ওজন কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লেন চীনা তরুণী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১১: ৩১

আদর্শ ওজন বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ও শরীর পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওজন কমানোর বিষয়টি মোহের পর্যায়ে চলে গেলে তা আর সাধারণ কোনো বিষয়টি থাকে না, গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়। এমনই ঘটনা ঘটেছে চীনে। চীনা এক তরুণী তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছেড়ে দিয়েছিলেন স্রেফ ওজন কমানোর আশায়। তবে তিনি ব্যর্থ হননি। 

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের শ্যাং নামের ওই নারীর ওজন ৯০ কেজিতে পৌঁছালে সেমিস্টারের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যর্থ হয়নি। 

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওই নারী ৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। শ্যাং অভিযোগ করেন, এক সেমিস্টারেই তাঁর ওজন ১০ কেজি বেড়ে যায়। তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় বসে থেকে পরীক্ষাগারে কাজ করায় কোনো ধরনের শারীরিক কর্মকাণ্ড না থাকায় তার ওজন বেড়ে যায়। 

শ্যাং বলেন, ‘মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে আমি বেশি কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাই। আমার অস্বস্তি বোধ হয়।’ এক ভিডিও তিনি বলেন, ওজন বাড়ার পর থেকেই তাঁর নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার শুরু হয়।

শ্যাং জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পরপরই তিনি জিমে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম শুরু করেন। এর মধ্যে রয়েছে সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, সিঁড়ি চড়াসহ আরও বেশি কিছু কাজ। কেবল পরিশ্রমই নয়, এই সময় শ্যাং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেন। বিশেষ করে সবজি, বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার এবং দানাদার খাবার খেতে শুরু করেন তিনি। 

শ্যাংয়ের পরিশ্রম এবং দৃঢ় মনোবলের ফলাফলও মিলেছে হাতেনাতে। কয়েক মাসের মধ্যেই ওজন ৮০ কেজি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কেজিতে। 

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্যাংয়ের শারীরিক রূপান্তরের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও দেখে অনেকেই শ্যাংয়ের দৃঢ় মনোভাব এবং ইচ্ছাশক্তির প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকে তার বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তাদের মত, বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়ে গিয়েও ওজন কমানো সম্ভব হতো।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত