অনলাইন ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ডামাডোলের মধ্যে একটি বিষয় ঘুরেফিরে বারবার আসছে। ইরানের কাছে কি পারমাণবিক অস্ত্র আছে, কিংবা ইরান এ ধরনের অস্ত্র তৈরি থেকে ঠিক কতটা দূরে? ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। যা ছয় জাতি আলোচনা নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নানা কারণেই সেই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিজেকে প্রত্যাহারের পর ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির গতি আরও বাড়িয়েছে। যাতে আরও দ্রুততম সময়ে পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব হয়। যদিও ইরান বারবার এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য এই কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলি হুমকির মুখে ইরান তার ‘নিউক্লিয়ার ডকট্রিন’ বা পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে পারে। তবে তিনি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট না হলেও এটি নিশ্চিত যে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করেই এ কথা বলেছেন।
২০১৫ সালের চুক্তি অনুসারে তেহরান তার কাছে থাকা ইউরেনিয়াম ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে পারবে। যা পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের থেকে অনেক নিচে। বিপরীতে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ইরান সে সময় এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল, মূলত পারমাণবিক বোমা তৈরির অন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সংগ্রহ বা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিশ্চিত করতে। দেশটি অন্তত এক বছর সময় কিনতে চেয়েছিল সেই চুক্তির মাধ্যমে।
পরে ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং তেহরানের ওপর বিশেষ করে দেশটির জ্বালানি তেলের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। প্রতিক্রিয়ায় ইরান ২০১৯ সাল থেকে এর পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় চালু করে এবং অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আগের চুক্তির সব শর্তই ইরান লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে কোথায়, কোন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে, কোন মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে এবং কী পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে—এসব শর্তের সবগুলোই লঙ্ঘন করেছে দেশটি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তিতে বলা ছিল, ইরান মাত্র ২০২ দশমিক ৮ কিলোগ্রাম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ইরানের কাছে সাড়ে পাঁচ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত ছিল।
আইএইএয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান ইউরেনিয়ামকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশটির কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিপুল মজুত আছে। এমনকি যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে, তা যদি আরও সমৃদ্ধ করতে পারে, তবে অন্তত দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে দেশটি।
এর সহজ অর্থ হলো ইরানের জন্য তথাকথিত ‘ব্রেকআউট টাইম’ অর্থাৎ পারমাণবিক বোমার জন্য পর্যাপ্ত ওয়েপন গ্রেড ইউরেনিয়াম তৈরি করতে যে সময় লাগবে, তা বলতে গেলে শূন্যের কাছাকাছি। সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক দিন লাগবে।
আশঙ্কার বিষয় হলো, ইরান এই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য না হওয়ায় আইএইএ—আর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পুরো অবকাঠামো পরিদর্শনের অধিকার রাখে না। ফলে ইরান আরও একটি গোপন সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।
পারমাণবিক বোমা বানানোর পাশাপাশি এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে। প্রথম বোমা বানানোর পর বাকি অস্ত্রগুলো বানাতে কী পরিমাণ সময় দেশটি নেবে এবং সেই বোমাগুলো বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির আছে কি না? এ বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে ইরানের এই বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান কতটা সে বিষয়ে কখনোই বিস্তারিত জানা যায়নি।
আইএইএ প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র তৈরি ও তা বহন করার যোগ্য বাহন তৈরির লক্ষ্যে ইরানের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছিল ইরানের। তবে তা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অনেক অংশ নিয়েই কাজ করেছে ইরান।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইরানের আর কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের অনুমান, কয়েক মাস থেকে বছরখানেক সময় লাগতে পারে দেশটির। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি দেশটির কংগ্রেসে বলেছিলেন, ইরানের অস্ত্র তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে তিনি এই মূল্যায়ন কিসের ভিত্তিতে দিয়েছিলেন তার সূত্র উল্লেখ করেননি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আইএইএয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পর্কে প্রকাশ্য যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, তাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার বিষয়ে ইরানের নিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক ইচ্ছার বিষয়ে (আইএইএ) মহাপরিচালকের উদ্বেগকেই কেবল বাড়িয়ে তুলেছে।’
পশ্চিমা কূটনীতিকেরা বলছেন, ইরান যে বিবৃতিগুলো দেয়, তা থেকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়ে তাদের এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ আরও দৃঢ় করে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাবেক প্রধান আলী আকবর সালেহির এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিকে একটি গাড়ি তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইরান জানে কীভাবে তা তৈরি করতে হয়।
