ভিসা কড়াকড়ির মধ্যে যেভাবে ভারতে গেলেন পাক ক্রিকেটের সেই ‘চাচা’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ৩৫
Thumbnail image

কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানিদের জন্য কঠোর ভিসা প্রবিধান চালু রেখেছে ভারত। দরজায় বিশ্বকাপ কড়া নাড়লেও পাক ক্রিকেটের ভক্তরা এখনো ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন না। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে, হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তানের প্র্যাকটিস ম্যাচে।

গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে দেখা গেছে, পাকিস্তান দলের সমর্থনে মাঠের গ্যালারি প্রায় শূন্য। একেবারে শূন্যই বলা যেত, যদি না সেখানে পাক ক্রিকেটের সুপরিচিত ভক্ত বশির চাচা না থাকতেন। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৪ রানে হেরে যাওয়া ওই ম্যাচটির পুরোটা সময় একা একাই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে গেছেন মোহাম্মদ বশির।

হায়দরাবাদের মাঠে উপস্থিত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে বশির বলেন, ‘আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। তিনটা হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে গেছি। এখন আর শক্তি পাই না, আগে যেমন ছিলাম।’

শরীরে শক্তি অনুভব না করলেও ৬৬ বছর বয়সী বশিরের ক্রিকেট অনুরাগ এখনো একবিন্দু কমেনি। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বকাপই মিস হয়নি তাঁর। সশরীরে উপস্থিত থেকে মাঠে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলকে সব ম্যাচেই সমর্থন দিয়ে গেছেন। ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে বিশ্বজুড়ে তাঁর পরিচিতি গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে হয়েছে বন্ধুত্ব। ক্রিকেটের জন্য সুপরিচিত বিশ্বের সব শহরেই তাঁর পা পড়েছে। সাক্ষী হয়েছেন পাকিস্তানের কয়েক শ ম্যাচের।

কতগুলো ম্যাচ দেখা হয়েছে সেই প্রশ্নে মোহাম্মদ বশির বলেন, ‘৫০০ নাকি ৪০০, সত্যি বলতে আমি কখনো ম্যাচের সংখ্যা গুনে দেখিনি। আমি শুধু স্মৃতিগুলো বহন করছি।’

আশঙ্কার বিষয় হলো—প্র্যাকটিস ম্যাচের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে আগামী শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটিতেও গ্যালারিতে একমাত্র পাক সমর্থক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বশিরের। কারণ, আগামী শুক্রবার পাকিস্তানের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভারতের কঠোর ভিসা প্রবিধান এখনো শিথিল করা হয়নি। বশিরের ক্ষেত্রে অবশ্য ভিসা পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ, তাঁর আমেরিকান পাসপোর্ট আছে।

মোহাম্মদ বশির আশা করছেন, মাঠে প্রচুরসংখ্যক পাকিস্তানি সমর্থকের উপস্থিতি দেখা যাবে। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে ভিসা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছে। যদিও পাক সমর্থকদের ভিসার বিষয়টি এখনো ঝুলেই আছে।

বশির জানিয়েছেন, এবার নিয়ে তিনবার তিনি ভারতে গেছেন। ভারতের হায়দরাবাদ থেকেই তাঁর মা-বাবা পাকিস্তানের করাচিতে অভিবাসী হয়েছিলেন। তা ছাড়া হায়দরাবাদের এক নারীকেই তিনি বিয়ে করেছেন।

রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বশির বলেন, ‘আমি এই শহরের জামাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত