আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ এবং ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে ভারতের কঠোর জবাব মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে নয়াদিল্লির ‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ ও দশকের পর দশক বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমনিতেই খারাপ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়াদিল্লি। তারা হামলাটিকে বড় উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত তৈরির কারণ বলে ভারত জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।
তবে ইসলামাবাদ কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। ভারত সরকারের আজকের (গতকাল বুধবার) বিকেলের বিবৃতির জবাব দিতে এই বৈঠক।’
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’
দিনের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। বিশেষ করে চুক্তি স্থগিত করায় দীর্ঘমেয়াদি পানি বিরোধ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমনের ফলে ভবিষ্যতে উত্তেজনা কমানোর যেকোনো প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ এবং ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে ভারতের কঠোর জবাব মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে নয়াদিল্লির ‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ ও দশকের পর দশক বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমনিতেই খারাপ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়াদিল্লি। তারা হামলাটিকে বড় উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত তৈরির কারণ বলে ভারত জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।
তবে ইসলামাবাদ কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। ভারত সরকারের আজকের (গতকাল বুধবার) বিকেলের বিবৃতির জবাব দিতে এই বৈঠক।’
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’
দিনের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। বিশেষ করে চুক্তি স্থগিত করায় দীর্ঘমেয়াদি পানি বিরোধ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমনের ফলে ভবিষ্যতে উত্তেজনা কমানোর যেকোনো প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ এবং ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে ভারতের কঠোর জবাব মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে নয়াদিল্লির ‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ ও দশকের পর দশক বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমনিতেই খারাপ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়াদিল্লি। তারা হামলাটিকে বড় উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত তৈরির কারণ বলে ভারত জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।
তবে ইসলামাবাদ কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। ভারত সরকারের আজকের (গতকাল বুধবার) বিকেলের বিবৃতির জবাব দিতে এই বৈঠক।’
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’
দিনের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। বিশেষ করে চুক্তি স্থগিত করায় দীর্ঘমেয়াদি পানি বিরোধ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমনের ফলে ভবিষ্যতে উত্তেজনা কমানোর যেকোনো প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী। আর তাই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসসহ গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিসহ আরও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ এবং ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে ভারতের কঠোর জবাব মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে নয়াদিল্লির ‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ ও দশকের পর দশক বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এমনিতেই খারাপ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়াদিল্লি। তারা হামলাটিকে বড় উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত তৈরির কারণ বলে ভারত জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।
তবে ইসলামাবাদ কোনো ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। ভারত সরকারের আজকের (গতকাল বুধবার) বিকেলের বিবৃতির জবাব দিতে এই বৈঠক।’
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’
দিনের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে তৈরি হওয়া ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। বিশেষ করে চুক্তি স্থগিত করায় দীর্ঘমেয়াদি পানি বিরোধ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমনের ফলে ভবিষ্যতে উত্তেজনা কমানোর যেকোনো প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী।
২৪ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী।
২৪ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৮ মিনিট আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসিএনএন প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী।
২৪ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। এর আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মায়ের বেঁচে থাকা নিয়ে কিম অ্যারিসের সাম্প্রতিক উদ্বেগের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার একটি বিরল বিবৃতিতে জানায়—অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সু চির স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য, ছবি বা চিকিৎসা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে অ্যারিসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম অ্যারিস বলেন, সামরিক বাহিনী সু চির সুস্থতার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিচ্ছে না। এমনকি তাঁর কাছে পরিবার, চিকিৎসক বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও প্রবেশাধিকার নেই। অ্যারিস বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই সুস্থ থাকেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
জাপানে অবস্থানকালে অ্যারিস তাঁর মায়ের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি করেন এবং সামরিক সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচন জান্তার ক্ষমতা বৈধ করার কৌশল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে অ্যারিস জানান, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তাঁর আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, তিনি হয়তো মারা গিয়েও থাকতে পারেন।’
অ্যারিসের দাবি, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সু চিকে কেউ দেখেনি, এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন—যা আগে ৩৩ বছর ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচন জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা বিধি ভঙ্গ, অবৈধ যোগাযোগ সরঞ্জাম রাখা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপক সমালোচিত।
জান্তা দাবি করেছে, অ্যারিসের বক্তব্য ‘মনগড়া’ এবং আসন্ন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোই এর উদ্দেশ্য। তবে বুধবার অ্যারিস স্পষ্ট করে জানান, মিয়ানমারের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা, গোপনীয়তা ও নীরবতায় যে কোনো সন্তানেরই ভয় বাড়ে।’

মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। এর আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মায়ের বেঁচে থাকা নিয়ে কিম অ্যারিসের সাম্প্রতিক উদ্বেগের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার একটি বিরল বিবৃতিতে জানায়—অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সু চির স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য, ছবি বা চিকিৎসা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে অ্যারিসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম অ্যারিস বলেন, সামরিক বাহিনী সু চির সুস্থতার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিচ্ছে না। এমনকি তাঁর কাছে পরিবার, চিকিৎসক বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও প্রবেশাধিকার নেই। অ্যারিস বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই সুস্থ থাকেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
জাপানে অবস্থানকালে অ্যারিস তাঁর মায়ের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি করেন এবং সামরিক সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচন জান্তার ক্ষমতা বৈধ করার কৌশল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে অ্যারিস জানান, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তাঁর আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, তিনি হয়তো মারা গিয়েও থাকতে পারেন।’
অ্যারিসের দাবি, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সু চিকে কেউ দেখেনি, এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন—যা আগে ৩৩ বছর ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচন জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা বিধি ভঙ্গ, অবৈধ যোগাযোগ সরঞ্জাম রাখা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপক সমালোচিত।
জান্তা দাবি করেছে, অ্যারিসের বক্তব্য ‘মনগড়া’ এবং আসন্ন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোই এর উদ্দেশ্য। তবে বুধবার অ্যারিস স্পষ্ট করে জানান, মিয়ানমারের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা, গোপনীয়তা ও নীরবতায় যে কোনো সন্তানেরই ভয় বাড়ে।’

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত। কোনো প্রমাণ না দিয়েই ভারত বলেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দায়ী।
২৪ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
২ ঘণ্টা আগে