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ডামাডোলের মধ্যে একটি বিষয় ঘুরেফিরে বারবার আসছে। ইরানের কাছে কি পারমাণবিক অস্ত্র আছে, কিংবা ইরান এ ধরনের অস্ত্র তৈরি থেকে ঠিক কতটা দূরে? ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। যা ছয় জাতি আলোচনা নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নানা কারণেই সেই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিজেকে প্রত্যাহারের পর ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির গতি আরও বাড়িয়েছে। যাতে আরও দ্রুততম সময়ে পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব হয়। যদিও ইরান বারবার এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য এই কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলি হুমকির মুখে ইরান তার ‘নিউক্লিয়ার ডকট্রিন’ বা পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে পারে। তবে তিনি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট না হলেও এটি নিশ্চিত যে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করেই এ কথা বলেছেন।
২০১৫ সালের চুক্তি অনুসারে তেহরান তার কাছে থাকা ইউরেনিয়াম ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করতে পারবে। যা পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের থেকে অনেক নিচে। বিপরীতে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ইরান সে সময় এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল, মূলত পারমাণবিক বোমা তৈরির অন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সংগ্রহ বা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিশ্চিত করতে। দেশটি অন্তত এক বছর সময় কিনতে চেয়েছিল সেই চুক্তির মাধ্যমে।
পরে ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং তেহরানের ওপর বিশেষ করে দেশটির জ্বালানি তেলের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। প্রতিক্রিয়ায় ইরান ২০১৯ সাল থেকে এর পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় চালু করে এবং অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আগের চুক্তির সব শর্তই ইরান লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে কোথায়, কোন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে, কোন মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে এবং কী পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে—এসব শর্তের সবগুলোই লঙ্ঘন করেছে দেশটি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তিতে বলা ছিল, ইরান মাত্র ২০২ দশমিক ৮ কিলোগ্রাম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ইরানের কাছে সাড়ে পাঁচ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত ছিল।
আইএইএয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান ইউরেনিয়ামকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশটির কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিপুল মজুত আছে। এমনকি যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে, তা যদি আরও সমৃদ্ধ করতে পারে, তবে অন্তত দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে দেশটি।
এর সহজ অর্থ হলো ইরানের জন্য তথাকথিত ‘ব্রেকআউট টাইম’ অর্থাৎ পারমাণবিক বোমার জন্য পর্যাপ্ত ওয়েপন গ্রেড ইউরেনিয়াম তৈরি করতে যে সময় লাগবে, তা বলতে গেলে শূন্যের কাছাকাছি। সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক দিন লাগবে।
আশঙ্কার বিষয় হলো, ইরান এই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য না হওয়ায় আইএইএ—আর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পুরো অবকাঠামো পরিদর্শনের অধিকার রাখে না। ফলে ইরান আরও একটি গোপন সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।
পারমাণবিক বোমা বানানোর পাশাপাশি এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে। প্রথম বোমা বানানোর পর বাকি অস্ত্রগুলো বানাতে কী পরিমাণ সময় দেশটি নেবে এবং সেই বোমাগুলো বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির আছে কি না? এ বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে ইরানের এই বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান কতটা সে বিষয়ে কখনোই বিস্তারিত জানা যায়নি।
আইএইএ প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র তৈরি ও তা বহন করার যোগ্য বাহন তৈরির লক্ষ্যে ইরানের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছিল ইরানের। তবে তা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অনেক অংশ নিয়েই কাজ করেছে ইরান।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইরানের আর কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের অনুমান, কয়েক মাস থেকে বছরখানেক সময় লাগতে পারে দেশটির। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি দেশটির কংগ্রেসে বলেছিলেন, ইরানের অস্ত্র তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে তিনি এই মূল্যায়ন কিসের ভিত্তিতে দিয়েছিলেন তার সূত্র উল্লেখ করেননি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আইএইএয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পর্কে প্রকাশ্য যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, তাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার বিষয়ে ইরানের নিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক ইচ্ছার বিষয়ে (আইএইএ) মহাপরিচালকের উদ্বেগকেই কেবল বাড়িয়ে তুলেছে।’
পশ্চিমা কূটনীতিকেরা বলছেন, ইরান যে বিবৃতিগুলো দেয়, তা থেকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়ে তাদের এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ আরও দৃঢ় করে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাবেক প্রধান আলী আকবর সালেহির এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিকে একটি গাড়ি তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইরান জানে কীভাবে তা তৈরি করতে হয়।
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১০ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
১০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর দল রাজধানী ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে তা স্থগিত করলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ‘প্রস্তাব’ এসেছে। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে