সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির বিকল্প বাজার খুঁজছে জাপান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ১৭
Thumbnail image

যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশে সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির বিকল্প বাজার খুঁজছে জাপান। বছরখানেক আগে চীনের আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির রপ্তানি বাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নোরিহিকো ইশিগুরো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

২০২৩ সালের আগস্টে জাপান ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলতে শুরু করার পর দেশটির সামুদ্রিক খাবার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন। গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথমার্ধে জাপানের কৃষি, বনজ ও মৎস্যজাত পণ্যের রপ্তানি ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো কমেছে। কারণ, এই সময়ে চীনে দেশটির রপ্তানি কমেছে ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ। শুধু শামুক রপ্তানিই কমেছে ৩৭ শতাংশ। 

ইশিগুরো বলেন, ‘চীন রপ্তানি বন্ধ করায় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানি বাড়ছে।’ তিনি জানান, সরকার-সমর্থিত বাণিজ্য সংস্থাগুলো এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন বাণিজ্যিক চ্যানেল তৈরির প্রচার চালাচ্ছে। 

গত বছরের ২৪ আগস্ট প্রশান্ত মহাসাগরে ফুকুশিমার পানি ফেলাকে কেন্দ্র করে জাপান থেকে সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন। তবে ইশিগুরোর মতে, বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব নয়। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে জাপান চীনে ৮৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ইয়েন মূল্যের সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করেছে। পরের বছর এটি ৬১ বিলিয়ন ইয়েনে নেমে আসে। আর চলতি বছরের প্রথমার্ধে এটি নেমেছে মাত্র ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইয়েনে। এ ব্যাপারে নোরিহিকো ইশিগুরো বলেন, জাপানের সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনা নিষেধাজ্ঞায় সৃষ্ট সংকট পূরণে খুব বেশি সময় লাগবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত