অনলাইন ডেস্ক
গত বুধবার বছরের প্রথম দিনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪। তবে বেঁচে যাওয়ারা এখনো কঠিন সময় পার করছেন। হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। বেঁচে যাওয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য আনতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে এ খবর।
গত সোমবার জাপানের নতো অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে যাওয়া এবং ভূমিধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল। সাহায্য নিয়ে সেসব অঞ্চলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। ভূমিকম্পের দুই দিন পরও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সম্পূর্ণ পরিমাণ স্পষ্ট নয়।
আজ বুধবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে তৈরি হয়েছে ভূমিধসের আশঙ্কা। এতে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া আরও অনেক মানুষকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা আরও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পথঘাট বিচ্ছিন্ন এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দূরবর্তী স্থানে উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে উঠেছে।
গতকাল রাত পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫৫ বলা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে। ২০১৬ সালের পর এ ভূমিকম্পেই হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দাঁড়াল। এ ছাড়া, ছোট ছোট ভূমিকম্প আঘাত হানছে জাপানে। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ওসাকা এবং নারা অঞ্চলের অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বৃষ্টি এবং ভূমিকম্পের আফটার শক সত্ত্বেও আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছিলেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বৈঠকের পর সরকার ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নৌপথ খুলেছে। সে সঙ্গে, ত্রাণবাহী বড় কিছু ট্রাক এখন কয়েকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য সময়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং আমি বিশ্বাস করি, এখন সেই যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
খাবার এবং পানির অভাব
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৩৩ হাজারেরও বেশি অধিবাসীকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অঞ্চলটির বেশ কিছু এলাকায় পানি বা বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মেয়ররা বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক জরুরি দুর্যোগ সভায় সরকারের কাছে রাস্তা পরিষ্কার করার এবং দ্রুত সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে প্রায় ১৩ হাজার জনসংখ্যার শহর সুজুর মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়া বলেন, ‘যারা অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা খাবার ও পানি ছাড়া বাঁচতে পারবে না। সাহায্য হিসেবে আমরা একটি রুটিও পাইনি।’
ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াজিমা শহরের মেয়র শিগেরু সাকাগুচি বলেছেন যে, তিনি সরকারের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার উদ্বাস্তুর মধ্যে মাত্র ২ হাজার মানুষ খাবার পেয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘর গরম করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গত বুধবার বছরের প্রথম দিনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪। তবে বেঁচে যাওয়ারা এখনো কঠিন সময় পার করছেন। হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। বেঁচে যাওয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য আনতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে এ খবর।
গত সোমবার জাপানের নতো অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে যাওয়া এবং ভূমিধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল। সাহায্য নিয়ে সেসব অঞ্চলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। ভূমিকম্পের দুই দিন পরও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সম্পূর্ণ পরিমাণ স্পষ্ট নয়।
আজ বুধবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে তৈরি হয়েছে ভূমিধসের আশঙ্কা। এতে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া আরও অনেক মানুষকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা আরও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পথঘাট বিচ্ছিন্ন এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দূরবর্তী স্থানে উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে উঠেছে।
গতকাল রাত পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫৫ বলা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে। ২০১৬ সালের পর এ ভূমিকম্পেই হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দাঁড়াল। এ ছাড়া, ছোট ছোট ভূমিকম্প আঘাত হানছে জাপানে। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ওসাকা এবং নারা অঞ্চলের অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বৃষ্টি এবং ভূমিকম্পের আফটার শক সত্ত্বেও আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছিলেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বৈঠকের পর সরকার ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নৌপথ খুলেছে। সে সঙ্গে, ত্রাণবাহী বড় কিছু ট্রাক এখন কয়েকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য সময়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং আমি বিশ্বাস করি, এখন সেই যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
খাবার এবং পানির অভাব
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৩৩ হাজারেরও বেশি অধিবাসীকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অঞ্চলটির বেশ কিছু এলাকায় পানি বা বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মেয়ররা বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক জরুরি দুর্যোগ সভায় সরকারের কাছে রাস্তা পরিষ্কার করার এবং দ্রুত সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে প্রায় ১৩ হাজার জনসংখ্যার শহর সুজুর মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়া বলেন, ‘যারা অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা খাবার ও পানি ছাড়া বাঁচতে পারবে না। সাহায্য হিসেবে আমরা একটি রুটিও পাইনি।’
ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াজিমা শহরের মেয়র শিগেরু সাকাগুচি বলেছেন যে, তিনি সরকারের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার উদ্বাস্তুর মধ্যে মাত্র ২ হাজার মানুষ খাবার পেয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘর গরম করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ট্রাম্প চীন সফরের বিষয়ে তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তবে চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে প্রেসিডেন্
৩৪ মিনিট আগেগাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এই মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার কোম্পানি বর্তমানে একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে; বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিতর্ক, বিপুল বকেয়া পাওনা এবং অতিরিক্ত বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কঠিন অবস্থায় রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাড়িতে চুরির চেষ্টা ও হামলার অভিযোগে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ। পুলিশের দাবি, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তবে আটক ব্যক্তির আইনজীবী ‘বাংলাদেশি নাগরিকত্ব’ নিয়ে পুলিশের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে