মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৩৬, বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ৫৪
Thumbnail image

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হয়েছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজারো মানুষ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের একটি অংশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮০। এর মধ্যে ভিয়েতনামের ২৩৩ এবং মিয়ানমারের ৩৬ জন। তবে অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এদিকে, মিয়ানমার ফায়ার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট (এমএফএসডি) গত বুধবার জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণের মান্দালয় অঞ্চলের ইয়ামেথিন টাউনশিপে প্রবল বন্যায় পাঁচটি গ্রামের ১০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫৩ হাজার ৯২৭ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে বন্যার প্রভাব পড়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে। 

নেপিডোর তাতকন টাউনশিপে বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকে গাছে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকেই অনেকে ফেসবুকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পানির স্তর দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জিনিসপত্র সরানোর সময় ছিল না এবং বাধ্য হয়ে দ্রুত ছাদে উঠতে হয়েছিল। বন্যার পানির স্রোত খুব শক্তিশালী।’ 

বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ছবি: এএফপি অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সরকার ঘোষণা করেছে, ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ের মধ্যকার রেল পরিবহন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ মান্দালয়ের পিয়াবওয়ে শহরের একটি রেল সেতু বন্যায় ভেসে গেছে। জান্তা বলেছে, নেপিডোর পুরোনো ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় মহাসড়কও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে। 

আবহাওয়াবিদ ইউ উইন নাইং দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, টাইফুন ইয়াগির পরিপ্রেক্ষিতে মান্দালয়, সাগাইন ও মগওয়ে অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এর আগে, গত জুলাই মাসে ইরাবতী নদীর তীরবর্তী শহর ও গ্রামের হাজার হাজার মানুষও প্রবল বন্যার শিকার হয় কারণ উজান থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত