অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেনের দাবি তাঁরা রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বিরাট একটি অংশ এরই মধ্যে উদ্ধার করেছে। কিন্তু উদ্ধার করা মানে এই নয় যে, বিপদ পুরোপুরি চলে গেছে। বরং রুশ বাহিনীর রেখে যাওয়া মাইন, বুবি ট্র্যাপ এবং অন্যান্য বিস্ফোরক পরিস্থিতি আরও বেশি কঠিন করে তুলেছে।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরোর সদস্যরা বলেছেন, রাশিয়া কার্যত সবকিছুতেই মাইন ফেলে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে—তাঁরা রণক্ষেত্রে তো মাইন রেখেছেই, এমনকি নিষ্ঠুরভাবে আবাসিক এলাকার রেফ্রিজারেটর, খেলনা এবং শিশুদের বইয়ের মতো দৈনন্দিন গৃহস্থালি সামগ্রীতে বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখে গেছে। তাদের লক্ষ্য হলো, ইউক্রেনের যতটা সম্ভব ক্ষতি সাধন করা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ২০২২ সালের এপ্রিলে সতর্ক করে বলেছিলেন, রাশিয়ার সৈন্যরা পশ্চাদপসরণের সময় পেছনে বিপুল পরিমাণ মাইন রেখে যাচ্ছে, যার ফলে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ বিপর্যয়’ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তারা পুরো অঞ্চলটিতেই মাইন ফেলে গেছে। এমনকি তারা ঘর, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং তারা যাদের হত্যা করেছে, সেই মরদেহেও তারা মাইন রেখে গছে।’
গত ২২ জুলাই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইন বিছানো দেশে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। পূর্ণ উদ্যমে এসব মাইন অপসারণ করতে গেলেও অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে।
স্লোভাকিয়াভিত্তিক থিংক-ট্যাংক গ্লোবসেকের দেওয়া তথ্যানুসারে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের কারণে ১ লাখ ৭৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা সক্রিয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার ধারণা, ইউক্রেনের প্রায় ৪০ শতাংশ অঞ্চলেই কোনো না কোনো ধরনের মাইন এবং বুবি ট্র্যাপ রেখে গেছে রাশিয়া। এই এলাকায় বর্তমানে বিপুলসংখ্যক গোলা, বোমা ও মাইন অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে। এসব কারণেই মূলত ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
রণক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাইন একটি বড় সমস্যা। মাইনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় সৈন্য প্রাণ হারাচ্ছে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, এটি (মাইন) ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং কিয়েভের সেনাদের হতাহত হওয়ার প্রধান কারণ।
এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে যে রাশিয়া কেবল একাই মাইন ব্যবহার করছে তা নয়, বরং ইউক্রেনও নিজেদের সুবিধার্থে মাইন ব্যবহার করছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধে উভয় পক্ষই সমান তালে মাইন ব্যবহার করেছে। এই মাইনগুলোর অধিকাংশই অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়ে ২২ শিশুসহ প্রায় ৩০০ বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক মারা গেছে। একই সময়ের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৩২ জন।
বিভিন্ন মাইন অপসারণবিষয়ক সংস্থার অনুমানের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই মাইনগুলো অপসারণ করতে গেলে অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে। এমনকি পাঁচ শতাধিক মাইন অপসারণ দল নিয়োগ যদি অনবরত কাজ করে যায়, তার পরও এই সময় লাগবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, এই মাইনগুলো অপসারণে পরবর্তী ১০ বছরে অন্তত ৩ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার লাগবে, যেখানে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন মাইন অপসারণের জন্য মাত্র সাড়ে ৯ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেনের দাবি তাঁরা রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বিরাট একটি অংশ এরই মধ্যে উদ্ধার করেছে। কিন্তু উদ্ধার করা মানে এই নয় যে, বিপদ পুরোপুরি চলে গেছে। বরং রুশ বাহিনীর রেখে যাওয়া মাইন, বুবি ট্র্যাপ এবং অন্যান্য বিস্ফোরক পরিস্থিতি আরও বেশি কঠিন করে তুলেছে।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরোর সদস্যরা বলেছেন, রাশিয়া কার্যত সবকিছুতেই মাইন ফেলে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে—তাঁরা রণক্ষেত্রে তো মাইন রেখেছেই, এমনকি নিষ্ঠুরভাবে আবাসিক এলাকার রেফ্রিজারেটর, খেলনা এবং শিশুদের বইয়ের মতো দৈনন্দিন গৃহস্থালি সামগ্রীতে বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখে গেছে। তাদের লক্ষ্য হলো, ইউক্রেনের যতটা সম্ভব ক্ষতি সাধন করা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ২০২২ সালের এপ্রিলে সতর্ক করে বলেছিলেন, রাশিয়ার সৈন্যরা পশ্চাদপসরণের সময় পেছনে বিপুল পরিমাণ মাইন রেখে যাচ্ছে, যার ফলে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ বিপর্যয়’ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তারা পুরো অঞ্চলটিতেই মাইন ফেলে গেছে। এমনকি তারা ঘর, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং তারা যাদের হত্যা করেছে, সেই মরদেহেও তারা মাইন রেখে গছে।’
গত ২২ জুলাই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইন বিছানো দেশে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। পূর্ণ উদ্যমে এসব মাইন অপসারণ করতে গেলেও অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে।
স্লোভাকিয়াভিত্তিক থিংক-ট্যাংক গ্লোবসেকের দেওয়া তথ্যানুসারে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের কারণে ১ লাখ ৭৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা সক্রিয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার ধারণা, ইউক্রেনের প্রায় ৪০ শতাংশ অঞ্চলেই কোনো না কোনো ধরনের মাইন এবং বুবি ট্র্যাপ রেখে গেছে রাশিয়া। এই এলাকায় বর্তমানে বিপুলসংখ্যক গোলা, বোমা ও মাইন অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে। এসব কারণেই মূলত ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
রণক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাইন একটি বড় সমস্যা। মাইনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় সৈন্য প্রাণ হারাচ্ছে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, এটি (মাইন) ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং কিয়েভের সেনাদের হতাহত হওয়ার প্রধান কারণ।
এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে যে রাশিয়া কেবল একাই মাইন ব্যবহার করছে তা নয়, বরং ইউক্রেনও নিজেদের সুবিধার্থে মাইন ব্যবহার করছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধে উভয় পক্ষই সমান তালে মাইন ব্যবহার করেছে। এই মাইনগুলোর অধিকাংশই অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত এসব অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়ে ২২ শিশুসহ প্রায় ৩০০ বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক মারা গেছে। একই সময়ের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৩২ জন।
বিভিন্ন মাইন অপসারণবিষয়ক সংস্থার অনুমানের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই মাইনগুলো অপসারণ করতে গেলে অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে। এমনকি পাঁচ শতাধিক মাইন অপসারণ দল নিয়োগ যদি অনবরত কাজ করে যায়, তার পরও এই সময় লাগবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, এই মাইনগুলো অপসারণে পরবর্তী ১০ বছরে অন্তত ৩ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার লাগবে, যেখানে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন মাইন অপসারণের জন্য মাত্র সাড়ে ৯ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৫ ঘণ্টা আগে