
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ প্রায়ই অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে একাধিকবার মাঝপথে বিমান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি এড়াতে মূল বিমানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একটি জেট সঙ্গে করে চীন সফরে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য দেশেই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।
গতকাল রোববার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স চীন সফর শুরু করেছেন। এই সফরে তাঁকে বহনকারী উড়োজাহাজটিকে ফিলিপাইনের ম্যানিলা পর্যন্ত সঙ্গে দেয় বিমানবাহিনীর একটি বিমান।
প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্সকে বহন করে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড এয়ার ফোর্সের বোয়িং ৭৫৭। আজ সোমবার সকালে বেইজিং পৌঁছান তিনি। চীন নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। বাণিজ্য সম্প্রসারণের আশায় বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্স। দীর্ঘ এক সপ্তাহের এ সফরে তাঁর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ৭৫৭ বিমানটি ফিলিপাইনের ম্যানিলা পর্যন্ত প্রথমটির সঙ্গে ছিল। মূলত প্রথম বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে যদি যায় সেই আশঙ্কা থেকে ব্যাকআপ হিসেবে এটি নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভ্রমণের গুরুত্ব এবং দীর্ঘ দূরত্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় একটি ব্যাকআপ বিমান আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মিশনের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘৭৫৭ বিমানের বয়স প্রায় ৩০ বছর। এগুলোর অর্থনৈতিক আয়ু শেষের দিকে। ২০২৮ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসব বিমান প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতে নতুন বিমান প্রতিস্থাপনের সময় আরও এগিয়ে আনার কথা বিবেচনার দাবি উঠছে। এ ছাড়া এ ধরনের উড়োজাহাজে করে ভ্রমণে নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকে।
বিরোধী দলগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরে অতিরিক্ত একটি বিমান নেওয়ার যে প্রয়োজন হলো, এতে অতিরিক্ত জ্বালানি পুড়ল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হলো—এটি দেশের গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে প্রণীত আইনের ব্যত্যয় এবং পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় আমাদের জন্য বিব্রতকর। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুর্বল অবস্থার চিত্রও এতে প্রকাশ পায়।
প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টির নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি আমাদের জলবায়ু জরুরি থেকে থাকে, তবে ৩০ বছর বয়সী দুটি ৭৫৭ বিমান নেওয়ার পেছনে খুব একটা যুক্তি থাকে না।’
উদারনৈতিকবাদী এসিটি পার্টির নেতা ডেভিড সেমুর বলেন, একটি বাড়তি বিমান যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করেছে তার পরিমাণ নিউজিল্যান্ডের এপার ওপার ৬০৬ বার যাতায়াতের বেশি একটি ফোর্ড রেঞ্জার চালানোর সমান।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক বিদেশ ভ্রমণের সময় সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ফোন চার্জার নিতে পারে। একটি হারিয়ে যাতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে এটি করা যায়। ক্রিস হিপকিন্সকে কেন সঙ্গে অতিরিক্ত একটি বোয়িং বিমান নিতে হবে? নিউজিল্যান্ডের পুরোনো বিমান বহর জাতীয় অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে!’
এসিটি পার্টি নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। তারা বলেছে, ২০২৮ সালের আগেই তারা দুটি ৭৫৭ বিমান বাদ দিয়ে নতুন বিমান কেনার জন্য অর্থায়ন করবে। সরকারের তথ্য অনুযায়ীই, ২০১৭ সাল থেকে এই দুটি বিমান রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনীর বহু পুরোনো বহরে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে রাজনীতিবিদদের মাঝপথে আটকা পড়ার রেকর্ড কম নয়।
গত বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন অ্যান্টার্কটিকায় আটকা পড়েছিলেন। তাঁকে বহনকারী বিমানবাহিনীর সি–১৩০ বিমানটি ফিরতি যাত্রার জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে তিনি বিপাকে পড়েন। পরে একটি ইতালীয় বিমানে তাঁকে নিউজিল্যান্ডে নেওয়া হয়।
আরডার্ন যখন ২০২২ সালের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন, তখনো তাঁকে বহনকারী বোয়িং বিমান ওয়াশিংটনে অকেজো হয়ে পড়ে। পরে তাঁকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ফিরতে হয়েছিল।
গত বছর বিমান অকেজো হয়ে পড়ার আরেকটি ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিনি হেনারে এবং ৩০ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল সোলোমন দ্বীপপুঞ্জে আটকা পড়ে।
এ ছাড়া ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন কি অস্ট্রেলিয়ার শহর টাউনসভিলে আটকা পড়েছিলেন। সারা রাত সেখানে অবস্থান করতে হয়েছিল তাঁকে। ভারতে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে বহনকারী ৭৫৭ বিমানটি অকেজো হয়ে পড়ে। পরে নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনী তাঁদের জন্য আরেকটি বিমান পাঠায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলকে ভারত সফর একদিন কমিয়ে আনতে হয়েছিল।
এবার আপৎকালীন বিকল্প হিসেবে বিমানবাহিনীর আরেকটি ৭৫৭ বিমান নেওয়ার পেছনে যুক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্সের মুখপাত্র বলেছেন, বিমনাবাহিনীর জেট ব্যবহার করলে বাণিজ্যিক চার্টার্ড বিমানের চেয়ে খরচ কম হয়। পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা যেমন—নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, সময় সাশ্রয় এবং হোটেলে থাকার মতো অতিরিক্ত খরচ কমানো যায়।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ প্রায়ই অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে একাধিকবার মাঝপথে বিমান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি এড়াতে মূল বিমানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একটি জেট সঙ্গে করে চীন সফরে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য দেশেই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।
গতকাল রোববার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স চীন সফর শুরু করেছেন। এই সফরে তাঁকে বহনকারী উড়োজাহাজটিকে ফিলিপাইনের ম্যানিলা পর্যন্ত সঙ্গে দেয় বিমানবাহিনীর একটি বিমান।
প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্সকে বহন করে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড এয়ার ফোর্সের বোয়িং ৭৫৭। আজ সোমবার সকালে বেইজিং পৌঁছান তিনি। চীন নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। বাণিজ্য সম্প্রসারণের আশায় বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্স। দীর্ঘ এক সপ্তাহের এ সফরে তাঁর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ৭৫৭ বিমানটি ফিলিপাইনের ম্যানিলা পর্যন্ত প্রথমটির সঙ্গে ছিল। মূলত প্রথম বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে যদি যায় সেই আশঙ্কা থেকে ব্যাকআপ হিসেবে এটি নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভ্রমণের গুরুত্ব এবং দীর্ঘ দূরত্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় একটি ব্যাকআপ বিমান আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মিশনের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘৭৫৭ বিমানের বয়স প্রায় ৩০ বছর। এগুলোর অর্থনৈতিক আয়ু শেষের দিকে। ২০২৮ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসব বিমান প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতে নতুন বিমান প্রতিস্থাপনের সময় আরও এগিয়ে আনার কথা বিবেচনার দাবি উঠছে। এ ছাড়া এ ধরনের উড়োজাহাজে করে ভ্রমণে নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকে।
বিরোধী দলগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরে অতিরিক্ত একটি বিমান নেওয়ার যে প্রয়োজন হলো, এতে অতিরিক্ত জ্বালানি পুড়ল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হলো—এটি দেশের গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে প্রণীত আইনের ব্যত্যয় এবং পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় আমাদের জন্য বিব্রতকর। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুর্বল অবস্থার চিত্রও এতে প্রকাশ পায়।
প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টির নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি আমাদের জলবায়ু জরুরি থেকে থাকে, তবে ৩০ বছর বয়সী দুটি ৭৫৭ বিমান নেওয়ার পেছনে খুব একটা যুক্তি থাকে না।’
উদারনৈতিকবাদী এসিটি পার্টির নেতা ডেভিড সেমুর বলেন, একটি বাড়তি বিমান যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করেছে তার পরিমাণ নিউজিল্যান্ডের এপার ওপার ৬০৬ বার যাতায়াতের বেশি একটি ফোর্ড রেঞ্জার চালানোর সমান।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক বিদেশ ভ্রমণের সময় সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ফোন চার্জার নিতে পারে। একটি হারিয়ে যাতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে এটি করা যায়। ক্রিস হিপকিন্সকে কেন সঙ্গে অতিরিক্ত একটি বোয়িং বিমান নিতে হবে? নিউজিল্যান্ডের পুরোনো বিমান বহর জাতীয় অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে!’
এসিটি পার্টি নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। তারা বলেছে, ২০২৮ সালের আগেই তারা দুটি ৭৫৭ বিমান বাদ দিয়ে নতুন বিমান কেনার জন্য অর্থায়ন করবে। সরকারের তথ্য অনুযায়ীই, ২০১৭ সাল থেকে এই দুটি বিমান রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনীর বহু পুরোনো বহরে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে রাজনীতিবিদদের মাঝপথে আটকা পড়ার রেকর্ড কম নয়।
গত বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন অ্যান্টার্কটিকায় আটকা পড়েছিলেন। তাঁকে বহনকারী বিমানবাহিনীর সি–১৩০ বিমানটি ফিরতি যাত্রার জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে তিনি বিপাকে পড়েন। পরে একটি ইতালীয় বিমানে তাঁকে নিউজিল্যান্ডে নেওয়া হয়।
আরডার্ন যখন ২০২২ সালের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন, তখনো তাঁকে বহনকারী বোয়িং বিমান ওয়াশিংটনে অকেজো হয়ে পড়ে। পরে তাঁকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ফিরতে হয়েছিল।
গত বছর বিমান অকেজো হয়ে পড়ার আরেকটি ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিনি হেনারে এবং ৩০ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল সোলোমন দ্বীপপুঞ্জে আটকা পড়ে।
এ ছাড়া ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন কি অস্ট্রেলিয়ার শহর টাউনসভিলে আটকা পড়েছিলেন। সারা রাত সেখানে অবস্থান করতে হয়েছিল তাঁকে। ভারতে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে বহনকারী ৭৫৭ বিমানটি অকেজো হয়ে পড়ে। পরে নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনী তাঁদের জন্য আরেকটি বিমান পাঠায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলকে ভারত সফর একদিন কমিয়ে আনতে হয়েছিল।
এবার আপৎকালীন বিকল্প হিসেবে বিমানবাহিনীর আরেকটি ৭৫৭ বিমান নেওয়ার পেছনে যুক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্সের মুখপাত্র বলেছেন, বিমনাবাহিনীর জেট ব্যবহার করলে বাণিজ্যিক চার্টার্ড বিমানের চেয়ে খরচ কম হয়। পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা যেমন—নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, সময় সাশ্রয় এবং হোটেলে থাকার মতো অতিরিক্ত খরচ কমানো যায়।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ প্রায়ই অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে একাধিকবার মাঝপথে বিমান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি এড়াতে মূল বিমানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একটি জেট সঙ্গে করে চীন সফরে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য দেশেই সমালোচ
২৬ জুন ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ প্রায়ই অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে একাধিকবার মাঝপথে বিমান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি এড়াতে মূল বিমানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একটি জেট সঙ্গে করে চীন সফরে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য দেশেই সমালোচ
২৬ জুন ২০২৩
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ প্রায়ই অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে একাধিকবার মাঝপথে বিমান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি এড়াতে মূল বিমানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একটি জেট সঙ্গে করে চীন সফরে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য দেশেই সমালোচ
২৬ জুন ২০২৩
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ প্রায়ই অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে একাধিকবার মাঝপথে বিমান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি এড়াতে মূল বিমানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একটি জেট সঙ্গে করে চীন সফরে গেছেন। এ নিয়ে অবশ্য দেশেই সমালোচ
২৬ জুন ২০২৩
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে