অনলাইন ডেস্ক
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯২ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর আবার আলোচনায় এল আসামের গুয়াহাটির নন্দননগরের ৩৯৮৯ নম্বর বাড়িটি। ভারতের দুবারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের নামের সঙ্গে এ বাড়ির নাম বহু আগে থেকেই জড়িয়ে আছে।
মনমোহন সিংয়ের জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়েছে কয়েকটি দেশের নাম, কয়েকটি জায়গার ঠিকানা। বর্তমান পাকিস্তানের চাকওয়াল জেলার গাহ গ্রামে জন্ম মনমোহন সিংয়ের। দেশ ভাগের পর পরিবারের সঙ্গে আসেন ভারতে। হলদওয়ানিতে শুরু হয় নতুন জীবন। তারপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি ফিল অর্জন করেন তিনি।
১৯৭১ সালে কেন্দ্র সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন মনমোহন সিং। এরপর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর এবং পরিকল্পনা কমিশনের উপচেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এসব কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় দিল্লিতেই থেকেছেন।
মনমোহন সিং ও তাঁর স্ত্রী গুরশরন কৌরের দিল্লিতে বসন্ত কুঞ্জ এবং চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১ বিতে দুটি বাড়ি রয়েছে। তবুও তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠল গুয়াহাটির নন্দননগরের ৩৯৮৯ বাড়িটি।
যেভাবে মনমোহন সিং হয়ে উঠলেন গুয়াহাটির বাসিন্দা
গুয়াহাটির একটি বাড়ির ঠিকানা: বাড়ি নম্বর ৩৯৮৯, নন্দননগর, ওয়ার্ড নম্বর ৫১, সরুমাটারিয়া, ডিসপুর, গুয়াহাটি, কামরুপ জেলা, আসাম–৭৮১০০৬।
প্রায় তিন দশক এই বাড়ির ঠিকানা মনমোহন সিংয়ের নামের পাশে যুক্ত হয়ে রয়েছিল। এ বাড়ির ঠিকানাতেই আসামের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন এ ঠিকানায়ই।
বাড়িটি ছিল আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা হিতেশ্বর শইকিয়ার স্ত্রী হেম প্রভা শইকিয়ার। হিতেশ্বর শইকিয়ার জোরাজুরিতে মনমোহন সিংকে আসাম থেকে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়। ১৯৯১ সালে মনমোহন সিং যখন উচ্চকক্ষের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন, তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে যায় এই ঠিকানা।
সে সময় থেকে এই বাড়ির বাসিন্দা মনমোহন সিং। কিন্তু কখনোই সে বাড়িতে থাকেননি মনমোহন। এমনকি আসামে নিজ নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছেন সেটাও কদাচিৎ দেখা গেছে।
২০১৯ সাল পর্যন্ত আসামের হয়ে রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন মনমোহন সিং। কেবল ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে আসাম কংগ্রেস পরাজিত হয়। সে সময় মনমোহন সিংকে রাজস্থান থেকে মনোনীত করতে হয়।
ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ডাক পেয়ে বিস্মিত হয়ে যান ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের এই নকশাকার।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও মনমোহন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে গুয়াহাটির নন্দন নগরের বাড়ি নম্বর ৩৯৮৯–এর বাসিন্দা ছিলেন।
২০০৪ সালে মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে গুয়াহাটির এই বাড়ি নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
২০০৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একদিকে ১০ জনপথের সামনে উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড়, অন্যদিকে নন্দননগরের দোতলা বাড়িটি যেন শান্তির নীড়। বিভিন্ন আয়োজনের সময় কিছু টিভি চ্যানেলের ফটোসাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের উপস্থিতি ছাড়া এ বাড়িতে কোনো কার্যকলাপ দেখা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত ১০ জনপথ দীর্ঘদিন ধরে গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হেম প্রভা শইকিয়ার কিছু নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া সে বাড়িতে আর কোনো ভিআইপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এক রক্ষী দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছিলেন, ‘মনমোহন সিং যখন এখানে থাকেন, তখন বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।’
মনমোহন সিং আসামের সংসদ সদস্য হওয়ার পর সেখানে বেশ উন্নয়ন হয়। এমপি লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট (এমপিএলএডি) তহবিল ব্যবহার করে আসামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নাগরিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রেখেছিলেন তিনি।
পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণ, একটি সিভিল হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক স্থাপন এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি পার্ক তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। এ ছাড়া গুপ্ত যুগের মদন কামদেব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করেছিলেন।
২০১২ সালে আসাম বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ শুরু করেছিলেন এই বলে, ‘আমাকে দত্তক নেওয়া রাজ্য আসামে আবারও আসতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গুয়াহাটিতে এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি জন্মেছিলাম এই উপমহাদেশের এক দুর্গম ধূলিমলিন গ্রামে, যা এখন আর ভারতের অংশ নয়। অল্প বয়সে আমি গৃহহীন ও উদ্বাস্তু হয়ে পড়ি। আসামই সেই জায়গা, যেখানে আমি আমার একটি বাড়ি খুঁজে পেয়েছি, যা আমাকে নিজ বাড়ির অনুভূতি দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে আমি যে বন্ধুত্ব, স্নেহ এবং উষ্ণতা পেয়েছি, তা কখনোই ভুলতে পারব না।’
২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন মনমোহন সিং।
মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে আসামের নন্দননগরের বাড়ি নম্বর ৩৯৮৯ হারাল তার তিন দশকের বিশিষ্ট বাসিন্দাকে। আসামের উন্নয়নে জন্য নীরবে কাজ করে যাওয়া মানুষটি রয়ে যাবেন আসামের জনগণের মনেও। ‘দত্তক নেওয়া সন্তান’–এর মৃত্যুতে আসাম রাজ্যে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯২ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর আবার আলোচনায় এল আসামের গুয়াহাটির নন্দননগরের ৩৯৮৯ নম্বর বাড়িটি। ভারতের দুবারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের নামের সঙ্গে এ বাড়ির নাম বহু আগে থেকেই জড়িয়ে আছে।
মনমোহন সিংয়ের জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়েছে কয়েকটি দেশের নাম, কয়েকটি জায়গার ঠিকানা। বর্তমান পাকিস্তানের চাকওয়াল জেলার গাহ গ্রামে জন্ম মনমোহন সিংয়ের। দেশ ভাগের পর পরিবারের সঙ্গে আসেন ভারতে। হলদওয়ানিতে শুরু হয় নতুন জীবন। তারপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি ফিল অর্জন করেন তিনি।
১৯৭১ সালে কেন্দ্র সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন মনমোহন সিং। এরপর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর এবং পরিকল্পনা কমিশনের উপচেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এসব কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় দিল্লিতেই থেকেছেন।
মনমোহন সিং ও তাঁর স্ত্রী গুরশরন কৌরের দিল্লিতে বসন্ত কুঞ্জ এবং চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১ বিতে দুটি বাড়ি রয়েছে। তবুও তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠল গুয়াহাটির নন্দননগরের ৩৯৮৯ বাড়িটি।
যেভাবে মনমোহন সিং হয়ে উঠলেন গুয়াহাটির বাসিন্দা
গুয়াহাটির একটি বাড়ির ঠিকানা: বাড়ি নম্বর ৩৯৮৯, নন্দননগর, ওয়ার্ড নম্বর ৫১, সরুমাটারিয়া, ডিসপুর, গুয়াহাটি, কামরুপ জেলা, আসাম–৭৮১০০৬।
প্রায় তিন দশক এই বাড়ির ঠিকানা মনমোহন সিংয়ের নামের পাশে যুক্ত হয়ে রয়েছিল। এ বাড়ির ঠিকানাতেই আসামের বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন এ ঠিকানায়ই।
বাড়িটি ছিল আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা হিতেশ্বর শইকিয়ার স্ত্রী হেম প্রভা শইকিয়ার। হিতেশ্বর শইকিয়ার জোরাজুরিতে মনমোহন সিংকে আসাম থেকে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়। ১৯৯১ সালে মনমোহন সিং যখন উচ্চকক্ষের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন, তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে যায় এই ঠিকানা।
সে সময় থেকে এই বাড়ির বাসিন্দা মনমোহন সিং। কিন্তু কখনোই সে বাড়িতে থাকেননি মনমোহন। এমনকি আসামে নিজ নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছেন সেটাও কদাচিৎ দেখা গেছে।
২০১৯ সাল পর্যন্ত আসামের হয়ে রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন মনমোহন সিং। কেবল ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে আসাম কংগ্রেস পরাজিত হয়। সে সময় মনমোহন সিংকে রাজস্থান থেকে মনোনীত করতে হয়।
ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ডাক পেয়ে বিস্মিত হয়ে যান ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের এই নকশাকার।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও মনমোহন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে গুয়াহাটির নন্দন নগরের বাড়ি নম্বর ৩৯৮৯–এর বাসিন্দা ছিলেন।
