ্রার কথা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়।
মুদ্রার দাম যেভাবে ঠিক হয়
বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা হয় জোড়ায় জোড়ায়। আপনি টাকার বিনিময়ে ডলার কিনবেন বা ডলারের বিনিময়ে টাকা। এর ফলে যেকোনো মুদ্রার দামই আরেক মুদ্রার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং এই দামকে বলা হয় বিনিময় হার।
বেশির ভাগ মুদ্রাই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে বিনিময় হয়, অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারিত হয়। ফিক্সড এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হারের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এর জন্য সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট রাখতে নিজস্ব মুদ্রা কেনাবেচা করে। যেন মুদ্রার বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, মুদ্রার বিনিময় হার অর্থনৈতিক সূচক, ভূরাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রানীতি, মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
যখন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়, তখন আমেরিকানরা এক ডলারের জন্য বেশি পাউন্ড পাবে এবং তখন যুক্তরাজ্যে সস্তায় কেনকাটা ও ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটা ও ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, কারণ তারা পাউন্ডের বিপরীতে ডলার কম পাবে।
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা:
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি): কুয়েতি দিনার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৬ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। ষাটের দশকে দিনার চালু করে কুয়েত। শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন সহজ হয়। এখন কুয়েতি দিনার ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো একটি মুদ্রার পরিবর্তে আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।

২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি): বাহরাইন দিনার হলো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে তার সম্পদের বেশির ভাগ আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার প্রচলিত হয় এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর): ওমানি রিয়াল এখন বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। ওমান আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি): জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ২.৪১ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৫. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি): ব্রিটিশ পাউন্ড বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

৬. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ডলার (কেওয়াইডি): কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৭. জিব্রাল্টার পাউন্ড: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেম্যান ডলারের সঙ্গে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।

৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টির সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে সুইস ফ্রাংকের পাশাপাশি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এখন প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

১০. মার্কিন ডলার: মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের ১০তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সতেরো শতকে এই মুদ্রা চালু হয়। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি।

অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
আরও খবর পড়ুন:

করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রায় মন্দা পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর কারণ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট।
কোনো দেশের বিদেশি মুদ্রার রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়।
এ রকম পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে ইউএস ডলারই বোধ হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। কিন্তু জানলে আশ্চর্য হবেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও, ১৮০টি ফিয়াট মুদ্রার মধ্যে ইউএস ডলার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ফিয়াট হলো এমন মুদ্রা, যার মূল্য সোনা বা রুপার মতো ভৌতিক পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ কিছু মুদ্রা রয়েছে, যেগুলো ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ ইউএস ডলারের বিপরীতে সেই মুদ্রাগুলোর দাম বেশি। ইউএস ডলারসহ বেশি শক্তিশালী এমন ১০টি মুদ্রার কথা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়।
মুদ্রার দাম যেভাবে ঠিক হয়
বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা হয় জোড়ায় জোড়ায়। আপনি টাকার বিনিময়ে ডলার কিনবেন বা ডলারের বিনিময়ে টাকা। এর ফলে যেকোনো মুদ্রার দামই আরেক মুদ্রার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং এই দামকে বলা হয় বিনিময় হার।
বেশির ভাগ মুদ্রাই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে বিনিময় হয়, অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারিত হয়। ফিক্সড এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হারের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এর জন্য সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট রাখতে নিজস্ব মুদ্রা কেনাবেচা করে। যেন মুদ্রার বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, মুদ্রার বিনিময় হার অর্থনৈতিক সূচক, ভূরাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রানীতি, মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
যখন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়, তখন আমেরিকানরা এক ডলারের জন্য বেশি পাউন্ড পাবে এবং তখন যুক্তরাজ্যে সস্তায় কেনকাটা ও ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটা ও ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, কারণ তারা পাউন্ডের বিপরীতে ডলার কম পাবে।
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা:
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি): কুয়েতি দিনার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৬ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। ষাটের দশকে দিনার চালু করে কুয়েত। শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন সহজ হয়। এখন কুয়েতি দিনার ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো একটি মুদ্রার পরিবর্তে আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।

২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি): বাহরাইন দিনার হলো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে তার সম্পদের বেশির ভাগ আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার প্রচলিত হয় এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর): ওমানি রিয়াল এখন বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। ওমান আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি): জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ২.৪১ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৫. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি): ব্রিটিশ পাউন্ড বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

৬. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ডলার (কেওয়াইডি): কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৭. জিব্রাল্টার পাউন্ড: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেম্যান ডলারের সঙ্গে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।

৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টির সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে সুইস ফ্রাংকের পাশাপাশি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এখন প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

১০. মার্কিন ডলার: মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের ১০তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সতেরো শতকে এই মুদ্রা চালু হয়। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি।

অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
আরও খবর পড়ুন:

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে