দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন। সেখানে স্থানীয় ফুড ডেলিভারি স্টার্টআপ ‘কুজিন’-এর একটি রাঁধুনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা বলা হয়েছিল। অফিসের কর্মীদের জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করার কৌশল শেখানো হবে এই কোর্সে।
আতামেতোভা ওই কোর্সে নিবন্ধন করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি পরিবেশনের উপযোগী খাবার, খাবারের অংশ পরিমাপ এবং রান্নার মান বজায় রাখার নিয়ম শেখেন। এভাবেই বর্তমানে ২২ বছর বয়সী আতামেতোভা একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন।
প্রতিদিন তিনি ব্যাংকসহ বিভিন্ন করপোরেট অফিসের কর্মীদের কাছ থেকে তাঁর তৈরি খাবারের ডজন ডজন অর্ডার পান। কুজিনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁর কাছে অর্ডার পৌঁছায়। ডেলিভারি কর্মীরা তাঁর বাসা থেকে খাবার সংগ্রহ করে অফিসগুলোতে পৌঁছে দেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কুজিন’ শুধু খাবার সরবরাহ করে না, বরং শেফদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
আতামেতোভা বলেন, ‘আগে ব্যবসা শুরু করতে ভয় লাগত। কারণ মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন—এসব বিষয় জানা খুব কঠিন। কিন্তু কুজিন আমাকে এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবুও ২০২৩ সালে দেশটির শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার পুরুষদের ৬২.৮ শতাংশের তুলনায় নারীদের ছিল মাত্র ৩৯.৯ শতাংশ।
নারীদের বাড়ির কাজে নিয়োজিত থাকার সামাজিক প্রত্যাশাই এর একটি প্রধান কারণ বলে মনে করেন কেট গ্রোমোভা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ‘উইমেন ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ কনসালটেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের মূল কারণ হলো সামাজিক নিয়মকানুন, প্রচলিত ধ্যানধারণা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি। তবে ‘কুজিন’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য আর্থিক স্বাধীনতার সুযোগ তৈরি করছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের পরিচিত ও আরামদায়ক কাজে আয় করতে পারছেন।
কুজিনের প্রতিষ্ঠাতা মুরোদ খুসানভ বলেন, ‘আমরা এমন পরিবারগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি, যারা সাধারণত বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। আমরা তাদের জন্য একটি ডিজিটাল সমাধান তৈরি করছি।’
বর্তমানে কুজিন প্ল্যাটফর্মে ৭০ জন নারী সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি অর্ডার সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০টি কোম্পানি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে খাবার সংগ্রহ করছে।
চলতি বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের দিনের অর্ডার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কুজিন। প্ল্যাটফর্মটি আশা করছে, এই বছরই তাদের রাঁধুনির সংখ্যা ২০০ জনে উন্নীত হবে এবং রাজধানী ছাড়াও উজবেকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে এই কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটানো হবে।
কুজিনের সঙ্গে কাজ করে আতামেতোভার অনেক নিয়মিত গ্রাহকও তৈরি হয়েছে। এমনকি একটি ব্যাংক গত পাঁচ মাস ধরে প্রতিদিন তাঁর কাছে খাবারের অর্ডার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একটি বড় কোম্পানি আপনাকে সমর্থন দেয়, তখন কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আমি বাড়িতে থেকেই নিজের ব্যবসা চালাতে পারছি এবং ভালো আয় করতে পারছি।’
কুজিনের মতো উদ্যোগ নারীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। এটি শুধু একটি খাবার সরবরাহ প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। এর মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।

দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন। সেখানে স্থানীয় ফুড ডেলিভারি স্টার্টআপ ‘কুজিন’-এর একটি রাঁধুনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা বলা হয়েছিল। অফিসের কর্মীদের জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করার কৌশল শেখানো হবে এই কোর্সে।
আতামেতোভা ওই কোর্সে নিবন্ধন করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি পরিবেশনের উপযোগী খাবার, খাবারের অংশ পরিমাপ এবং রান্নার মান বজায় রাখার নিয়ম শেখেন। এভাবেই বর্তমানে ২২ বছর বয়সী আতামেতোভা একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন।
প্রতিদিন তিনি ব্যাংকসহ বিভিন্ন করপোরেট অফিসের কর্মীদের কাছ থেকে তাঁর তৈরি খাবারের ডজন ডজন অর্ডার পান। কুজিনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁর কাছে অর্ডার পৌঁছায়। ডেলিভারি কর্মীরা তাঁর বাসা থেকে খাবার সংগ্রহ করে অফিসগুলোতে পৌঁছে দেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কুজিন’ শুধু খাবার সরবরাহ করে না, বরং শেফদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
আতামেতোভা বলেন, ‘আগে ব্যবসা শুরু করতে ভয় লাগত। কারণ মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন—এসব বিষয় জানা খুব কঠিন। কিন্তু কুজিন আমাকে এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবুও ২০২৩ সালে দেশটির শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার পুরুষদের ৬২.৮ শতাংশের তুলনায় নারীদের ছিল মাত্র ৩৯.৯ শতাংশ।
নারীদের বাড়ির কাজে নিয়োজিত থাকার সামাজিক প্রত্যাশাই এর একটি প্রধান কারণ বলে মনে করেন কেট গ্রোমোভা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ‘উইমেন ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ কনসালটেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের মূল কারণ হলো সামাজিক নিয়মকানুন, প্রচলিত ধ্যানধারণা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি। তবে ‘কুজিন’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য আর্থিক স্বাধীনতার সুযোগ তৈরি করছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের পরিচিত ও আরামদায়ক কাজে আয় করতে পারছেন।
কুজিনের প্রতিষ্ঠাতা মুরোদ খুসানভ বলেন, ‘আমরা এমন পরিবারগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি, যারা সাধারণত বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। আমরা তাদের জন্য একটি ডিজিটাল সমাধান তৈরি করছি।’
বর্তমানে কুজিন প্ল্যাটফর্মে ৭০ জন নারী সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি অর্ডার সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০টি কোম্পানি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে খাবার সংগ্রহ করছে।
চলতি বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের দিনের অর্ডার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কুজিন। প্ল্যাটফর্মটি আশা করছে, এই বছরই তাদের রাঁধুনির সংখ্যা ২০০ জনে উন্নীত হবে এবং রাজধানী ছাড়াও উজবেকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে এই কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটানো হবে।
কুজিনের সঙ্গে কাজ করে আতামেতোভার অনেক নিয়মিত গ্রাহকও তৈরি হয়েছে। এমনকি একটি ব্যাংক গত পাঁচ মাস ধরে প্রতিদিন তাঁর কাছে খাবারের অর্ডার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একটি বড় কোম্পানি আপনাকে সমর্থন দেয়, তখন কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আমি বাড়িতে থেকেই নিজের ব্যবসা চালাতে পারছি এবং ভালো আয় করতে পারছি।’
কুজিনের মতো উদ্যোগ নারীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। এটি শুধু একটি খাবার সরবরাহ প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। এর মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।
দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন। সেখানে স্থানীয় ফুড ডেলিভারি স্টার্টআপ ‘কুজিন’-এর একটি রাঁধুনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা বলা হয়েছিল। অফিসের কর্মীদের জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করার কৌশল শেখানো হবে এই কোর্সে।
আতামেতোভা ওই কোর্সে নিবন্ধন করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি পরিবেশনের উপযোগী খাবার, খাবারের অংশ পরিমাপ এবং রান্নার মান বজায় রাখার নিয়ম শেখেন। এভাবেই বর্তমানে ২২ বছর বয়সী আতামেতোভা একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন।
প্রতিদিন তিনি ব্যাংকসহ বিভিন্ন করপোরেট অফিসের কর্মীদের কাছ থেকে তাঁর তৈরি খাবারের ডজন ডজন অর্ডার পান। কুজিনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁর কাছে অর্ডার পৌঁছায়। ডেলিভারি কর্মীরা তাঁর বাসা থেকে খাবার সংগ্রহ করে অফিসগুলোতে পৌঁছে দেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কুজিন’ শুধু খাবার সরবরাহ করে না, বরং শেফদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
আতামেতোভা বলেন, ‘আগে ব্যবসা শুরু করতে ভয় লাগত। কারণ মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন—এসব বিষয় জানা খুব কঠিন। কিন্তু কুজিন আমাকে এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবুও ২০২৩ সালে দেশটির শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার পুরুষদের ৬২.৮ শতাংশের তুলনায় নারীদের ছিল মাত্র ৩৯.৯ শতাংশ।
