অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। সফরের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য ছিল তাঁর পূর্বসূরি দেশটির আরেক জান্তা শাসক থান শোয়ের অধরা স্বপ্ন পরমাণু অস্ত্র অর্জন। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক নিবন্ধে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রায় দুই দশক আগে তৎকালীন শাসক থান শোয়ে তাঁর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী উ থাংকে বলেছিলেন, ‘যদি সম্ভব হয় তবে একটি পারমাণবিক বোমা বানাও। এমনকি তা বেলের মতো আকারের হলেও প্রথমে সমস্যা নেই।’ এরপর প্রায় দুই দশক পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার থান শোয়ের সেই স্বপ্ন ত্যাগ করেনি। বরং শোয়ের পছন্দের মিন অং হ্লাইং সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।
সর্বশেষ রাশিয়া সফরে মিন অং হ্লাইং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় শক্তি সংস্থা রোসাটমের প্রধান অ্যালেক্সেই লিখাশেভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারও আগে গত জুলাই মাসেই রাশিয়ায় একটি ব্যক্তিগত সফরের সময় অ্যালেক্সেই লিখাশেভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ওই সময় মিয়ানমারে পারমাণবিক শক্তি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়া-মিয়ানমারের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এবং সর্বশেষ সফরে মিয়ানমারে সম্ভাব্য একটি মডুলার নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর স্থাপনের ব্যাপারে রোসাটমের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এসব ঘটনার পরম্পরাই মূলত আবারও বিষয়টিকে সামনে এনেছে। প্রশ্ন উঠেছে, মিয়ানমার কি তাহলে রাশিয়ার সহায়তায় পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে চায়?
যদিও জান্তা সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন সাংবাদিকদের বলেছেন, এই প্রকল্প কেবলই শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু শক্তি হাসিলের লক্ষ্যে। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো এটাই প্রথমবার নয় যে, রোসাটম ও জান্তা সরকার পরমাণু শক্তি প্রকল্প নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিচ্ছে। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘোষণা এসেছে। সেটা ২০০৭ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বাধায় তা আর কার্যকর হয়নি।
এই বাধা থান শোয়েকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ামুখী করে। পরে সেই পথ ধরে দেশ দুটির পরমাণু শক্তি বিশেষজ্ঞরা মিয়ানমারে এসেছিলেন এবং মিয়ানমারের শতাধিক সেনা কর্মকর্তাকে রাশিয়া পাঠানো হয় পরমাণু শক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বিষয়ে উচ্চতর পড়ালেখার জন্য। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়াও সফরে গিয়েছিলেন। তবে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও বর্তমান জান্তা সরকার পরমাণু বিদ্যুতে জনগণের আগ্রহ রয়েছে বলে মূল বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যেতে চাচ্ছে।
২০১০ সালে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মেজর সাই থিয়েন উইন দেশটির পরমাণু কর্মসূচির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেন ছবি-প্রমাণসহ। যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়—দেশটি উত্তর কোরিয়ার কারিগরি সহায়তায় পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়ার বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে অবশ্য ২০১১ সালে দেশটিতে ‘গণতান্ত্রিক পরিবর্তন’ ত্বরান্বিত করতে এই প্রক্রিয়া বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
ওই ঘটনার ৫ বছর পর; অর্থাৎ, ২০১৬ সালে মিয়ানমারের সরকার নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ২০২১ সালে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা জান্তা বাহিনীর পরমাণু অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে বিশ্বে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থানে থাকা রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমার নতুন করে এই বিষয়ে আবারও স্বপ্ন দেখছে।
যদিও মিন অং হ্লাইং জনসমক্ষে বলে এসেছেন মিয়ানমারে পরমাণু শক্তি অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণভাবে তা মিয়ানমারের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা। তবে এই শক্তি অর্জনের বাস্তবতা এতটা সরলীকৃত কোনো বিষয় নয়।
সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। সফরের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য ছিল তাঁর পূর্বসূরি দেশটির আরেক জান্তা শাসক থান শোয়ের অধরা স্বপ্ন পরমাণু অস্ত্র অর্জন। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক নিবন্ধে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রায় দুই দশক আগে তৎকালীন শাসক থান শোয়ে তাঁর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী উ থাংকে বলেছিলেন, ‘যদি সম্ভব হয় তবে একটি পারমাণবিক বোমা বানাও। এমনকি তা বেলের মতো আকারের হলেও প্রথমে সমস্যা নেই।’ এরপর প্রায় দুই দশক পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার থান শোয়ের সেই স্বপ্ন ত্যাগ করেনি। বরং শোয়ের পছন্দের মিন অং হ্লাইং সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।
সর্বশেষ রাশিয়া সফরে মিন অং হ্লাইং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় শক্তি সংস্থা রোসাটমের প্রধান অ্যালেক্সেই লিখাশেভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারও আগে গত জুলাই মাসেই রাশিয়ায় একটি ব্যক্তিগত সফরের সময় অ্যালেক্সেই লিখাশেভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ওই সময় মিয়ানমারে পারমাণবিক শক্তি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়া-মিয়ানমারের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এবং সর্বশেষ সফরে মিয়ানমারে সম্ভাব্য একটি মডুলার নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর স্থাপনের ব্যাপারে রোসাটমের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এসব ঘটনার পরম্পরাই মূলত আবারও বিষয়টিকে সামনে এনেছে। প্রশ্ন উঠেছে, মিয়ানমার কি তাহলে রাশিয়ার সহায়তায় পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে চায়?
যদিও জান্তা সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন সাংবাদিকদের বলেছেন, এই প্রকল্প কেবলই শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু শক্তি হাসিলের লক্ষ্যে। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো এটাই প্রথমবার নয় যে, রোসাটম ও জান্তা সরকার পরমাণু শক্তি প্রকল্প নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিচ্ছে। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘোষণা এসেছে। সেটা ২০০৭ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বাধায় তা আর কার্যকর হয়নি।
এই বাধা থান শোয়েকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ামুখী করে। পরে সেই পথ ধরে দেশ দুটির পরমাণু শক্তি বিশেষজ্ঞরা মিয়ানমারে এসেছিলেন এবং মিয়ানমারের শতাধিক সেনা কর্মকর্তাকে রাশিয়া পাঠানো হয় পরমাণু শক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বিষয়ে উচ্চতর পড়ালেখার জন্য। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়াও সফরে গিয়েছিলেন। তবে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও বর্তমান জান্তা সরকার পরমাণু বিদ্যুতে জনগণের আগ্রহ রয়েছে বলে মূল বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যেতে চাচ্ছে।
২০১০ সালে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মেজর সাই থিয়েন উইন দেশটির পরমাণু কর্মসূচির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেন ছবি-প্রমাণসহ। যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়—দেশটি উত্তর কোরিয়ার কারিগরি সহায়তায় পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়ার বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে অবশ্য ২০১১ সালে দেশটিতে ‘গণতান্ত্রিক পরিবর্তন’ ত্বরান্বিত করতে এই প্রক্রিয়া বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
ওই ঘটনার ৫ বছর পর; অর্থাৎ, ২০১৬ সালে মিয়ানমারের সরকার নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ২০২১ সালে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা জান্তা বাহিনীর পরমাণু অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে বিশ্বে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থানে থাকা রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমার নতুন করে এই বিষয়ে আবারও স্বপ্ন দেখছে।
যদিও মিন অং হ্লাইং জনসমক্ষে বলে এসেছেন মিয়ানমারে পরমাণু শক্তি অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণভাবে তা মিয়ানমারের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা। তবে এই শক্তি অর্জনের বাস্তবতা এতটা সরলীকৃত কোনো বিষয় নয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কেবল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিই যথেষ্ট নয়। তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা উচিত। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র
৭ মিনিট আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনগণের চুরি যাওয়া ম্যান্ডেট পুনরুদ্ধার ও দেশটির সংবিধানের ২৬ তম সংশোধনী বাতিলে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ‘চূড়ান্ত ডাক’ দিয়েছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার সমর্থক দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা হন গতকাল রোববার। তবে তারা সেদিন...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৩ থেকে ৫ হাজার যোদ্ধা সংগ্রহের ব্যাপকতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া, আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ব্যর্থ আলোচনা, জান্তার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের অর্থ এবং নাগরিকত্বের প্রস্তাব এবং বিদ্রোহীদের সঙ্গে কিছু বাংলাদেশি কর্মকর্তার...
৩ ঘণ্টা আগেযে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
৪ ঘণ্টা আগে