পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ারের ৯০ শতাংশই জেএমবির সমর্থক: বিজেপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক    
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯: ০৬
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯: ০৭
বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিজেপি নেতা অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের পুলিশকে সহায়তাকারী বাহিনী সিভিক ভলান্টিয়ারের ৯০ শতাংশ সদস্যই বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীনের (জেএমবি) সমর্থক। আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদে দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের পর বিজেপি নেতা এই কথা বললেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অর্জুন সিং বলেছেন, ‘প্রত্যেক থানায় একজন করে জামাত (উল-মুজাহিদীন) সন্ত্রাসী পাওয়া যাবে। ৯০ শতাংশ সিভিক ভলান্টিয়ার, যারা আমাদের পাসপোর্ট চেক করেন, তারা জামাতের সমর্থক...দুর্ভাগ্যজনকভাবে আসাম পুলিশ পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসী ধরছে। তারা দেশের জন্য কাজ করে, আর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ শুধু রাজ্য ও দলের জন্য কাজ করে।’

সিভিক ভলান্টিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি আইন প্রয়োগকারী বাহিনী। ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সাহায্য করার জন্য এই বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। তখন এর নাম সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ার ছিল। পরে ব্যাপক বিতর্কের জন্য ২০১৪ সালে বাহিনীর নাম থেকে ‘পুলিশ’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়। মূলত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মেলা-পার্বণে ভিড় সামলানো এদের দায়িত্ব।

উল্লেখ্য, এক যৌথ অভিযানে আসাম এসটিএফ ও পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় গত ১৯ ডিসেম্বর দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী—আব্বাস শেখ ও মিনারুল শেখকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে, কাশ্মীরে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদীনের সন্দেহভাজন সদস্য জাভেদ মুনশিকে গতকাল রোববার আলীপুর আদালত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এর আগে, শনিবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযানে মুনশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ পরবর্তী তদন্তের জন্য ট্রানজিট রিমান্ড চায়। ৫৮ বছর বয়সী মুনশিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আটক করা হয়।

পাবলিক প্রসিকিউটর বিকাশ জানান, মুনশি মুসলিম লিগ পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করছিলেন। শ্রীনগর পুলিশ পরবর্তী তদন্তের জন্য ট্রানজিট রিমান্ড নিতে পশ্চিমবঙ্গে আসে। প্রসিকিউটর বলেন, ‘মুনশিকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ একটি বই, একটি সিডি, একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে।’

বিকাশ আরও বলেন, ‘শ্রীনগর থেকে পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ড নিতে এখানে এসেছে। ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জাভেদ আহমেদ মুনশি মুসলিম লিগ পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছিলেন...তাঁকে ক্যানিং থানা এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি বই, একটি সিডি, একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং বেশ কিছু নথি পুলিশ উদ্ধার করে...আদালত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ড অনুমোদন করেছে, ” বলেন বিকাশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মুনশি গ্রেপ্তারের কয়েক দিন আগে ক্যানিং এলাকায় আসেন এবং সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) পরিচালকদের নির্দেশে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুনশি স্বীকার করেছেন যে, তিনি তার পরিচালকদের নির্দেশে ভুয়া পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত