দ. কোরিয়ার প্লেন দুর্ঘটনায় পাখির আঘাতই কি একমাত্র কারণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৩৩
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৫১
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হওয়ার পর দেশটির কর্মকর্তারা জরুরি নিরাপত্তা তদন্ত শুরু করেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণের মুহূর্তে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল পাখির আঘাতের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিল। কিন্তু পাখির আঘাতেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পাখির আঘাত বলতে বিমানের সঙ্গে কোনো পাখির সংঘর্ষকে বোঝানো হয়। এমনটি বিমানের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, জেট ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে গেলে তা কার্যক্ষমতা হারাতে পারে।

বিমানের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষের ঘটনা প্রায় সময়ই ঘটে থাকে। উদাহরণস্বরূপ—২০২৩ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১৯ হাজার ৬০০টিরও বেশি বন্য প্রাণীর সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ ঘটেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সংঘর্ষই পাখির সঙ্গে ছিল।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাখির আঘাত প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয় না। কারণ, যদি কোনোভাবে পাখি ইঞ্জিনে ঢুকে পড়ে এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়, তারপরও পাইলটরা সাধারণত জরুরি অবতরণের জন্য কিছুটা সময় পেয়ে থাকেন।

তবে পাখির আঘাতের কারণে মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষও এখনো নিশ্চিত করেনি, পাখির সঙ্গে তাদের বিমানটির সংঘর্ষ ঘটেছিল কি না।

বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটির এক যাত্রী তাঁর আত্মীয়কে জানিয়েছিলেন, বিমানের ডানায় একটি আটকে গেছে এবং বিমানটি অবতরণ করতে পারছিল না।

তবে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান বলেছেন, বিমানটি পাখির আঘাতই শুধু নয়, একই সঙ্গে খারাপ আবহাওয়ার কারণেও এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ভিডিও ফুটেজ থেকেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না, দুর্ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটেছে। অভিজ্ঞ পাইলট ক্রিস কিংসউড বলছেন, ‘ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিমানের অবতরণ গিয়ার (চাকা) খোলা ছিল না এবং এটি সঠিকভাবে ফ্ল্যাপ ব্যবহার করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি পাখির আঘাতে উভয় ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পাইলটদের কম উচ্চতায়ই বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যে। দুর্ঘটনাটির জন্য এককভাবে পাখির ওপর দোষ চাপাতে রাজি অন্য বিশেষজ্ঞরাও। তাই তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত