অনলাইন ডেস্ক
সেলিমা খানের জন্ম ১৯৩১ সালে, ভারতের উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের বুলান্দশাহরে। ব্রিটিশ শাসন শেষ হওয়ার দুই বছর আগে মাত্র ১৪ বছর সেলিমার বিয়ে হয়েছিল।
আজ বুধবার ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিরক্ষর হয়েই স্বামীর ঘরে পা রেখেছিলেন সেলিমা। কারণ, তিনি যে গ্রামে বেড়ে উঠেছিলেন, সেখানে কোনো স্কুল ছিল না। কিন্তু লিখতে ও পড়তে পারার অদম্য ইচ্ছা ছিল তাঁর।
অবশেষে বৃদ্ধ বয়সেই গত ছয় মাস আগে একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন সেলিমা। ক্লাস করছেন আট দশকেরও বেশি ছোট সহপাঠীদের সঙ্গে। নাতবউ তাঁকে স্কুলে নিয়ে যান।
সেলিমা খানের পড়াশোনা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। এই ভিডিওর সূত্রে তাঁর গল্পটি এখন আরও অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সেলিমা জানান, টাকা গুনতে না জানার কারণে প্রায় সময়ই নাতিরা কৌশলে তাঁর কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে যায়। তবে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তিনি এখন টাকা গুনতে পারছেন। তাই নাতিদের বেশি টাকা নিয়ে যাওয়ার কৌশল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই দিন আর নাই।’
সেলিমার পড়াশোনার বিষয়ে স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা লক্ষ্মী পান্ডে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তাঁর (সেলিমা) গল্পটি এই কথাটিকেই প্রমাণ করেছে যে—শিক্ষার কোনো বয়স নাই।’
পান্ডে জানান, শিক্ষার প্রতি সেলিমার আগ্রহের বিষয়টি সবার আগে শনাক্ত করেন সরকারি শিক্ষা কার্যক্রমের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরাই পরে সেলিমাকে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
সেলিমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিভা শর্মা জানান, শুরুর দিকে শিক্ষকেরা সেলিমাকে পড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধার মধ্যে থাকতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পড়াশোনার প্রতি সেলিমার অদম্য ইচ্ছাই জয়ী হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে প্রতিভা শর্মা বলেন, ‘তাঁকে (সেলিমা) প্রত্যাখ্যান করার মতো হৃদয়হীন আমরা নই।’
মজার বিষয় হলো, সেলিমা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর গ্রামের আরও অন্তত ২৫ জন নারী স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে সেলিমার দুই নাতবউও আছেন।
গিনেস বুকে সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরোনো ব্যক্তিটি হলেন কেনিয়ার কিমানি নগাঙ্গা মারুগ। ২০০৪ সালে ৮৪ বছর বয়সে তিনি এমন কীর্তি গড়েছিলেন। এ হিসাবে অদূর ভবিষ্যতে সেলিমা খানই হয়তো আগের রেকর্ড ভেঙে দিতে যাচ্ছেন।
সেলিমা খানের জন্ম ১৯৩১ সালে, ভারতের উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের বুলান্দশাহরে। ব্রিটিশ শাসন শেষ হওয়ার দুই বছর আগে মাত্র ১৪ বছর সেলিমার বিয়ে হয়েছিল।
আজ বুধবার ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিরক্ষর হয়েই স্বামীর ঘরে পা রেখেছিলেন সেলিমা। কারণ, তিনি যে গ্রামে বেড়ে উঠেছিলেন, সেখানে কোনো স্কুল ছিল না। কিন্তু লিখতে ও পড়তে পারার অদম্য ইচ্ছা ছিল তাঁর।
অবশেষে বৃদ্ধ বয়সেই গত ছয় মাস আগে একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন সেলিমা। ক্লাস করছেন আট দশকেরও বেশি ছোট সহপাঠীদের সঙ্গে। নাতবউ তাঁকে স্কুলে নিয়ে যান।
সেলিমা খানের পড়াশোনা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। এই ভিডিওর সূত্রে তাঁর গল্পটি এখন আরও অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সেলিমা জানান, টাকা গুনতে না জানার কারণে প্রায় সময়ই নাতিরা কৌশলে তাঁর কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে যায়। তবে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তিনি এখন টাকা গুনতে পারছেন। তাই নাতিদের বেশি টাকা নিয়ে যাওয়ার কৌশল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই দিন আর নাই।’
সেলিমার পড়াশোনার বিষয়ে স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা লক্ষ্মী পান্ডে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তাঁর (সেলিমা) গল্পটি এই কথাটিকেই প্রমাণ করেছে যে—শিক্ষার কোনো বয়স নাই।’
পান্ডে জানান, শিক্ষার প্রতি সেলিমার আগ্রহের বিষয়টি সবার আগে শনাক্ত করেন সরকারি শিক্ষা কার্যক্রমের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরাই পরে সেলিমাকে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
সেলিমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিভা শর্মা জানান, শুরুর দিকে শিক্ষকেরা সেলিমাকে পড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধার মধ্যে থাকতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পড়াশোনার প্রতি সেলিমার অদম্য ইচ্ছাই জয়ী হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে প্রতিভা শর্মা বলেন, ‘তাঁকে (সেলিমা) প্রত্যাখ্যান করার মতো হৃদয়হীন আমরা নই।’
মজার বিষয় হলো, সেলিমা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর গ্রামের আরও অন্তত ২৫ জন নারী স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে সেলিমার দুই নাতবউও আছেন।
গিনেস বুকে সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরোনো ব্যক্তিটি হলেন কেনিয়ার কিমানি নগাঙ্গা মারুগ। ২০০৪ সালে ৮৪ বছর বয়সে তিনি এমন কীর্তি গড়েছিলেন। এ হিসাবে অদূর ভবিষ্যতে সেলিমা খানই হয়তো আগের রেকর্ড ভেঙে দিতে যাচ্ছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ, রাশিয়া ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে।
২ ঘণ্টা আগেএকজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
১২ ঘণ্টা আগে