নারীদের বাড়ির কাজে নিয়োজিত থাকার সামাজিক প্রত্যাশাই এর একটি প্রধান কারণ বলে মনে করেন কেট গ্রোমোভা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ‘উইমেন ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ কনসালটেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের মূল কারণ হলো সামাজিক নিয়মকানুন, প্রচলিত ধ্যানধারণা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি। তবে ‘কুজিন’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য আর্থিক স্বাধীনতার সুযোগ তৈরি করছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের পরিচিত ও আরামদায়ক কাজে আয় করতে পারছেন।
কুজিনের প্রতিষ্ঠাতা মুরোদ খুসানভ বলেন, ‘আমরা এমন পরিবারগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি, যারা সাধারণত বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। আমরা তাদের জন্য একটি ডিজিটাল সমাধান তৈরি করছি।’
বর্তমানে কুজিন প্ল্যাটফর্মে ৭০ জন নারী সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি অর্ডার সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০টি কোম্পানি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে খাবার সংগ্রহ করছে।
চলতি বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের দিনের অর্ডার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কুজিন। প্ল্যাটফর্মটি আশা করছে, এই বছরই তাদের রাঁধুনির সংখ্যা ২০০ জনে উন্নীত হবে এবং রাজধানী ছাড়াও উজবেকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে এই কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটানো হবে।
কুজিনের সঙ্গে কাজ করে আতামেতোভার অনেক নিয়মিত গ্রাহকও তৈরি হয়েছে। এমনকি একটি ব্যাংক গত পাঁচ মাস ধরে প্রতিদিন তাঁর কাছে খাবারের অর্ডার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একটি বড় কোম্পানি আপনাকে সমর্থন দেয়, তখন কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আমি বাড়িতে থেকেই নিজের ব্যবসা চালাতে পারছি এবং ভালো আয় করতে পারছি।’
কুজিনের মতো উদ্যোগ নারীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। এটি শুধু একটি খাবার সরবরাহ প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। এর মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।

দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন। সেখানে স্থানীয় ফুড ডেলিভারি স্টার্টআপ ‘কুজিন’-এর একটি রাঁধুনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কথা বলা হয়েছিল। অফিসের কর্মীদের জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করার কৌশল শেখানো হবে এই কোর্সে।
আতামেতোভা ওই কোর্সে নিবন্ধন করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি পরিবেশনের উপযোগী খাবার, খাবারের অংশ পরিমাপ এবং রান্নার মান বজায় রাখার নিয়ম শেখেন। এভাবেই বর্তমানে ২২ বছর বয়সী আতামেতোভা একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন।
প্রতিদিন তিনি ব্যাংকসহ বিভিন্ন করপোরেট অফিসের কর্মীদের কাছ থেকে তাঁর তৈরি খাবারের ডজন ডজন অর্ডার পান। কুজিনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁর কাছে অর্ডার পৌঁছায়। ডেলিভারি কর্মীরা তাঁর বাসা থেকে খাবার সংগ্রহ করে অফিসগুলোতে পৌঁছে দেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কুজিন’ শুধু খাবার সরবরাহ করে না, বরং শেফদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
আতামেতোভা বলেন, ‘আগে ব্যবসা শুরু করতে ভয় লাগত। কারণ মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন—এসব বিষয় জানা খুব কঠিন। কিন্তু কুজিন আমাকে এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবুও ২০২৩ সালে দেশটির শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার পুরুষদের ৬২.৮ শতাংশের তুলনায় নারীদের ছিল মাত্র ৩৯.৯ শতাংশ।
নারীদের বাড়ির কাজে নিয়োজিত থাকার সামাজিক প্রত্যাশাই এর একটি প্রধান কারণ বলে মনে করেন কেট গ্রোমোভা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ‘উইমেন ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ কনসালটেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের মূল কারণ হলো সামাজিক নিয়মকানুন, প্রচলিত ধ্যানধারণা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি। তবে ‘কুজিন’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য আর্থিক স্বাধীনতার সুযোগ তৈরি করছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের পরিচিত ও আরামদায়ক কাজে আয় করতে পারছেন।
কুজিনের প্রতিষ্ঠাতা মুরোদ খুসানভ বলেন, ‘আমরা এমন পরিবারগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি, যারা সাধারণত বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। আমরা তাদের জন্য একটি ডিজিটাল সমাধান তৈরি করছি।’
বর্তমানে কুজিন প্ল্যাটফর্মে ৭০ জন নারী সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি অর্ডার সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০টি কোম্পানি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে খাবার সংগ্রহ করছে।
চলতি বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের দিনের অর্ডার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কুজিন। প্ল্যাটফর্মটি আশা করছে, এই বছরই তাদের রাঁধুনির সংখ্যা ২০০ জনে উন্নীত হবে এবং রাজধানী ছাড়াও উজবেকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে এই কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটানো হবে।
কুজিনের সঙ্গে কাজ করে আতামেতোভার অনেক নিয়মিত গ্রাহকও তৈরি হয়েছে। এমনকি একটি ব্যাংক গত পাঁচ মাস ধরে প্রতিদিন তাঁর কাছে খাবারের অর্ডার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একটি বড় কোম্পানি আপনাকে সমর্থন দেয়, তখন কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আমি বাড়িতে থেকেই নিজের ব্যবসা চালাতে পারছি এবং ভালো আয় করতে পারছি।’
কুজিনের মতো উদ্যোগ নারীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। এটি শুধু একটি খাবার সরবরাহ প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। এর মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৮ মিনিট আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।
দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠটি পুনরায় চালু হলো। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রূপ আর দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। দেখলে মনে হবে যেন একটি বিশাল উদ্বাস্তু শিবির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলো শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। একসময়ের বিশাল লেকচার হলের জায়গায় এখন সারি সারি তাঁবু টাঙানো।

সেখানে আশ্রয় নেওয়া একজন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলে এখানে এসেছি। কিন্তু এটি শিক্ষার জায়গা, আশ্রয়কেন্দ্র নয়। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে গাজার ৯৫ শতাংশেরও বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ একে ‘স্কলাস্টিসাইড’ বা পদ্ধতিগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক এবং ১৫০ জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নিহত হয়েছেন।
গাজার সর্বশেষ সচল বিদ্যাপীঠ ইসরা ইউনিভার্সিটিকেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাত্র চারটি সচল শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেল আওয়াদুল্লাহ জানান, ভাঙা দেয়ালগুলো প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, তাই আমরা ধার করা জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সচল রাখার চেষ্টা করছি।’
মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইউমনা আলবাবা বলেন, ‘আমি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এটি তেমন নয়। মনোযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ বা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম—কোনোটিই এখানে নেই। তবুও আমি খুশি যে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি। আমরা শূন্য থেকে সবকিছু গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মূলত ফিলিস্তিনি সমাজের ভিত্তি উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও গাজার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠটি পুনরায় চালু হলো। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রূপ আর দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। দেখলে মনে হবে যেন একটি বিশাল উদ্বাস্তু শিবির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলো শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। একসময়ের বিশাল লেকচার হলের জায়গায় এখন সারি সারি তাঁবু টাঙানো।

সেখানে আশ্রয় নেওয়া একজন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলে এখানে এসেছি। কিন্তু এটি শিক্ষার জায়গা, আশ্রয়কেন্দ্র নয়। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে গাজার ৯৫ শতাংশেরও বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ একে ‘স্কলাস্টিসাইড’ বা পদ্ধতিগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক এবং ১৫০ জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নিহত হয়েছেন।
গাজার সর্বশেষ সচল বিদ্যাপীঠ ইসরা ইউনিভার্সিটিকেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাত্র চারটি সচল শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেল আওয়াদুল্লাহ জানান, ভাঙা দেয়ালগুলো প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, তাই আমরা ধার করা জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সচল রাখার চেষ্টা করছি।’
মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইউমনা আলবাবা বলেন, ‘আমি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এটি তেমন নয়। মনোযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ বা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম—কোনোটিই এখানে নেই। তবুও আমি খুশি যে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি। আমরা শূন্য থেকে সবকিছু গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মূলত ফিলিস্তিনি সমাজের ভিত্তি উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও গাজার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৮ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়। তবে ইমরান খানের আইনজীবীরা এই রায়কে ‘একপক্ষীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিবাদী পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনেই এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালত এই রায় দেন। সাজাটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছর কারাদণ্ড। এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, ইমরান খান বর্তমানে জমি-সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই ১৭ বছরের কারাদণ্ড কার্যকর শুরু হবে।
এ মামলাটি মূলত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া অত্যন্ত দামি কিছু উপহার (বিলাসবহুল ঘড়ি) নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে—ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহারগুলো তোশাখানায় জমা দেন। পরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রাষ্ট্রীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে কম মূল্যে সেগুলো তোশাখানা থেকে নিজের নামে কিনে নেন। প্রসিকিউশনের দাবি, এর ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কয়েক মিলিয়ন রুপির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র জুলফি বুখারি বলেছেন, এটি ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন করে করা একটি ‘ফরমায়েশি রায়’।
এ রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই।
ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সফদর জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার জন্য তাঁদের আইনি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন কারাবন্দী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর দলের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পরিবার বা আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়। তবে ইমরান খানের আইনজীবীরা এই রায়কে ‘একপক্ষীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিবাদী পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনেই এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালত এই রায় দেন। সাজাটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছর কারাদণ্ড। এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, ইমরান খান বর্তমানে জমি-সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই ১৭ বছরের কারাদণ্ড কার্যকর শুরু হবে।
এ মামলাটি মূলত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া অত্যন্ত দামি কিছু উপহার (বিলাসবহুল ঘড়ি) নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে—ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহারগুলো তোশাখানায় জমা দেন। পরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রাষ্ট্রীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে কম মূল্যে সেগুলো তোশাখানা থেকে নিজের নামে কিনে নেন। প্রসিকিউশনের দাবি, এর ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কয়েক মিলিয়ন রুপির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র জুলফি বুখারি বলেছেন, এটি ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন করে করা একটি ‘ফরমায়েশি রায়’।
এ রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই।
ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সফদর জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার জন্য তাঁদের আইনি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন কারাবন্দী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর দলের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পরিবার বা আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৮ মিনিট আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রতিদিন সকালে কিশোর ইসরায়েলি সেটলাররা পাহাড়ের ওপর থেকে একপাল ছাগল তাড়িয়ে নিচের উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গ্রাম রাস আইন আল-আউজার দিকে নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয় নেয় তাদের কুঁড়েঘর ও তাঁবুর ভেতর। কোনো ফিলিস্তিনি যদি সামান্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেখানে হাজির হয় ইসরায়েলি সেনা বা সীমান্ত পুলিশ। এরপর শুরু হয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বিনা বিচারে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আটক তো আছেই।
বলা বাহুল্য, ইসরায়েলি সেটলারদের লক্ষ্য—তাদের গবাদিপশু দিয়ে গ্রামটি দখল করে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আজ শনিবারে রাস আইন আল-আউজা গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষাকারীদের মধ্যে ছিলেন চারজন ইসরায়েলি ইহুদি, একজন হাঙ্গেরিয়ান ও একজন মার্কিন নাগরিক। তাঁরা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ির চারপাশে মানবঢাল তৈরি করে এগিয়ে আসা পশুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর ও স্বেচ্ছাসেবী আমির পানস্কি বলেন, ‘সেটলাররা এমন সব উসকানি দেয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করতে বাধ্য হয়। আর সেটাকেই অজুহাত বানিয়ে তাদের ওপর চলে দমন-পীড়ন। আমরা এখানে সুরক্ষাকবচ হিসেবে আছি। আমরা আমাদের দেহকে ইহুদি সেটলার ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্বেচ্ছাসেবকেরা যতবার কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেন, ততবারই সেটলার রাখালেরা পাল্টা কৌশলে তাঁদের পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের একেবারে কাছে চলে যায়। স্বেচ্ছাসেবকেরা তখন হাত নেড়ে ও চিৎকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার চেষ্টা করেন।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল ফোন উঁচু করে পুরো দৃশ্য ধারণ করে এবং সরাসরি মন্তব্য করতে থাকে। অন্যদিকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে লাগানো থাকে বডি ক্যামেরা, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা করার ভুয়া অভিযোগ না ওঠে।

প্রতিদিন সকালে কিশোর ইসরায়েলি সেটলাররা পাহাড়ের ওপর থেকে একপাল ছাগল তাড়িয়ে নিচের উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গ্রাম রাস আইন আল-আউজার দিকে নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয় নেয় তাদের কুঁড়েঘর ও তাঁবুর ভেতর। কোনো ফিলিস্তিনি যদি সামান্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেখানে হাজির হয় ইসরায়েলি সেনা বা সীমান্ত পুলিশ। এরপর শুরু হয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বিনা বিচারে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আটক তো আছেই।
বলা বাহুল্য, ইসরায়েলি সেটলারদের লক্ষ্য—তাদের গবাদিপশু দিয়ে গ্রামটি দখল করে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আজ শনিবারে রাস আইন আল-আউজা গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষাকারীদের মধ্যে ছিলেন চারজন ইসরায়েলি ইহুদি, একজন হাঙ্গেরিয়ান ও একজন মার্কিন নাগরিক। তাঁরা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ির চারপাশে মানবঢাল তৈরি করে এগিয়ে আসা পশুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর ও স্বেচ্ছাসেবী আমির পানস্কি বলেন, ‘সেটলাররা এমন সব উসকানি দেয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করতে বাধ্য হয়। আর সেটাকেই অজুহাত বানিয়ে তাদের ওপর চলে দমন-পীড়ন। আমরা এখানে সুরক্ষাকবচ হিসেবে আছি। আমরা আমাদের দেহকে ইহুদি সেটলার ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্বেচ্ছাসেবকেরা যতবার কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেন, ততবারই সেটলার রাখালেরা পাল্টা কৌশলে তাঁদের পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের একেবারে কাছে চলে যায়। স্বেচ্ছাসেবকেরা তখন হাত নেড়ে ও চিৎকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার চেষ্টা করেন।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল ফোন উঁচু করে পুরো দৃশ্য ধারণ করে এবং সরাসরি মন্তব্য করতে থাকে। অন্যদিকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে লাগানো থাকে বডি ক্যামেরা, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা করার ভুয়া অভিযোগ না ওঠে।
দুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৮ মিনিট আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় উপহার ভান্ডারের মূল্যবান উপহার কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে