অনলাইন ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় চলমান বিক্ষোভ থামাতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ‘যা যা করা প্রয়োজন তা করতে’ সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বান সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা গ্রহণের ইঙ্গিত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কলম্বোর একজন মানবাধিকার আইনজীবী ভবানী ফনসেকা বিবিসি ওয়ার্ল্ডকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সেনাবাহিনী সব সময়ই সরকার ও রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে।’
ভবানী ফনসেকা আরও বলেছেন, ‘আমাদের খুবই শক্তিশালী গণতন্ত্র ছিল। গণতন্ত্রের পথ ধরেই প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু আমরা এখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। এখন যেকোনো কিছুই ঘটা সম্ভব।’
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইতিমধ্যে দেশ থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন এবং দেশ ছাড়ার আগে তিনি রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে গেছেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা রনিলকেও মানতে নারাজ। তারা রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এদিকে গোতাবায়া রাজাপক্ষে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে মালদ্বীপে আত্মগোপন করেছেন। সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র দিতে পারেন।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই সংকটের জন্য শ্রীলঙ্কার মানুষ রাজাপক্ষে প্রশাসনকে দায়ী করেছে। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রনিল বিক্রমাসিংহেকেও এই সংকটের জন্য দায়ী করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে সোফায় বসে ছবি তুলেছে এবং চেয়ার ও ডেস্কের ওপর দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার পতাকা নেড়েছে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে প্রেসিডেন্টের প্রসাদেও হামলা চালিয়েছিল তারা।
এমন পরিস্থিতিতে টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পরি না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই এই ফ্যাসিবাদী হুমকির অবসান ঘটাতে হবে।’
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে।
বিবিসির সাংবাদিক টেসা ওং বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা যখন প্রেসিডেন্ট ভবনের ভেতরে গিয়ে উল্লাস করছিল, তখন সশস্ত্র সৈন্যরা নিরুদ্বেগভাবে দাঁড়িয়ে তাদের উল্লাস দেখছিল।
নিক্সন চন্দ্রনাথন নামে এক বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গোতাবায়ার অপসারণ এবং রনিল ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগ। শ্রীলঙ্কাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের এখন সত্যবাদী ও সৎ নেতা দরকার।’
বার্তা সংস্থা এএফপিকে সতীশ বি নামের একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘এ দেশে কোনো সুষ্ঠু শাসন নেই। এভাবে চলতে পারে না। তরুণেরা এভাবে আর দেশকে চলতে দিতে চায় না। এ জন্য আমি গর্বিত।’
শ্রীলঙ্কায় চলমান বিক্ষোভ থামাতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ‘যা যা করা প্রয়োজন তা করতে’ সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বান সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা গ্রহণের ইঙ্গিত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কলম্বোর একজন মানবাধিকার আইনজীবী ভবানী ফনসেকা বিবিসি ওয়ার্ল্ডকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সেনাবাহিনী সব সময়ই সরকার ও রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে।’
ভবানী ফনসেকা আরও বলেছেন, ‘আমাদের খুবই শক্তিশালী গণতন্ত্র ছিল। গণতন্ত্রের পথ ধরেই প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু আমরা এখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। এখন যেকোনো কিছুই ঘটা সম্ভব।’
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইতিমধ্যে দেশ থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন এবং দেশ ছাড়ার আগে তিনি রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে গেছেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা রনিলকেও মানতে নারাজ। তারা রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এদিকে গোতাবায়া রাজাপক্ষে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে মালদ্বীপে আত্মগোপন করেছেন। সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র দিতে পারেন।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই সংকটের জন্য শ্রীলঙ্কার মানুষ রাজাপক্ষে প্রশাসনকে দায়ী করেছে। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রনিল বিক্রমাসিংহেকেও এই সংকটের জন্য দায়ী করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে সোফায় বসে ছবি তুলেছে এবং চেয়ার ও ডেস্কের ওপর দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার পতাকা নেড়েছে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে প্রেসিডেন্টের প্রসাদেও হামলা চালিয়েছিল তারা।
এমন পরিস্থিতিতে টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পরি না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই এই ফ্যাসিবাদী হুমকির অবসান ঘটাতে হবে।’
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে।
বিবিসির সাংবাদিক টেসা ওং বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা যখন প্রেসিডেন্ট ভবনের ভেতরে গিয়ে উল্লাস করছিল, তখন সশস্ত্র সৈন্যরা নিরুদ্বেগভাবে দাঁড়িয়ে তাদের উল্লাস দেখছিল।
নিক্সন চন্দ্রনাথন নামে এক বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গোতাবায়ার অপসারণ এবং রনিল ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগ। শ্রীলঙ্কাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের এখন সত্যবাদী ও সৎ নেতা দরকার।’
বার্তা সংস্থা এএফপিকে সতীশ বি নামের একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘এ দেশে কোনো সুষ্ঠু শাসন নেই। এভাবে চলতে পারে না। তরুণেরা এভাবে আর দেশকে চলতে দিতে চায় না। এ জন্য আমি গর্বিত।’
পুলিশের স্থাপন করা ব্যারিকেড ভেঙে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঢুকে পড়েছে ইমরান খানের সমর্থকেরা। তারা ঢুকে পড়ার পরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা আজ মঙ্গলবার
২৩ মিনিট আগেগুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল—মুসলিম ভোটের বিভাজন। যার ফলে, রাজ্য বিধানসভার মুসলিম অধ্যুষিত ৩৮টি আসনের একটি বড় অংশকেই শাসক জোটকে পকেটে পুরতে সহায়তা করেছে
৪১ মিনিট আগেপাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকেরা রাজধানীতে পৌঁছে বিক্ষোভ করতে পারে
৩ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি গাড়ি রেঞ্জারস সদস্যদের ওপর উঠিয়ে দিলে চার সদস্য নিহত হন এবং আরও পাঁচ রেঞ্জারস ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। তবে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ রেঞ্জারস এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রাণ গেছে। এ ছাড়া ১০০-এর বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে