সি-জেলেনস্কির প্রথম ফোনালাপ, কিয়েভে দূত পাঠাতে চায় চীন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৯: ৫৭
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১: ৪২

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার এ দুই বিশ্বনেতা ফোনালাপ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। 

প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের ফোনালাপ সম্পর্কে বেইজিং বলেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘রাজনৈতিক মীমাংসা’ করার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন একজন দূতকে কিয়েভে পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফোনালাপের পর এক টুইটার পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘চীনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে চীনে যদি ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা যায়, তবে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপটি প্রায় এক ঘণ্টা দীর্ঘ ছিল। দুই দেশের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, ফোনালাপটি অর্থবহ হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত মাসে রাশিয়া সফর করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। তখন সি ও জেলেনস্কি উভয়েই বলেছিলেন, মস্কো সফরের পর তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলবেন। 

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বেইজিংয়ের মূল লক্ষ্য। এর জন্য ইউক্রেনে একজন বিশেষ প্রতিনিধি পাঠানো হবে, যিনি আগে রাশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ছিলেন। 

চীনের এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউক্রেন। অন্যদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা চীনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি ইউক্রেনের নিন্দা করে বলেছেন, ‘কিয়েভ সব সময় যুক্তিসংগত উদ্যোগগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রও দুই নেতার ফোনালাপকে স্বাগত জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, চীনের উদ্যোগের ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি শান্তি চুক্তির দিকে যাবে কি না, তা হয়তো আমরা শিগগিরই জানতে পারব। 

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘চীন একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। এটি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধকে একটি শান্তি প্রস্তাবের দিকে নিয়ে যাবে কি না, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।’ 

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ব্যাপারে চীন বরাবরই নিজেকে ‘নিরপেক্ষ’ দেখানোর চেষ্টা করেছে। তবে চীন কখনো মস্কোর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে লুকানোর চেষ্টা করেনি বা রুশ অভিযানের নিন্দাও করেনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত