অনলাইন ডেস্ক
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর নতুন রাজা হয়েছেন তাঁর বড় ছেলে চার্লস। তিনি ‘রাজা তৃতীয় চার্লস’ উপাধি নিয়ে সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডসহ ১৪টি দেশের শীর্ষ নেতা। চার্লসের বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাকিংহাম প্যালেস থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেকের পর সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহল জেগেছে, কে ছিলেন প্রথম চার্লস ও দ্বিতীয় চার্লস?
রাজা প্রথম চার্লস
প্রথম চার্লস ছিলেন ব্রিটেনের একমাত্র রাজা, যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি ১৬২৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। হাউস অব স্টুয়ার্ট থেকে উঠে আসা চার্লস ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড শাসন করতে শুরু করেন। তিনি রোমান ক্যাথলিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন। একই সঙ্গে রাজাদের স্বর্গীয় অধিকারে বিশ্বাস ছিল তাঁর। রাজা প্রথম চার্লসের অনেক শত্রু তৈরি হয়েছিল। প্রজারা তাঁকে অত্যাচারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।
ব্রিটেনের সংসদ রাজার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। এর ফলে রাজতন্ত্রের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি হয়। এরই জেরে ১৬৪২ সালে শুরু হয়েছিল গৃহযুদ্ধ। চার্লস ১৬৪৫ সালে পরাজিত হন। এরপর বিচারের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।
লন্ডনের ব্যাংকুয়েটিং হাউসের বাইরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার আগে চার্লস তাঁর বিখ্যাত দুটি শার্ট চেয়েছিলেন, যাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাঁকে কাঁপতে না হয়। ফাঁসি কার্যকর করার আগে তিনি প্রার্থনা করেছিলেন। তারপর নিজেই মুখোশধারী জল্লাদকে ইঙ্গিত করেছিলেন। তাঁর ফাঁসি যিনি কার্যকর করেছিলেন, তার পরিচয় আজও জানা যায়নি।
প্রথম চার্লসের মৃত্যুর মাধ্যমে আপাতত অর্থে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটে এবং ইংল্যান্ড একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
রাজা দ্বিতীয় চার্লস
প্রথম চার্লসের ছেলে দ্বিতীয় চার্লস পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের রাজা হন। তিনি গৃহযুদ্ধের সময় বাবার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরাজয় অনিবার্য জেনে ১৬৪৯ সালে জার্মানির হেগে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর পিতার মৃত্যুদণ্ডের পর ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি সত্ত্বেও চার্লসকে ১৬৫১ সালের ১ জানুয়ারি ‘রাজা দ্বিতীয় চার্লস’ হিসেবে স্কটল্যান্ডের রাজার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর দক্ষিণ দিক থেকে ক্রমওয়েলের ইংরেজ বাহিনী আক্রমণ করতে পারে এমনটা ভেবে চার্লস ও তাঁর সমর্থকেরা ইংল্যান্ডে আক্রমণ শুরু করেন। ফলে শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধ শেষ হয়েছিল ইংল্যান্ডে ওরচেস্টারের যুদ্ধের মাধ্যমে। কথিত রয়েছে, এ সময় চার্লস একটি ওক গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছিলেন। পরে তিনি ফ্রান্সে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এদিকে ক্রমওয়েল মারা যান ১৬৫৮ সালে। তারপর ইংল্যান্ডে শুরু হয় সামরিক ও বেসামরিকদের মধ্যে অস্থিরতা, সংঘর্ষ ও সংঘাত। এর জের ধরে ১৬৬০ সালে চার্লসকে রাজা হিসেবে ইংল্যান্ডে ফিরে আসতে বলা হয়।
এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রভাবশালী রাজায় পরিণত হন। তাঁর সম্পর্কে ইতিহাসবিদ আন্তোনিয়া ফ্রেজার লিখেছেন, তিনি ছিলেন রসিক, দয়ালু, কৃতজ্ঞ, উদার, সহনশীল ও প্রেমময় হৃদয়ের অধিকারী।
রাজা দ্বিতীয় চার্লসের শাসনামলে ভারত, ইস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ ও বাণিজ্যের উত্থান ঘটেছিল। তিনি দুটি গভীর সংকট মোকাবিলা করেছিলেন—১৬৬৫ সালের প্লেগ মহামারি এবং ১৬৬৬ সালের লন্ডন গ্রেট ফায়ার।
১৬৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা দ্বিতীয় চার্লস। এর চার দিন পর মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর নতুন রাজা হয়েছেন তাঁর বড় ছেলে চার্লস। তিনি ‘রাজা তৃতীয় চার্লস’ উপাধি নিয়ে সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডসহ ১৪টি দেশের শীর্ষ নেতা। চার্লসের বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাকিংহাম প্যালেস থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেকের পর সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহল জেগেছে, কে ছিলেন প্রথম চার্লস ও দ্বিতীয় চার্লস?
রাজা প্রথম চার্লস
প্রথম চার্লস ছিলেন ব্রিটেনের একমাত্র রাজা, যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি ১৬২৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। হাউস অব স্টুয়ার্ট থেকে উঠে আসা চার্লস ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড শাসন করতে শুরু করেন। তিনি রোমান ক্যাথলিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন। একই সঙ্গে রাজাদের স্বর্গীয় অধিকারে বিশ্বাস ছিল তাঁর। রাজা প্রথম চার্লসের অনেক শত্রু তৈরি হয়েছিল। প্রজারা তাঁকে অত্যাচারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।
ব্রিটেনের সংসদ রাজার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। এর ফলে রাজতন্ত্রের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি হয়। এরই জেরে ১৬৪২ সালে শুরু হয়েছিল গৃহযুদ্ধ। চার্লস ১৬৪৫ সালে পরাজিত হন। এরপর বিচারের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।
লন্ডনের ব্যাংকুয়েটিং হাউসের বাইরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার আগে চার্লস তাঁর বিখ্যাত দুটি শার্ট চেয়েছিলেন, যাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাঁকে কাঁপতে না হয়। ফাঁসি কার্যকর করার আগে তিনি প্রার্থনা করেছিলেন। তারপর নিজেই মুখোশধারী জল্লাদকে ইঙ্গিত করেছিলেন। তাঁর ফাঁসি যিনি কার্যকর করেছিলেন, তার পরিচয় আজও জানা যায়নি।
প্রথম চার্লসের মৃত্যুর মাধ্যমে আপাতত অর্থে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটে এবং ইংল্যান্ড একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
রাজা দ্বিতীয় চার্লস
প্রথম চার্লসের ছেলে দ্বিতীয় চার্লস পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের রাজা হন। তিনি গৃহযুদ্ধের সময় বাবার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরাজয় অনিবার্য জেনে ১৬৪৯ সালে জার্মানির হেগে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর পিতার মৃত্যুদণ্ডের পর ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি সত্ত্বেও চার্লসকে ১৬৫১ সালের ১ জানুয়ারি ‘রাজা দ্বিতীয় চার্লস’ হিসেবে স্কটল্যান্ডের রাজার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর দক্ষিণ দিক থেকে ক্রমওয়েলের ইংরেজ বাহিনী আক্রমণ করতে পারে এমনটা ভেবে চার্লস ও তাঁর সমর্থকেরা ইংল্যান্ডে আক্রমণ শুরু করেন। ফলে শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধ শেষ হয়েছিল ইংল্যান্ডে ওরচেস্টারের যুদ্ধের মাধ্যমে। কথিত রয়েছে, এ সময় চার্লস একটি ওক গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছিলেন। পরে তিনি ফ্রান্সে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এদিকে ক্রমওয়েল মারা যান ১৬৫৮ সালে। তারপর ইংল্যান্ডে শুরু হয় সামরিক ও বেসামরিকদের মধ্যে অস্থিরতা, সংঘর্ষ ও সংঘাত। এর জের ধরে ১৬৬০ সালে চার্লসকে রাজা হিসেবে ইংল্যান্ডে ফিরে আসতে বলা হয়।
এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই রাজা দ্বিতীয় চার্লস প্রভাবশালী রাজায় পরিণত হন। তাঁর সম্পর্কে ইতিহাসবিদ আন্তোনিয়া ফ্রেজার লিখেছেন, তিনি ছিলেন রসিক, দয়ালু, কৃতজ্ঞ, উদার, সহনশীল ও প্রেমময় হৃদয়ের অধিকারী।
রাজা দ্বিতীয় চার্লসের শাসনামলে ভারত, ইস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ ও বাণিজ্যের উত্থান ঘটেছিল। তিনি দুটি গভীর সংকট মোকাবিলা করেছিলেন—১৬৬৫ সালের প্লেগ মহামারি এবং ১৬৬৬ সালের লন্ডন গ্রেট ফায়ার।
১৬৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা দ্বিতীয় চার্লস। এর চার দিন পর মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়।
জিতেন্দ্র রাওয়াত। তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে ভবনের প্রথম তলায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানসহ দেরাদুনে থাকেন। তাঁর জিতেন্দ্র রাওয়াতের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হবে। তিনি মারা যাওয়ার সময় তাঁর মা বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে...
২০ মিনিট আগেইউরোপজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশে কনস্যুলেট বন্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
৩৭ মিনিট আগেপ্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র ডিজিটাল উইটনেস ল্যাবের গবেষণায় ভারতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার এই চিত্র উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, গবেষণার জন্য তাঁরা ভারত ভিত্তিক ২৩৪টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটেছেন। এসব গ্রুপে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত ৮ হাজারটির বেশি বিজ্ঞাপন দেখেছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেপরেশ বড়ুয়া দীর্ঘদিন ধরে রুইলিতে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন ছিলেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বাংলাদেশ ছাড়েন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।
৩ ঘণ্টা আগে