অনলাইন ডেস্ক
নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের সমর্থন হারিয়ে বিদায় নিতে হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। বৃহস্পতিবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন বরিস। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো এবং এর নেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বরিস জনসনের ক্ষমতা হারানোর পেছনে পাঁচটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ক্রিস পিনচার কেলেঙ্কারি
গত ২৯ জুন লন্ডনে একটি ক্লাবে ব্রিটিশ এমপি ও কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনচারের বিরুদ্ধে দুজন পুরুষকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল। এর জের ধরে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক বছরের পুরোনো যৌন অসদাচরণের অভিযোগও বেরিয়ে আসে। এতে নতুন করে চাপে পড়েন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগে থেকেই আরও অনেক কেলেঙ্কারি সামাল দিচ্ছিলেন তিনি। পিনচারের বিষয়গুলো জানার পরও বরিস তাঁকে কনজারভেটিভ ডেপুটি চিফ হুইপ করেছিলেন, সে জন্য নিজের দলের এমপিরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রকাশ্যে। ৪ জুলাই বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসন পিনচারের বিরুদ্ধে ওঠা অন্তত একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে জানতেন। পরদিনই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা লর্ড ম্যাকডোনাল্ড জানান, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর জনসন স্বীকার করেন, ২০১৯ সালে পিনচারের বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়েছিল। পিনচারকে ডেপুটি চিফ হুইপের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষমা চান তিনি।
পার্টি কেলেঙ্কারি
এ বছরের এপ্রিলেই প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা গুনতে হয়েছে ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যজুড়ে কড়া লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকা অবস্থায় জন্মদিনে পার্টির আয়োজন করে নিয়ম ভাঙার কারণে। বরিস জনসনই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আইন ভঙ্গের জন্য জরিমানা দিতে হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারি ঠেকাতে প্রথমবার আরোপিত লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে পার্টি করে কেলেঙ্কারির জন্ম দেন। পরের বছর গণমাধ্যমে ওই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষমাও চান প্রধানমন্ত্রী জনসন।
মূল্যস্ফীতি ও করের বোঝা
বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অনেক দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও চলতি বছর মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে বেড়েছে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার অনেকগুলো কারণই ছিল জনসনের সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করায় জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ব্রিটিশ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানোসহ কিছু পদক্ষেপ নিলেও এপ্রিলে করের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন করের হারে ব্রিটেনে ৩৪ হাজার পাউন্ডের বেশি আয়ের জন্য আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হচ্ছে।
ওয়েন প্যাটারসন বিতর্ক
২০২১ সালের অক্টোবরে হাউস অব কমনস কমিটি তৎকালীন কনজারভেটিভ এমপি ওয়েন প্যাটারসনকে ৩০ দিনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করে। কমিটি জানায়, ওয়েন প্যাটারসন লবিং করতে গিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে কিছু কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কনজারভেটিভরা প্যাটারসনের বিরুদ্ধে এই বহিষ্কারাদেশ স্থগিত রাখার পক্ষে ভোট দেয় এবং তদন্ত কীভাবে পরিচালিত হয়েছে তা অনুসন্ধানে আরেকটি নতুন কমিটি গঠন করে। শেষে প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ওয়েন প্যাটারসন।
উদাসীনতা ও পরিকল্পনা ঘাটতি
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকর করার নীতির ওপর ভর করে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বরিস জনসন। তবে এর পর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটে উদাসীনতা ও যথাযথ পরিকল্পনার ঘাটতি দেখা দেয় বলে জনসনের সমালোচকদের দাবি। বরিস জনসনের সাবেক উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস (বর্তমানে জনসনের প্রধান সমালোচক) বারবার অভিযোগ করে আসছেন যে প্রধানমন্ত্রী একটি নিয়ন্ত্রণহীন শপিং ট্রলিতে পরিণত হয়েছেন। অন্যান্য সমালোচকেরাও প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে আদৌ তাঁর কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা আছে কিনা। গত জুনে কনজারভেটিভ এমপি ও সাবেক মন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘সততা, দক্ষতা ও লক্ষ্যের’ অভাবে ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের সমর্থন হারিয়ে বিদায় নিতে হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। বৃহস্পতিবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন বরিস। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো এবং এর নেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বরিস জনসনের ক্ষমতা হারানোর পেছনে পাঁচটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ক্রিস পিনচার কেলেঙ্কারি
গত ২৯ জুন লন্ডনে একটি ক্লাবে ব্রিটিশ এমপি ও কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনচারের বিরুদ্ধে দুজন পুরুষকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল। এর জের ধরে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক বছরের পুরোনো যৌন অসদাচরণের অভিযোগও বেরিয়ে আসে। এতে নতুন করে চাপে পড়েন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগে থেকেই আরও অনেক কেলেঙ্কারি সামাল দিচ্ছিলেন তিনি। পিনচারের বিষয়গুলো জানার পরও বরিস তাঁকে কনজারভেটিভ ডেপুটি চিফ হুইপ করেছিলেন, সে জন্য নিজের দলের এমপিরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রকাশ্যে। ৪ জুলাই বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসন পিনচারের বিরুদ্ধে ওঠা অন্তত একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে জানতেন। পরদিনই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা লর্ড ম্যাকডোনাল্ড জানান, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর জনসন স্বীকার করেন, ২০১৯ সালে পিনচারের বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়েছিল। পিনচারকে ডেপুটি চিফ হুইপের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষমা চান তিনি।
পার্টি কেলেঙ্কারি
এ বছরের এপ্রিলেই প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা গুনতে হয়েছে ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যজুড়ে কড়া লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকা অবস্থায় জন্মদিনে পার্টির আয়োজন করে নিয়ম ভাঙার কারণে। বরিস জনসনই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আইন ভঙ্গের জন্য জরিমানা দিতে হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারি ঠেকাতে প্রথমবার আরোপিত লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে পার্টি করে কেলেঙ্কারির জন্ম দেন। পরের বছর গণমাধ্যমে ওই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষমাও চান প্রধানমন্ত্রী জনসন।
মূল্যস্ফীতি ও করের বোঝা
বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অনেক দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও চলতি বছর মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে বেড়েছে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার অনেকগুলো কারণই ছিল জনসনের সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করায় জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ব্রিটিশ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানোসহ কিছু পদক্ষেপ নিলেও এপ্রিলে করের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন করের হারে ব্রিটেনে ৩৪ হাজার পাউন্ডের বেশি আয়ের জন্য আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হচ্ছে।
ওয়েন প্যাটারসন বিতর্ক
২০২১ সালের অক্টোবরে হাউস অব কমনস কমিটি তৎকালীন কনজারভেটিভ এমপি ওয়েন প্যাটারসনকে ৩০ দিনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করে। কমিটি জানায়, ওয়েন প্যাটারসন লবিং করতে গিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে কিছু কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কনজারভেটিভরা প্যাটারসনের বিরুদ্ধে এই বহিষ্কারাদেশ স্থগিত রাখার পক্ষে ভোট দেয় এবং তদন্ত কীভাবে পরিচালিত হয়েছে তা অনুসন্ধানে আরেকটি নতুন কমিটি গঠন করে। শেষে প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ওয়েন প্যাটারসন।
উদাসীনতা ও পরিকল্পনা ঘাটতি
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকর করার নীতির ওপর ভর করে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বরিস জনসন। তবে এর পর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটে উদাসীনতা ও যথাযথ পরিকল্পনার ঘাটতি দেখা দেয় বলে জনসনের সমালোচকদের দাবি। বরিস জনসনের সাবেক উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস (বর্তমানে জনসনের প্রধান সমালোচক) বারবার অভিযোগ করে আসছেন যে প্রধানমন্ত্রী একটি নিয়ন্ত্রণহীন শপিং ট্রলিতে পরিণত হয়েছেন। অন্যান্য সমালোচকেরাও প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে আদৌ তাঁর কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা আছে কিনা। গত জুনে কনজারভেটিভ এমপি ও সাবেক মন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘সততা, দক্ষতা ও লক্ষ্যের’ অভাবে ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, আগামী ৫ নভেম্বরের আগেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত আমোস হচস্টেইন টেলিফোনে আলাপকালে তাঁকে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মিকাতি
১৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে জরাজীর্ণ কাঁটাতারের বেড়ার ফায়দা তুলতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল। এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও লোকসভা সদস্য বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর মতে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার ‘অস্থির’ পরিস্থিতির কারণে এই বিষয়টি থেকে ফায়দা লুটতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল
১ ঘণ্টা আগেকুয়েতে ঘরের ভেতরে চোখ ও হাত বেঁধে এক পুরুষকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশি এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন কমলা হ্যারিস। গত মঙ্গলবার রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ কমলা হ্যারিস এবং ৪৩ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। বাকি ১৩ শতাংশ লিবার্টেরিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টিসহ অন্যদের
১ ঘণ্টা আগে