২০০৪ সালে মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে গুয়াহাটির এই বাড়ি নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
২০০৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একদিকে ১০ জনপথের সামনে উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড়, অন্যদিকে নন্দননগরের দোতলা বাড়িটি যেন শান্তির নীড়। বিভিন্ন আয়োজনের সময় কিছু টিভি চ্যানেলের ফটোসাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের উপস্থিতি ছাড়া এ বাড়িতে কোনো কার্যকলাপ দেখা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত ১০ জনপথ দীর্ঘদিন ধরে গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হেম প্রভা শইকিয়ার কিছু নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া সে বাড়িতে আর কোনো ভিআইপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এক রক্ষী দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছিলেন, ‘মনমোহন সিং যখন এখানে থাকেন, তখন বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।’
মনমোহন সিং আসামের সংসদ সদস্য হওয়ার পর সেখানে বেশ উন্নয়ন হয়। এমপি লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট (এমপিএলএডি) তহবিল ব্যবহার করে আসামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নাগরিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রেখেছিলেন তিনি।
পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণ, একটি সিভিল হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক স্থাপন এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি পার্ক তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। এ ছাড়া গুপ্ত যুগের মদন কামদেব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করেছিলেন।
২০১২ সালে আসাম বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ শুরু করেছিলেন এই বলে, ‘আমাকে দত্তক নেওয়া রাজ্য আসামে আবারও আসতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গুয়াহাটিতে এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি জন্মেছিলাম এই উপমহাদেশের এক দুর্গম ধূলিমলিন গ্রামে, যা এখন আর ভারতের অংশ নয়। অল্প বয়সে আমি গৃহহীন ও উদ্বাস্তু হয়ে পড়ি। আসামই সেই জায়গা, যেখানে আমি আমার একটি বাড়ি খুঁজে পেয়েছি, যা আমাকে নিজ বাড়ির অনুভূতি দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে আমি যে বন্ধুত্ব, স্নেহ এবং উষ্ণতা পেয়েছি, তা কখনোই ভুলতে পারব না।’
২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন মনমোহন সিং।
মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে আসামের নন্দননগরের বাড়ি নম্বর ৩৯৮৯ হারাল তার তিন দশকের বিশিষ্ট বাসিন্দাকে। আসামের উন্নয়নে জন্য নীরবে কাজ করে যাওয়া মানুষটি রয়ে যাবেন আসামের জনগণের মনেও। ‘দত্তক নেওয়া সন্তান’–এর মৃত্যুতে আসাম রাজ্যে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
২০২৪ সাল ছিল ঘটনাবহুল বছর। এবছর বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী ভোট দিয়েছে। সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্রের বিনাশ হয়নি। বিশ্বজুড়েই রক্তাক্ত গণতন্ত্র, তবু মাথা নোয়াবার নয়! বিশ্বের অন্যতম পুরোনো গণতন্ত্রের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা প্রতিবেশী পাকিস্তানের একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। গত বুধবার আফগানিস্তানে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী বোমা হামলার কয়েক দিন পরই এই হামলার ঘটল। তবে এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে উভয় পক্ষের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের কাছে রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া একটি ‘দুঃখজনক ঘটনার’ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। আজ শনিবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ভুলবশত যাত্রীবাহী ওই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৫০ সালের দিকে স্কলারশিপসহ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে অর্থনীতি (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁরপর তিনি আর্থিক সংকটে পড়েন, তখন কোনো কোনো দিন মাত্র ছয় পেন্সের ক্যাডবেরি চকলেট খেয়েই পুরো একটা দিন কাটাতেন।
৬ ঘণ্টা আগে