মিয়ানমারে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ৪৩
Thumbnail image

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪। গতকাল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়া ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। মিয়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট নামে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ৬৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং পাঁচটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ। ২০২১ সালে জান্তা বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগই সবচেয়ে ভয়াবহ। 

দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে বন্যার প্রভাব পড়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে। নেপিডোর তাতকন টাউনশিপে বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকে গাছে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকেই অনেকে ফেসবুকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পানির স্তর দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জিনিসপত্র সরানোর সময় ছিল না এবং বাধ্য হয়ে দ্রুত ছাদে উঠতে হয়েছিল। বন্যার পানির স্রোত খুব শক্তিশালী।’ 

অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সরকার ঘোষণা করেছে, ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ের মধ্যকার রেল পরিবহন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ মান্দালয়ের পিয়াবওয়ে শহরের একটি রেল সেতু বন্যায় ভেসে গেছে। জান্তা বলেছে, নেপিডোর পুরোনো ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় মহাসড়কও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে। 

আবহাওয়াবিদ ইউ উইন নাইং দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, টাইফুন ইয়াগির পরিপ্রেক্ষিতে মান্দালয়, সাগাইন ও মগওয়ে অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এর আগে গত জুলাই মাসে ইরাবতী নদীর তীরবর্তী শহর ও গ্রামের হাজার হাজার মানুষও প্রবল বন্যার শিকার হয়। কারণ উজান থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত