নাগরনো-কারাবাখ থেকে পালিয়েছে ১ লাখেরও বেশি মানুষ 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০: ০০
Thumbnail image

নাগরনো-কারাবাখ থেকে ১ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। অফিশিয়ালি বিবেচনা করলে বর্তমানে আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই ছিটমহলের প্রায় শতভাগ মানুষই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এমনটাই দাবি করেছেন আর্মেনিয়া সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নাগরনো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে যাওয়া লোকদের প্রায় সবাই আর্মেনিয়ায় পৌঁছেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের মুখপাত্র নাজেলি বাগদাসরিয়ান বলেছেন, ‘আমাদের দেশে প্রবেশ করা শরণার্থীর সংখ্যা গত সপ্তাহেই ১ লাখ ৪১৭ জনে পৌঁছেছে।’

দীর্ঘদিন ধরেই নাগরনো-কারাবাখের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা অঞ্চলটির স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছিল না। এরপর প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনী আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে অঞ্চলটির দখল নেয়। এরপর থেকেই অঞ্চলটি থেকে আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকেরা আর্মেনিয়ায় চলে যাওয়া শুরু করে। 

নাগরনো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত, কিন্তু সেখানকার আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল। কিন্তু আজারবাইজানের সর্বশেষ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দার এই অঞ্চলের বিদ্রোহীরা পরাজিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে অঞ্চলটিকে আজারবাইজানের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আজারবাইজানের সেনারা নাগরনো-কারাবাখে অভিযান চালায় এবং সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চূড়ান্তভাবে দমন করে। গ্রেপ্তার করে ‘রিপাবলিক নাগরনো-কারাবাখের’ প্রধানকে। পরে তাঁকে বন্দী করা হয় আজারবাইজানের একটি কারাগারে। তাঁর ছবিও প্রকাশ করে বাকু। সেই অভিযানের পর থেকেই নাগরনো-কারাবাখের আর্মেনীয়রা বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছিল। 

কিছুদিন আগেই এই অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়। পরে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় তাদের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সই হয়। তবে সেই শান্তিচুক্তি সই হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় এবার অঞ্চলটি পুনরায় দখলের ঘোষণা দিল আজারবাইজান। স্থানীয়রা মনে করছেন, সামনে আরও বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত