ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের কর্মীর নাকে তীব্র মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ২৯
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ৪৭

জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একজন কর্মীর নাকে তীব্র মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১১ সালে বিকল হওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত সেই শ্রমিকের নাকে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তের ঘটনায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান ঝুঁকির বিষয়টিই সামনে এসেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। এ সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার কথা বলেছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিষ্কারের কাজ তদারক করা প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো)। তারা জানিয়েছে, গত সোমবারই তেজস্ক্রিয়তা সেই শ্রমিকের মুখ স্পর্শ করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, কাজ শেষ করার পর সম্পূর্ণ মুখ ঢেকে রাখা মুখোশটি খুলে ফেলেছিলেন সেই শ্রমিক।

টেপকো বলেছে, এখনো শরীরে কোনো অসুবিধা অনুভব করছেন না তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসা শ্রমিক। সম্পূর্ণ স্ক্যান করেও শরীরের অভ্যন্তরে তেজস্ক্রিয় দূষণের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে তার শারীরিক অবস্থার সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ পেতে সামনের মাস হয়ে যাবে।

গত অক্টোবরে তেজস্ক্রিয় পদার্থমিশ্রিত পানির সংস্পর্শে এসেছিলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের চার শ্রমিক। তার তিন মাসের মধ্যে শ্রমিকের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তের এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

২০১১ সালে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং তার ফলে সৃষ্ট সুনামির কারণে ধ্বংস হয় ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই দুর্যোগে নিহত হয়েছিল প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। ফুকুশিমার এই ঘটনাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ধ্বংস হয়ে যাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিষ্কারে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অভিযানে সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশ হচ্ছে—আঘাতপ্রাপ্ত তিনটি চুল্লি থেকে জ্বালানি ও ধ্বংসস্তূপ অপসারণ। আর সেই কাজ শুরু হতে এখনো বাকি।

গত আগস্টে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৫৪০টি অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমপরিমাণ তরল বর্জ্য ফেলতে শুরু করে জাপান। এতে সাগরের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে সাগরে ফেলা এসব তরল বর্জ্য ক্ষতিকারক নয় বলে জোর দিয়ে বলে আসছে টোকিও। পদ্ধতিটিকে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্বারা সমর্থিত বলেও জানিয়েছে জাপান। তবে জাপান এসব বললেও চীন ও রাশিয়া জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত