আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে কয়েক দফা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন নিহত ও নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। তালেবানের এক সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দফায় দফায় বিস্ফোরণে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। তবে নানগারহারের রাজধানী জালালাবাদে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, 'কাবুল ও জালালাবাদের বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এটি তাদেরই অবশিষ্ট কাজ। তালেবান এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে। এ ঘটনায় জালালাবাদ থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।' 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেন, জালালাবাদে টহলরত অবস্থায় তালেবানের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা সংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে পরপর চারটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

উল্লেখ্য, আশরাফ গনির সরকারকে হটিয়ে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করে দেশটিতে থাকা বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা। সেই সময় কাবুল বিমানবন্দরে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির অবতারণা হয়। গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ১৭৫ জন প্রাণ হারান। ওই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) খোরাসান শাখা।