গৃহযুদ্ধের পর আজকের দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯: ৫১
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ১৬

আজ ৩০ ডিসেম্বর। ১৯২২ সালের এই দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মার্ক্সবাদের ভিত্তিতে সমাজতান্ত্রিক দেশের গোড়াপত্তন হয়। ১৯২১ সালে এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে লেনিনের রেড আর্মির বিজয় সূচিত হয়। ১৯২২ সালে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ মিলে গড়ে ওঠে সোভিয়েত ইউনিয়ন। 

সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন ছিল সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতিফলন। সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠনের ঘোষণাপত্রে সুস্পষ্টভাবে বলা হয় যে, বিশ্ব আজ দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি পুঁজিবাদী শোষণকারী গোষ্ঠী, অন্যটি নতুন প্রতিষ্ঠিত সমাজতান্ত্রিক মুক্ত বিশ্ব। এই মুক্ত বিশ্ব হলো ভ্রাতৃত্ববোধ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে শান্তির সমন্বয়ে তৈরি। কিন্তু সমাজতান্ত্রিকদের প্রতি বিদ্বেষী পুঁজিবাদী শোষণকারীদের হাত থেকে রক্ষায় নিজেদের মধ্যে সংহতি তৈরি করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৯২২ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ভ্লাদিমির লেনিন সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন করেন। ১৯২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। প্রথম রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন ও কাকেশাসীয় অঞ্চলের ইউনিট বর্তমান জর্জিয়া, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান মিলে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশেরও সোভিয়েত ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির জন্য নমনীয় নীতি রাখা হয়। যার ফলে ১৯৪০ সাল নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা ১৫-এর কোঠায় গিয়ে পৌঁছায়। সদস্য দেশসমূহ ছিল বর্তমান রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, এস্তনিয়া,জর্জিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, মালদোভা, তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও উজবেকিস্তান।

১৯২২-১৯৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েতের প্রধান নেতা ছিলেন আটজন। প্রথমে ভ্লাদিমির লেনিন (১৯২২-২৪), তারপর যোসেফ স্তালিন (১৯২৪-৫৩), গেওর্গি মালেনকোভ (১৯৫৩), নিকিতা সের্গেইভিচ খ্রুশ্চেভ (১৯৫৩-৬৪), লিওনিদ ব্রেজনেভ ১৯৬৪-৮২), ইউরি আন্দ্রোপভ (১৯৮২-৮৪), কনস্তান্তিন চেরনেনকো (১৯৮৪-৮৫) এবং সর্বশেষ মিখাইল গর্বাচেভ (১৯৮৫-৯১)।

অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে মস্কোর ক্ষমতা কমে যাওয়ার একপর্যায়ে ১৯৯১ সালে এই ইস্টার্ন ইউরোপের দেশগুলো আবার বিভক্ত হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত