
ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চলতে থাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এর নাটকীয় বিকাশ অব্যাহত থাকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার টাইমলাইন:
১৪৯৭: জন ক্যাবটকে রাজা হেনরি সপ্তম আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার একটি রুট আবিষ্কার করার জন্য অভিযানে পাঠান। ক্যাবট নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন এবং বিশ্বাস করেন যে এটিই এশিয়া।
১৫০২: সপ্তম হেনরি উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। ইংরেজ এবং পর্তুগিজদের যৌথ উদ্যোগ ছিল এটি।
১৫৪৭: ইংরেজ রাজ নিয়োজিত ইতালীয় অভিযাত্রী সেবাস্তিয়ান ক্যাবট স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সমুদ্র অনুসন্ধান সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৫৫২: ইংরেজ নৌ কর্মকর্তা টমাস উইন্ডহাম গিনি থেকে চিনি এবং গুড় আনেন।
১৫৫৪: স্যার হিউ উইলবি, একজন ইংরেজ সৈনিক এবং দক্ষ নৌযান চালক দূর প্রাচ্যে যাওয়ার জন্য উত্তর: পূর্বের একটি পথের সন্ধানে পরিচালিত জাহাজ বহরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযানের থাকতেই তিনি মারা যান। তবে বহরেরই অন্য একটি জাহাজ রাশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সফল হয়।
১৫৫৬: টিউডরা আয়ারল্যান্ড জয় করে। সেখানকার জমি দখল করে বিপুলসংখ্যক ইংরেজের পুনর্বাসন করেন। ইংরেজরা আইরিশদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভোগ দখল করে।
১৫৬২: ইংরেজ নৌ কমান্ডার জন হকিন্স পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউ ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ক্রীতদাস বাণিজ্যে যুক্ত হন। নিউ ওয়ার্ল্ড হলো পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের অধিকাংশ অংশ যা মূলত আমেরিকা নামেই পরিচিত। ফ্রান্সিস ড্রেকের পাশাপাশি হকিন্সও আমেরিকার স্প্যানিশ বন্দরগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার অনুমতি পান। এই নতুন ‘আবিষ্কারের যুগে’ তাঁরা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার হিম্মত দেখান।
১৫৭৭: ফ্রান্সিস ড্রেক বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। শেষ করে ১৫৮০ সালে।
১৫৭৮: অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য লন্ডনে লেভান্ট ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯৭: দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিভিন্ন উপনিবেশে নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস হয়।
১৬০০: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়।
১৬০৪: গায়ানায় একটি উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
১৬০৭: ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং ভার্জিনিয়া কোম্পানি জেমস টাউনে আমেরিকায় প্রথম স্থায়ী আবাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
১৬১৫: বাণিজ্য অধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধে বোম্বেতে পর্তুগিজদের পরাজয়।
১৬১৭: স্যার ওয়াল্টার রেলি ‘এল ডোরাডো’ খুঁজে পেতে সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারি নিউ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি আমেরিকার নেটিভ জনগোষ্ঠীকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়। এল ডোরাডো হলো দক্ষিণ আমেরিকার এক কল্পিত স্বর্ণনগরী।
১৬২০: কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে নিয়ে প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত মেফ্লাওয়ার জাহাজ। প্রায় একশ যাত্রী আরোহী ছিল জাহাজে। প্রধানত পিউরিটানরা আটলান্টিকজুড়ে নিপীড়ন থেকে মুক্ত একটি নতুন জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এই পিউরিটানরা মূলত ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী। তাঁরা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৬২০ সালে আমেরিকা গিয়ে আশ্রয় নেন।
১৬২৪: সেন্ট কিটসে সফলভাবে বসতি স্থাপন করে ইংরেজ দখলদারেরা।
১৬২৭: বার্বাডোসে বসতি স্থাপন করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ।
১৬২৮: নেভিসে বসতি স্থাপন।
১৬৩৩: বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৩৯: ইংরেজরা মাদ্রাজে বসতি স্থাপন করে।
১৬৫৫: জ্যামাইকা দ্বীপটি স্প্যানিশদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৬৬০: রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির প্রতিষ্ঠা। ডাচদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির হাত থেকে বাণিজ্য পথ এবং পণ্যের নিরাপত্তায় নেভিগেশন আইন পাস করা হয়।
১৬৬১: রাজা দ্বিতীয় চার্লস ক্যাথরিন ডি ব্রাগানজাকে বিয়ে করেন। পর্তুগিজদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পান ট্যাঙ্গিয়ার এবং বোম্বে।
১৬৬৪: ইংরেজরা ডাচ উপনিবেশ নিউ নেদারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে নতুন বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নাম পরিবর্তন করে রাখে নিউইয়র্ক।
১৬৬৬: বাহামাতে উপনিবেশ স্থাপন করে ব্রিটেন।
১৬৬৮: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে দখল করে।
১৬৯০: জব চার্নক আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে কলকাতা প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য এই তথ্য বিতর্কিত।
১৭০৮: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ডে একীভূত হয়। এই কোম্পানি পূর্ব ইন্ডিজে বাণিজ্য করত।
১৭১৩: উট্রেকটের চুক্তি স্পেনে উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতের সফল সমাপ্তি ঘটায়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটেন আমেরিকা এবং ভূমধ্যসাগরে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায়। এর মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ড, সেন্ট কিটস, হাডসন উপসাগরের পাশাপাশি জিব্রাল্টার এবং মিনোর্কাও রয়েছে। চুক্তিতে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোতে দাস আমদানির অধিকারও পায় ব্রিটেন।
১৭১৯: ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডকে ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে।
১৭২৭: স্পেন এবং ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্প্যানিশরা জিব্রাল্টার অবরোধ করে। একই বছর কোয়েকারেরা (প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান) উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বিলুপ্তির দাবি তোলেন।
১৭৩১: ইংল্যান্ডের কারখানার শ্রমিকদের আমেরিকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া হয়।
১৭৪৬: মাদ্রাজ ফরাসিদের দখলে চলে যায়।
১৭৫০: ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকার সীমানা নিয়ে আলোচনায় শুরু করে।
১৭৫৬: মিনোর্কা আবার স্প্যানিশদের দখল চলে যায়।
১৭৬৩: কিছু অঞ্চল, বসতি এবং বাণিজ্য বন্দরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সাম্রাজ্যের ভূমি পুনর্বণ্টন করা হয়। কানাডার নিম্নাঞ্চল, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, ভারত এবং সেনেগাল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পায় ব্রিটেন। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটিশরা কিউবা ও ম্যানিলা স্প্যানিশদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
১৭৬৫: আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এবং কোয়ার্টারিং অ্যাক্ট ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
১৭৬৯: বাংলার মহা দুর্ভিক্ষে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে তাহিতিতে পৌঁছান।
১৭৭০: ক্যাপ্টেন জেমস কুক ব্রিটেনের পক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
১৭৭৩: ব্রিটেনের কর আরোপের ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকায় বোস্টন টি পার্টি বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। দ্রুতই বিরোধীরা সহিংস বিদ্রোহ শুরু করে।
১৭৭৫: আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
১৭৮৩: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংঘাতের সমাপ্তি ঘরে ফরাসিদের মধ্যস্থতায় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটেন ১৩টি উপনিবেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরিডা স্প্যানিশদের কাছে আর সেনেগাল ফ্রান্সের হাতে ফিরে যায়। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডায় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
১৭৮৭: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম উইলবারফোর্স ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে দাসত্বের অবসানের জন্য তাঁর প্রচার: প্রচারণা শুরু করেন। এর ফলে সিয়েরা লিওনে একটি মুক্ত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। উইলিয়াম উইলবারফোর্স ছিলেন ক্ল্যাফাম সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ক্ল্যাফাম সেক্ট বা ক্ল্যাফাম সেইন্টসরা ১৭৮০ থেকে ১৮৪০: এর দশকে ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী সমাজসংস্কারকদের একটি দল। এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য কিন্তু সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং বেশ অবস্থাপন্ন ছিল।
১৭৮৮: ইংল্যান্ড থেকে দাগি আসামিদের বহনকারী প্রথম জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে: তে পৌঁছে। বিশ্বজুড়ে মূলত ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে নির্বাসনের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৮০১: আইরিশ অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডকে একীভূত করে।
১৮০৫: ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল নেলসনের বিজয় রাজকীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
১৮০৬: আটলান্টিকের উপকূলে দক্ষিণ আফ্রিকা সংলগ্ন কেপ অব গুড হোপ ব্রিটিশদের দখলে যায়।
১৮০৭: ব্রিটিশ জাহাজে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাসের চালান নিষিদ্ধ হয়।
১৮১৩: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮১৬: ভিয়েনার কংগ্রেস ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার আরেকটি চেষ্টা করে। ব্রিটেন ডাচ এবং ফরাসি উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।
১৮১৯: স্যার স্ট্যামফোর্ড রাফেলস সিঙ্গাপুর প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮২১: সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া এবং গোল্ড কোস্ট মিলে গঠিত হয় ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকা।
১৮৩৩: সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৯: চীন এবং ব্রিটেনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ। আফিমের ব্যবসার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আসক্তি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কারও কাছে আফিম পাওয়া গেলেই ধ্বংস করার নির্দেশ জারি করা হয়। ব্রিটিশরা এটিকে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর আঘাত এবং ব্রিটিশ সম্পত্তি ধ্বংস হিসেবে দেখে। এরপরই শুরু হয় আফিমের যুদ্ধ।
১৮৪১: ব্রিটেন হংকং দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৮৪২: নানকিংয়ের চুক্তি আফিম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয় চীন।
১৮৪৩: নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী মাওরি বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৮৫৩: ভারতে রেলপথ নির্মাণ শুরু করে ব্রিটেন।
১৮৫৮: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৭০: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়।
১৮৭৬: রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধি পান।
১৮৭৮: সাইপ্রাস দখল করে ব্রিটেন।
১৮০০: ব্রিটিশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রথম বোয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৮৯: ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি রাজকীয় সমর্থন ও অনুমোদন পায়। রোডেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৪: উগান্ডাকে ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
১৮৯৫: ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কুখ্যাত ‘জেমসন রেইড’ বা অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯: দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধের শুরু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্র ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত দুটি বোয়ার রাজ্যের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। উইটওয়াটারসরান্ড সোনার খনি থেকে অর্জিত লাভ এবং আগের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার শতাব্দী পুরোনো ক্ষোভ দুই শক্তিকে দ্বন্দ্বে ঠেলে দেয়।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ঘর’: এর জায়োনিস্ট দাবির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ব্রিটেন।
১৯৩১: ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি ডোমিনিয়নগুলোকে (ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন স্বশাসিত রাষ্ট্র) সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দেয়।
১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন।
১৯৪৮: ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার।
১৯৫২: কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে করে মাউ মাউ বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৬: সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। পরের বছর ঘানা তাদের অনুসরণ করে। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডজুড়ে একের পর এক ব্রিটিশ উপনিবেশ পরের দশকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৬৬ সালে। একটি ব্যতিক্রম ছিল নামিবিয়া, তারা ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। কিছু দেশ নির্দিষ্ট তারিখে ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে এবং অন্যরা ডমিনিয়ন হিসেবে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাঙন বিংশ শতাব্দীর ভূগোলের চেহারা বদলে দেয় এবং বিশ্ব সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
১৯৭২: এশিয়ানদের উগান্ডা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮২: ফকল্যান্ডস যুদ্ধ। ফকল্যান্ডস যুদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দশ সপ্তাহের অঘোষিত যুদ্ধ। দক্ষিণ আটলান্টিকের দুটি ব্রিটিশ উপনিবেশ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ যুদ্ধ বাঁধে।
১৯৯৭: হংকং চীনা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছে
ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ জাতিসমূহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শত শত বছর ধরে প্রাণ: প্রকৃতি, মানুষ, ভ্রমণ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল। ভালো হোক বা খারাপ হোক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাব ইতিহাসের বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চলতে থাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এর নাটকীয় বিকাশ অব্যাহত থাকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার টাইমলাইন:
১৪৯৭: জন ক্যাবটকে রাজা হেনরি সপ্তম আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার একটি রুট আবিষ্কার করার জন্য অভিযানে পাঠান। ক্যাবট নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন এবং বিশ্বাস করেন যে এটিই এশিয়া।
১৫০২: সপ্তম হেনরি উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। ইংরেজ এবং পর্তুগিজদের যৌথ উদ্যোগ ছিল এটি।
১৫৪৭: ইংরেজ রাজ নিয়োজিত ইতালীয় অভিযাত্রী সেবাস্তিয়ান ক্যাবট স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সমুদ্র অনুসন্ধান সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৫৫২: ইংরেজ নৌ কর্মকর্তা টমাস উইন্ডহাম গিনি থেকে চিনি এবং গুড় আনেন।
১৫৫৪: স্যার হিউ উইলবি, একজন ইংরেজ সৈনিক এবং দক্ষ নৌযান চালক দূর প্রাচ্যে যাওয়ার জন্য উত্তর: পূর্বের একটি পথের সন্ধানে পরিচালিত জাহাজ বহরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযানের থাকতেই তিনি মারা যান। তবে বহরেরই অন্য একটি জাহাজ রাশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সফল হয়।
১৫৫৬: টিউডরা আয়ারল্যান্ড জয় করে। সেখানকার জমি দখল করে বিপুলসংখ্যক ইংরেজের পুনর্বাসন করেন। ইংরেজরা আইরিশদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভোগ দখল করে।
১৫৬২: ইংরেজ নৌ কমান্ডার জন হকিন্স পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউ ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ক্রীতদাস বাণিজ্যে যুক্ত হন। নিউ ওয়ার্ল্ড হলো পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের অধিকাংশ অংশ যা মূলত আমেরিকা নামেই পরিচিত। ফ্রান্সিস ড্রেকের পাশাপাশি হকিন্সও আমেরিকার স্প্যানিশ বন্দরগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার অনুমতি পান। এই নতুন ‘আবিষ্কারের যুগে’ তাঁরা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার হিম্মত দেখান।
১৫৭৭: ফ্রান্সিস ড্রেক বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। শেষ করে ১৫৮০ সালে।
১৫৭৮: অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য লন্ডনে লেভান্ট ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯৭: দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিভিন্ন উপনিবেশে নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস হয়।
১৬০০: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়।
১৬০৪: গায়ানায় একটি উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
১৬০৭: ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং ভার্জিনিয়া কোম্পানি জেমস টাউনে আমেরিকায় প্রথম স্থায়ী আবাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
১৬১৫: বাণিজ্য অধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধে বোম্বেতে পর্তুগিজদের পরাজয়।
১৬১৭: স্যার ওয়াল্টার রেলি ‘এল ডোরাডো’ খুঁজে পেতে সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারি নিউ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি আমেরিকার নেটিভ জনগোষ্ঠীকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়। এল ডোরাডো হলো দক্ষিণ আমেরিকার এক কল্পিত স্বর্ণনগরী।
১৬২০: কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে নিয়ে প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত মেফ্লাওয়ার জাহাজ। প্রায় একশ যাত্রী আরোহী ছিল জাহাজে। প্রধানত পিউরিটানরা আটলান্টিকজুড়ে নিপীড়ন থেকে মুক্ত একটি নতুন জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এই পিউরিটানরা মূলত ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী। তাঁরা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৬২০ সালে আমেরিকা গিয়ে আশ্রয় নেন।
১৬২৪: সেন্ট কিটসে সফলভাবে বসতি স্থাপন করে ইংরেজ দখলদারেরা।
১৬২৭: বার্বাডোসে বসতি স্থাপন করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ।
১৬২৮: নেভিসে বসতি স্থাপন।
১৬৩৩: বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৩৯: ইংরেজরা মাদ্রাজে বসতি স্থাপন করে।
১৬৫৫: জ্যামাইকা দ্বীপটি স্প্যানিশদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৬৬০: রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির প্রতিষ্ঠা। ডাচদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির হাত থেকে বাণিজ্য পথ এবং পণ্যের নিরাপত্তায় নেভিগেশন আইন পাস করা হয়।
১৬৬১: রাজা দ্বিতীয় চার্লস ক্যাথরিন ডি ব্রাগানজাকে বিয়ে করেন। পর্তুগিজদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পান ট্যাঙ্গিয়ার এবং বোম্বে।
১৬৬৪: ইংরেজরা ডাচ উপনিবেশ নিউ নেদারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে নতুন বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নাম পরিবর্তন করে রাখে নিউইয়র্ক।
১৬৬৬: বাহামাতে উপনিবেশ স্থাপন করে ব্রিটেন।
১৬৬৮: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে দখল করে।
১৬৯০: জব চার্নক আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে কলকাতা প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য এই তথ্য বিতর্কিত।
১৭০৮: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ডে একীভূত হয়। এই কোম্পানি পূর্ব ইন্ডিজে বাণিজ্য করত।
১৭১৩: উট্রেকটের চুক্তি স্পেনে উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতের সফল সমাপ্তি ঘটায়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটেন আমেরিকা এবং ভূমধ্যসাগরে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায়। এর মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ড, সেন্ট কিটস, হাডসন উপসাগরের পাশাপাশি জিব্রাল্টার এবং মিনোর্কাও রয়েছে। চুক্তিতে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোতে দাস আমদানির অধিকারও পায় ব্রিটেন।
১৭১৯: ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডকে ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে।
১৭২৭: স্পেন এবং ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্প্যানিশরা জিব্রাল্টার অবরোধ করে। একই বছর কোয়েকারেরা (প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান) উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বিলুপ্তির দাবি তোলেন।
১৭৩১: ইংল্যান্ডের কারখানার শ্রমিকদের আমেরিকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া হয়।
১৭৪৬: মাদ্রাজ ফরাসিদের দখলে চলে যায়।
১৭৫০: ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকার সীমানা নিয়ে আলোচনায় শুরু করে।
১৭৫৬: মিনোর্কা আবার স্প্যানিশদের দখল চলে যায়।
১৭৬৩: কিছু অঞ্চল, বসতি এবং বাণিজ্য বন্দরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সাম্রাজ্যের ভূমি পুনর্বণ্টন করা হয়। কানাডার নিম্নাঞ্চল, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, ভারত এবং সেনেগাল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পায় ব্রিটেন। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটিশরা কিউবা ও ম্যানিলা স্প্যানিশদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
১৭৬৫: আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এবং কোয়ার্টারিং অ্যাক্ট ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
১৭৬৯: বাংলার মহা দুর্ভিক্ষে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে তাহিতিতে পৌঁছান।
১৭৭০: ক্যাপ্টেন জেমস কুক ব্রিটেনের পক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
১৭৭৩: ব্রিটেনের কর আরোপের ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকায় বোস্টন টি পার্টি বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। দ্রুতই বিরোধীরা সহিংস বিদ্রোহ শুরু করে।
১৭৭৫: আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
১৭৮৩: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংঘাতের সমাপ্তি ঘরে ফরাসিদের মধ্যস্থতায় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটেন ১৩টি উপনিবেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরিডা স্প্যানিশদের কাছে আর সেনেগাল ফ্রান্সের হাতে ফিরে যায়। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডায় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
১৭৮৭: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম উইলবারফোর্স ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে দাসত্বের অবসানের জন্য তাঁর প্রচার: প্রচারণা শুরু করেন। এর ফলে সিয়েরা লিওনে একটি মুক্ত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। উইলিয়াম উইলবারফোর্স ছিলেন ক্ল্যাফাম সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ক্ল্যাফাম সেক্ট বা ক্ল্যাফাম সেইন্টসরা ১৭৮০ থেকে ১৮৪০: এর দশকে ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী সমাজসংস্কারকদের একটি দল। এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য কিন্তু সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং বেশ অবস্থাপন্ন ছিল।
১৭৮৮: ইংল্যান্ড থেকে দাগি আসামিদের বহনকারী প্রথম জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে: তে পৌঁছে। বিশ্বজুড়ে মূলত ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে নির্বাসনের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৮০১: আইরিশ অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডকে একীভূত করে।
১৮০৫: ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল নেলসনের বিজয় রাজকীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
১৮০৬: আটলান্টিকের উপকূলে দক্ষিণ আফ্রিকা সংলগ্ন কেপ অব গুড হোপ ব্রিটিশদের দখলে যায়।
১৮০৭: ব্রিটিশ জাহাজে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাসের চালান নিষিদ্ধ হয়।
১৮১৩: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮১৬: ভিয়েনার কংগ্রেস ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার আরেকটি চেষ্টা করে। ব্রিটেন ডাচ এবং ফরাসি উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।
১৮১৯: স্যার স্ট্যামফোর্ড রাফেলস সিঙ্গাপুর প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮২১: সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া এবং গোল্ড কোস্ট মিলে গঠিত হয় ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকা।
১৮৩৩: সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৯: চীন এবং ব্রিটেনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ। আফিমের ব্যবসার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আসক্তি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কারও কাছে আফিম পাওয়া গেলেই ধ্বংস করার নির্দেশ জারি করা হয়। ব্রিটিশরা এটিকে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর আঘাত এবং ব্রিটিশ সম্পত্তি ধ্বংস হিসেবে দেখে। এরপরই শুরু হয় আফিমের যুদ্ধ।
১৮৪১: ব্রিটেন হংকং দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৮৪২: নানকিংয়ের চুক্তি আফিম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয় চীন।
১৮৪৩: নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী মাওরি বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৮৫৩: ভারতে রেলপথ নির্মাণ শুরু করে ব্রিটেন।
১৮৫৮: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৭০: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়।
১৮৭৬: রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধি পান।
১৮৭৮: সাইপ্রাস দখল করে ব্রিটেন।
১৮০০: ব্রিটিশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রথম বোয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৮৯: ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি রাজকীয় সমর্থন ও অনুমোদন পায়। রোডেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৪: উগান্ডাকে ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
১৮৯৫: ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কুখ্যাত ‘জেমসন রেইড’ বা অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯: দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধের শুরু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্র ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত দুটি বোয়ার রাজ্যের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। উইটওয়াটারসরান্ড সোনার খনি থেকে অর্জিত লাভ এবং আগের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার শতাব্দী পুরোনো ক্ষোভ দুই শক্তিকে দ্বন্দ্বে ঠেলে দেয়।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ঘর’: এর জায়োনিস্ট দাবির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ব্রিটেন।
১৯৩১: ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি ডোমিনিয়নগুলোকে (ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন স্বশাসিত রাষ্ট্র) সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দেয়।
১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন।
১৯৪৮: ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার।
১৯৫২: কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে করে মাউ মাউ বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৬: সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। পরের বছর ঘানা তাদের অনুসরণ করে। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডজুড়ে একের পর এক ব্রিটিশ উপনিবেশ পরের দশকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৬৬ সালে। একটি ব্যতিক্রম ছিল নামিবিয়া, তারা ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। কিছু দেশ নির্দিষ্ট তারিখে ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে এবং অন্যরা ডমিনিয়ন হিসেবে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাঙন বিংশ শতাব্দীর ভূগোলের চেহারা বদলে দেয় এবং বিশ্ব সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
১৯৭২: এশিয়ানদের উগান্ডা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮২: ফকল্যান্ডস যুদ্ধ। ফকল্যান্ডস যুদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দশ সপ্তাহের অঘোষিত যুদ্ধ। দক্ষিণ আটলান্টিকের দুটি ব্রিটিশ উপনিবেশ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ যুদ্ধ বাঁধে।
১৯৯৭: হংকং চীনা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছে
ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ জাতিসমূহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শত শত বছর ধরে প্রাণ: প্রকৃতি, মানুষ, ভ্রমণ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল। ভালো হোক বা খারাপ হোক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাব ইতিহাসের বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে