অনলাইন ডেস্ক
বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে দেশ ছেড়ে পালালেও শান্ত হচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা। কলম্বোজুড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। ওদিকে ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকে। একপর্যায়ে জোর করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় কেউ কেউ কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। ফটক ধরে টানাটানিও শুরু হয়।
কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে একপর্যায়ে ঢিল ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ শুরুতে কোনো ভূমিকা পালন করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চারপাশে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত ক্রমেই বাড়ছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে পুলিশ একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে। এতে বিক্ষোভকারীদের কিছুটা ছত্রভঙ্গ করা গেলেও পরিস্থিতির আহামরি কোনো উন্নতি হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেই আছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভকারীরা পিছু হটবেন না বলে জানিয়েছেন। এমনই একজন ৩১ বছর বয়সী ভিরাগা পেরেরা। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের দেশ চূড়ান্ত মাত্রার অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি এখন। যে ধরনের আচরণ আমাদের সঙ্গে করা হচ্ছে, বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সশস্ত্র হেলিকপ্টার পাঠিয়ে, তাতে এটি স্পষ্ট যে শাসকশ্রেণির আচরণ আসলে কেমন। আমরা এসব সহ্য করব না। আমরা আসতেই থাকব, লড়াই চালাতেই থাকব ততক্ষণ, যতক্ষণ না আমরা নিশ্চয়তা পাচ্ছি যে এ দেশে আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের কোনো ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা আছে।’
অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এখন তিনি মালদ্বীপে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
কিছুদিন ধরেই ধীরে ধীরে ফের উত্তপ্ত হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রথমে কারফিউ জারি করলেও পরে গতকাল শুক্রবার তা প্রত্যাহার করে নেয় শ্রীলঙ্কার পুলিশ বিভাগ। এর পর থেকেই পুরো দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গত শনিবার থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা এসে জড়ো হয় শহরটিতে। সরকারবিরোধী র্যালি ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে তারা। চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বাসভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে নাজুক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির অর্থনৈতিক সংকট এতটাই তীব্র যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, জ্বালানি তেল এমনকি ওষুধ কেনার প্রয়োজনীয় অর্থ নেই সেখানে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, তাঁদের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশটির নেতৃত্ব পর্যায়ে ব্যাপক ভুল ব্যবস্থাপনা এবং দেশটির জনগণের কিঞ্চিৎ দুর্ভাগ্য মিলিয়েই এই বিপর্যয়।
বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে দেশ ছেড়ে পালালেও শান্ত হচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা। কলম্বোজুড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। ওদিকে ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকে। একপর্যায়ে জোর করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় কেউ কেউ কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। ফটক ধরে টানাটানিও শুরু হয়।
কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে একপর্যায়ে ঢিল ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ শুরুতে কোনো ভূমিকা পালন করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চারপাশে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত ক্রমেই বাড়ছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে পুলিশ একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে। এতে বিক্ষোভকারীদের কিছুটা ছত্রভঙ্গ করা গেলেও পরিস্থিতির আহামরি কোনো উন্নতি হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেই আছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভকারীরা পিছু হটবেন না বলে জানিয়েছেন। এমনই একজন ৩১ বছর বয়সী ভিরাগা পেরেরা। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের দেশ চূড়ান্ত মাত্রার অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি এখন। যে ধরনের আচরণ আমাদের সঙ্গে করা হচ্ছে, বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সশস্ত্র হেলিকপ্টার পাঠিয়ে, তাতে এটি স্পষ্ট যে শাসকশ্রেণির আচরণ আসলে কেমন। আমরা এসব সহ্য করব না। আমরা আসতেই থাকব, লড়াই চালাতেই থাকব ততক্ষণ, যতক্ষণ না আমরা নিশ্চয়তা পাচ্ছি যে এ দেশে আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের কোনো ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা আছে।’
অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এখন তিনি মালদ্বীপে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
কিছুদিন ধরেই ধীরে ধীরে ফের উত্তপ্ত হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রথমে কারফিউ জারি করলেও পরে গতকাল শুক্রবার তা প্রত্যাহার করে নেয় শ্রীলঙ্কার পুলিশ বিভাগ। এর পর থেকেই পুরো দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গত শনিবার থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা এসে জড়ো হয় শহরটিতে। সরকারবিরোধী র্যালি ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে তারা। চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বাসভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে নাজুক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির অর্থনৈতিক সংকট এতটাই তীব্র যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, জ্বালানি তেল এমনকি ওষুধ কেনার প্রয়োজনীয় অর্থ নেই সেখানে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, তাঁদের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশটির নেতৃত্ব পর্যায়ে ব্যাপক ভুল ব্যবস্থাপনা এবং দেশটির জনগণের কিঞ্চিৎ দুর্ভাগ্য মিলিয়েই এই বিপর্যয়।
পুলিশের স্থাপন করা ব্যারিকেড ভেঙে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঢুকে পড়েছে ইমরান খানের সমর্থকেরা। তারা ঢুকে পড়ার পরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা আজ মঙ্গলবার
১২ মিনিট আগেগুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল—মুসলিম ভোটের বিভাজন। যার ফলে, রাজ্য বিধানসভার মুসলিম অধ্যুষিত ৩৮টি আসনের একটি বড় অংশকেই শাসক জোটকে পকেটে পুরতে সহায়তা করেছে
৩১ মিনিট আগেপাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকেরা রাজধানীতে পৌঁছে বিক্ষোভ করতে পারে
২ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি গাড়ি রেঞ্জারস সদস্যদের ওপর উঠিয়ে দিলে চার সদস্য নিহত হন এবং আরও পাঁচ রেঞ্জারস ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। তবে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ রেঞ্জারস এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রাণ গেছে। এ ছাড়া ১০০-এর বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে